কোন জিনিসের শুরুতেই যদি গন্ডগোল থাকে আর এই গন্ডগোল ধরা পড়ার পরেও যদি ঠিক করা না হয় তবে কি ধরা যায়?
গন্ডগোল জিইয়ে রাখতে পারলে কিছু লোকের বহু ফায়দা হয়। আর এই ফায়দা করতে যেয়ে দেশের জানতাকে বেকায়দায় বারবার ফেলা হয়। কিন্তু কেন ? প্রতিবার দেখেছি নির্বাচন যত কাছে আসে মানুষের ভেতর একটা চাপা ভয় বিরাজ করে কিন্তু কেন? এর উত্তর প্রতিটা রাজনীতিবিদ জানে।
নির্বাচনের কথা মনে পড়তে কিছু পুরনো স্মৃতি মগজে লাফালাফি করা শুরু করছে। তখন সাত ক্লাসের ছাত্র। এতো কিছু বুঝি না।আমার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছি এরশাদের আমল। তিনি সরকারি কর্মকর্তা। ঠিক নির্বাচনের কিছুদিন আগে উনার শালির বিয়ে উপলক্ষে।
তো আমার সেই আত্মীয়কে দেখেছি রাতের আঁধারে বাসায় বসে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মারতে লাঙলে। ডিসি সাহেবের নির্দেশ ছিল ৭০% ভোট যেন আগেই কাস্ট করা থাকে। এই ছিল তখনকার নির্বাচন !
আর এহন তো আরও ডিজিটাল ! ভোট কেন্দ্র কি সেটাই মানুষ ভুলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ! সত্যি ! সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশের নির্বাচন ! আর এর ও আগে রাইফেল জিয়া তো হ্যাঁ /না নামক এক জটিল নাটক তৈরী করে দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ভোট চুরির কার্যক্রম চালু করে গেছেন।
এখন এতো বছর পর যখন টক শো গুলিতে এ দল ও দলের নির্বাচন নিয়ে নানান বুলি আউরাতে শুনি ইচ্ছে করে ওদের উপর মুতে দেই। পারি না এতে করে টিভি টা অপবিত্র হবে। পরে আমাকেই পরিষ্কার করতে হবে।
এই যে আমাদের রাজনীতিবিদ গুলি জঘন্য মিথ্যে কথা বলে বেড়ায় এদের কি লাজ শরম নাই ? বুকে হাত রেখে কে বলতে পারবে যে, দেশের কোন অর্থ সে মারেনি। আছে এমন মাই কে লাল ? প্রয়াত মাল সাহেব (আল্লাহ উনাকে মাফ করুক ) উনি একবার বলেছিলেন, " ক্ষমতায় থাকলে সম্পদ বাড়বেই ! " আসলেই দেখছি এদের খালি সম্পদ বাড়তেই থাকে কোন কিছুতেই লস বলতে কিছু থাকে না।
একটা কথা বলি, এই যে বি এন পি, জামাত এতো দেশ পিরীতি মারাইতেছে না আসলে কিন্তু দেশ পিরীতি না ইহা হচ্ছে জেলাসি। চোখের সামনে দেখছে অমুক নেতার ছেলে মেয়ের একাউন্টে মুজিব নোট ডলার পাউন্ড হয়ে যাচ্ছে। আর সে বসে বসে শুধু নিজের নীচের উপরের বাল কামিয়ে টিভিতে বকবক করছে।একদিকে রাইতে পারে না বউ এর কাছে যাইতে আবার পোলা মাইয়া দেয় গালি ! অন্যদিকে কলিকাতা হারবালের শিশি সারি সারি যার মেয়াদ প্রায় শেষ !
শুরু করছিলাম গন্ডগোল নিয়া। আসলে এ দেশের সমস্ত গন্ডগোল জিইয়ে রাখে এই রাজনীতিবিদ নামক দুই পায়া প্রাণীরা। এদের ফায়দার জন্য। এরা নানান প্রজেক্ট করবে সেখান থেকে অর্থ সরিয়ে বলে বেড়াবে, আমি এতো এতো উন্নয়ন করছি। হালা ছেচ্চড় ! এক নেতা যিনি ৯৬ সনে ২০০০ কোটি টাকা পেয়েছেন নিজের এলাকার উন্নয়ন এর জন্য সে টাকায় তিনি একটা ভালো রাস্তা, এমনকি ব্রিজ ও করে নাই। সেই টাকা গেলো কই?
কই আর বউ ছেলে মেয়ের একাউন্টে দেশের বাইরে। সবার কিন্তু ডুয়েল সিটিজেনশীপ নেয়া হয়ে গেছে। এরা দলের খারাপ সময়ে বিদেশে বসে আরামে খাবে। যেমন এখন তারেক আছে।মায়ের এমন বিপদ তবু কি সুন্দর কথা কয়। চিন্তার ছাপ চেহারায় নাই। সত্যি জিয়া একখান রত্ন জন্মাতে সাহায্য করছে বেগম জিয়া কে ! যে কি না হাউয়া থুক্কু হাওয়া ভবনে বসে বসে হাওয়া খেতেন আর গান গাইতেন,
" দুনিয়াটা মস্ত বড় খাও দাও ফুর্তি কর "
অবশ্য আল্লাহ তার আরাম বেশী দিন রাখে নাই। তাতে কি এখন কি তিনি রেস্টুরেন্টে কাম করে? না, থালা বাসন মাজে? কিছুই না বরং বহাল তবিয়তে আছে লন্ডনে। খালি দিন গুনতাছে কবে বইব বাংলার মসনদে।
জনতার ভালা হোক কোন শালায় চাইছে?গত এক দশক খালি চলছে প্রশ্ন ফাঁসের মতো অঘটন। এতে করে একটা জাতির শিক্ষিত সমাজকে গাধা বানিয়ে এদের চিরতরে গোলাম বানিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।আসলে সত্যি বলতে কি রাজনীতি জিনিস হচ্ছে নাপাক মালের মতো যত লাগাবেন তত নাপাকই হবেন। ভালো থাইকেন সকলে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৬