
বলে আত্মীয় স্বজন
গোধূলি লগ্নে
উদাসী চোখে
কেমন ভ্যাবাচেকা হয়েই
ছেলেটি
উফফ জীবন !
হায় জীবন !
এক মুঠ বালু
হাতের তালুতে রাখতে চেয়েছিল
যতন করে সারাক্ষণ।
উপর তলার পড়শী বলে,
ছেলেটি ছিল সংসারী
ক্রিকেট, ফুটবল,
উনত্রিশ তাস
মাঝেমধ্যে মসজিদে করতো যাতায়াত !
ইয়ার বন্ধু বলে,
ছেলেটি পরিষ্কার পছন্দ করতো জীবন
কর্মস্থলে আড্ডায় খুব হাসতো
থাকতো না ভেজালে
এমনকি ছিল না সাত এবং পাঁচে
ভাতের সাথে
তেলে ভাজা শুকনো লংকা
পেয়াঁজ, নুন হলেই শিশুর মতন কাঁদে ।
ছেলেটি
বর্ষায় ভিজে গলে
এক গুচ্ছ কদম হাতে
তবেই ফিরতো ঘরে।
শীতে এক কাঁথায়
কেমন কাঁপতো ঠকঠক !
জোছনা ছিল ভীষণ প্রিয়
ডাগর কালো
কাজল লেপ্টানো নয়নের
বিশেষ একজন
অমন কথাই উচ্চারিত করে।
স্বপ্ন সাজাতে সাজাতে
ছেলেটি জলদি ফুরিয়ে গেল।
কিন্তু
সুরতহাল,
পুলিশ, উকিল মোক্তার,
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সোশ্যাল মিডিয়া
অন্য খবর চাউর করে।
যা কেউ বলে না
কেউ জানে না
ছেলেটার ঠোঁটে বুকে
স্পষ্ট গত রাতের চুমুর দাগ।
এ সত্যি,
ছেলেটি
মিশে আছে বাংলার বাতাসে
পুড়ে গেছে শরতের প্রভাত রোদ্দুরে।
সুইসাইড নোট বলে,
ছেলেটি
হাপিশ হয়ে গেছে
জবরদস্ত প্রেমিক না হতে পেরে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




