ধরেন, আপনার স্ত্রী মৃত্যু শয্যায়। তিনি কথা বলছেন আপনি শুধু শুনছেন। তিনি এক পর্যায়ে বললেন, " ওগো ! যদি আমি মরে যাই তুমি আরেকজনকে ঘরে তুলে নিও ! "
এমন অবস্থায় আপনি কি করবেন? সেই পুরনো ডায়ালগ দিবেন " তুমি মরলে পাগল হয়ে যাবো আর পাগলে কি না করে ! " হা হা হা...
আমাদের মুরব্বি দেশের গর্ব মুক্তিযোদ্ধা এবং বিখ্যাত ব্লগার সোনাগাজী দয়া করে বলবেন এই পরিস্থিতিতে কি জবাব দেয়া উচিত ? যেহেতু আপনি অনেক জানেন। অনেক গভীরে যেতে পারেন রাজনীতি, সমাজ এবং ধর্মের!
তাই আপনাকে নির্দিষ্ট করে প্রশ্নটা রাখলাম। আসলে কি জবাব দেয়া বেটার ? নাকি ইহা বলিবেন, লিলিপুটিয়ান চিন্তা ভাবনা, রাবিশ, গার্বেজ !
আমি কিন্তু ইহা বলিতাম,
" তুমি বাঁইচা থাকলে ইহা পুরণ করা উচিত ছিল। আসলে তোমার নিয়ত খারাপ। আমার ভালো চাও নাই। সুখ কিসে জানতে চাও নাই। তোমার উদ্দেশ্য পরিষ্কার যেটুকু বাঁশ দিয়েছ বাকীটা অন্যের হাতে দিয়ে জান্নাতে যেতে চাও ! "
ইহা বলেই ঠাটাইয়া দুই গালে দুই থাপ্পড় যাতে আজরাইল চমকাইয়া যায় ! হা হা হা.....
আরেকটা দৃশ্য শাশুড়ী গ্রাম থেকে শহরে এসেছে ছেলে, নাতি আর বউ এর সাথে থাকতে খুব সখ করে। সাত আট দিন যাওয়ার পর বউ শুরু করছে তার কাহানী। তোমার মা এই করে সেই করে। উনি থাকলে ছেলেকে মানুষ করা যাবে না। গ্রামের ভাষা বলে। বাবু এগুলা যদি স্কুলে বলে মান ইজ্জত শেষ !
ও দিকে মা কেঁদে বলে বাবা সফিক আমারে গ্রামে দিয়া আসো। তুমি বাসায় না থাকলে বউ আমার দিকে ফিরেও তাকায় না। সারাদিন মোবাইল যন্ত্রটা নিয়া গুতাগুতি করে আর এর লগে ওর লগে কথা কয়। এই অবস্থায় সফিক কি করবে? না, মাকে ফেলতে পারছে ! না, বউকে ! বেচারার গলায় দড়ি দেয়ার দশা ? আসলে কি করা উচিত ?
আরেকটা সিরিয়াস বিষয় পাশাপাশি বাসায় পড়শী হিসেবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি বসবাস করতে পারবে এ শতকে? না পারলে কেন সম্ভব নয়?
আর কবে থেকে এই একজন আরেকজন কে সহ্য করতে পারছে না ? উত্তর গুলি জানা খুব দরকার। তাহলে সমাজের অনেক বিশৃঙ্খলা ঠিক হয়ে যেতো আশা করি।
শুনছি বাংলা ছবি নসিবের গান বিখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার কন্ঠে ।
যদি জানাজানি হয় ভালবাসা
কেমন করে হবে মেলামেশা ?
মনে জাগে শুধু ভয়
যদি বেশী কিছু হয়
আমি চাইতে পারিনা চোখে
তওবা ! তওবা !
দিলে জখম হলো
উহু ! আহা !
একি শরম এলো
উহু ! আহা !
আবারও হেভি ওয়েট ব্লগার সোনাগাজীর কাছে প্রশ্ন রেখে শেষ করছি গানে বলছে , " মনে জাগে শুধু ভয়
যদি বেশী কিছু হয় ! "
এখানে কিসের ভয়ের কথা বা ইংগিত করা হয়েছে? আর বেশী কি কিছু হবে ? যদি জনাব উত্তর বলিতেন ?
আবার তওবা তওবা বলা হয়েছে দুইবার। কেন তওবা অস্তাগফের করা হচ্ছে ? আমি বুঝতে পারছি না। বেয়াদবি না নিয়ে যদি জানাতেন উত্তর গুলো তাহলে এই গরমে আরামবোধ করিতাম সোনা !
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২২ রাত ৩:০২