
সেই কবে থেকেই সজাগ আমি
কান ও পাতি দুয়ারে
ইচ্ছেকৃত হয় ভুল
খিল ছাড়াই দুয়ার বন্ধ করি ।
ঐ তো চেনা সেই নুপুরের ধ্বনি
ঐ তো আসছ তুমি
এই তো খুব কাছে
টের পাচ্ছি তোমার নড়াচড়া
শ্বাস পড়ছে গর্দান বুকে
মিশে যাচ্ছি আমি
চেনা সেই পাউডারের সুঘ্রাণ।
তোমার অভিযোগ
হচ্ছেটা কি?
হা করে অমন কি দেখছ?
মেয়ে দেখনি কোনদিন?
বাইরে যা ধুলো
বেশ গরম
কই জল দাও ?
ভেতরটা পুরা কারবালা !
পাখা চলছে না ?
এ কি !
বিজলি নেই !
যা শালা !
কোন দেশে যে বাস করছি
মেয়েলি কন্ঠে খিস্তি !
আমি জল হাতে দাঁড়িয়ে থাকি
কেটে যায় সহস্র দিন রাত
পরক্ষণেই টের পাই
ছিঃ!
কিরকম একাকী আমি
ভেতরে কোন প্রাণ নেই
উচ্ছাস নেই
মনমরা বাদামের খোসা
যেন ঘরে পড়ে থাকা জড় খাট টেবিল
অথবা
পদদলিত কোন জারুল ফুল !
অথচ দ্যাখো,
কতদিন এই ভেবেই কেটেছে
এবার এলে
তোমার শিয়রে বসে
রাজ্যের আলাপ জুড়ে দিব
কথার ফাঁকে
যদি বেখেয়ালে সরে যায় তোমার বুকের কাপড়
উফফ!
হায় খোদা !
ধরা পড়ে যাবে
আমার সমস্ত পাপ
তোমার নরম ডাগর চোখে
আমার গোটা জনমের পিয়াস
আমি এক্কেবারে শেষ
জেনে যাবে
কেমন তেতে পুড়ে যাচ্ছে ভেতর বাহির।
সজাগ থাকি
থাকতে হয়
যদি আসো তুমি
যদি এসে ফিরে যাও
তবে যে আমি ভিখিরি ।
কেউ তো জানবে না
বুঝবে না
তুমি ছাড়া
কতটা এতিম।
তোমায় না পেয়ে বারবার
কেঁদে কেঁদে হাসি
ফের নিঃস্ব হতে
দুই পায়ে রাজী।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


