somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ “কালো সুতো, সাদা সুতো”

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যালো আপুরা, আমি তারিন, আজ আপনাদের জন্য লাইভে এসেছি আরও সুন্দর সুন্দর কিছু ড্রেস নিয়ে। তো আপুরা আপনারা লাইভটি প্লিজ শেয়ার করে দিন। ...... এই যে এই ড্রেসটি, এটা কাতানের উপর সিল্কের ব্লক, এটার আরও তিনটা কালার হবে।লাল, মেরুন, হলুদ। যার যেটা লাগবে স্ক্রিনশট নিয়ে পেজে মেসেজ করে দিন আপুরা। সময় কিন্তু কম, স্টক ফুরিয়ে গেলে মিস করবেন কিন্তু....... না আপু, জরজেটের মধ্যে সিম্পল ঈদের পর আসবে আপু....... না আপু ৩৫০ টাকার মধ্যে ঈদের ড্রেস হয় না..... কি! প্রেম করবেন! আমার ছেলেরে নিয়ে আসি, ও সহ প্রেম কইরেন..... কি বলছেন আপু সাউন্ড আসছে না! এই রাকিব সাউন্ড নাকি আসছে না, একটু দেখো তো! ....... রাকিব ওই ড্রেসটা একটু দাও তো, থ্যানক ইউ...... এই রাকিব সৌভাগ্যকে দুধ খাইয়ে দিসিলা, ঘুমাইছে? ও আচ্ছা, তো আপুরা...

রাত দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা। দীর্ঘ দেড় ঘন্টার এক লাইভ সেশন শেষে ক্লান্তিতে ফ্লোরে বসে পরে। তারিন। চশমাটা খুলে ফেলে। তার মনে হলো নাকের উপর থেকে একটা ভার সরে গেছে। হালকা হালকা লাগছে। এই দীর্ঘ লাইভ সেশনের পর এখন তার লাইভে এলোমেলো করে দেখানো কাপড়গুলোকে ভাজ করে রাখতে হবে। রাকিব তার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে আসে, নিজের জন্যেও এক গ্লাস আনে।

রাকিব তারিনের স্বামী। তেরো বছরের সংসার তাদের, প্রণয় তারও আগে থেকে। সংসারে শুরুর দিকে রাকিব নিজেই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলেও বিগত দুই বছর ধরে তারিনও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার কথা চিন্তা করে। সেই লক্ষ্যে দুই বছর ধরেই নিজের একটা ফ্যাশন হাউজ ডেভেলপ করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। এর মাঝে করোনা আসার পর সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সে তার গোটা ব্যাবসাটাকে ডিজিটালাইজ করে ফেলে। এর সুফলও পায় সে। প্রতিমাসেই প্রচুর সেল হয় এবং প্রফিটও ভালো হতে থাকে। নিজেদের আলাদা কোনও কর্মচারী না থাকায় প্রফিটে তেমন কাটছাট হয় না। রাকিব তার ব্যাবসার পাশাপাশি তারিনকে হেল্প করে। অন্যান্য সব স্বামীদের মতো রাকিব, তারিনের ব্যাবসা করার বিষয়টিকে নেগেটিভলি নেয় নি। বরঞ্চ সমর্থন করেছে তারিনকে।

তারিন ক্লান্ত শরীরে ফ্লোরে বসে আছে। তাকে দেখে রাকিব ঢাকা কলেজের দিনগুলোতে ফিরে যায়। দুজনই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলো ছাত্রজীবনে। একবার ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ এক নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর সারাদিনের ধকল শেষে তারিন ক্লান্ত হয়ে খোলা মাঠেই বসে পরেছিলো। আজ তাকে এই অবস্থায় দেখে রাকিবের সেই ছাত্রজীবনের দিনগুলির কথা মনে পরে যায়। কি দিনই না ছিলো সেসব! সেই সমইয়ের ইমম্যাচিউর এবং রাগী মেয়েটা এক হাটে সংসার আর আরেক হাতে ব্যাবসা সামলাচ্ছে। সেসময় ফতুয়া/কুর্তিতে মুগ্ধতা ছড়ানো মেয়েটি আজ স্যালোয়াড় কামিজে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।

হঠাৎ রাকিবের মনে দুষ্টুমির খেয়াল চাপে। সে বলে, “আহা কি সেক্সি লাগছে সোণাটাকে!” তারিন তার ওড়নাটা খুলে রেখেছিলো। রিফ্লেক্সের বসে ওড়নাটা তাড়াতাড়ি আবার গায়ে চাপায়। এরপর ভ্রু কুচকে রাকিবের দিকে রাগান্বিত একটা দৃষ্টি দিয়ে বলে, “শালা বুইড়া!”।

হা হা করে এক্কেবারে অট্টহাস্যে ফেটে পরে রাকিব। বলে রাখা ভালো এই হাসিটাও তারিনের বিরক্তির উদ্রেক করে। সে একে নাম দিয়েছে “ভিলেন মার্কা হাসি” ক্যাম্পাসে রেগে গেলে তারিন রাকিবকে বুইড়া বলে ডাকতো সবার সামনেই। রাকিবও তার বিখ্যাত ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে তারিনকে আরও ক্ষেপিয়ে দিত। ছাত্রজীবনের এই অভ্যাসটি এই দম্পত্তি এখনো ছাড়তে পারে নি। রাকিব প্রায়শই এভাবে তারিনকে বিরক্ত করার চেষ্টা করে। “এক বাচ্চার বাপ মা আমরা, এইদিকে কয়েকজন প্রেম করতে চায়, আর আরেকদিকে সোয়ামি লুইচ্চামি ছাড়তে পারে নাই।“, তারিন মেঝেতে পরে থাকা কাপড়গুলো ভাজ করতে করতে কথাটি বলে। জবাবে রাকিব তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে আলতো করে চুমু খেয়ে বলে, “যাহি করি, নিজের “বহুর” সাথেহি তো করি, অতএব এহি লুইচ্চামি জায়েজ।“

এখানে বলে রাখি, তারিন এবং রাকিব দুইজনই ভীষণ বইপড়ুয়া এবং সাহিত্য সচেতন মানুষ। কয়েকদিন আগে এবাদত হোসেন নামের একজন স্বঘোষিত প্রথাবিরোধী লেখক বই কে বহি হিসেবে দাবি করেন। আসলে দাবি অনেক আগে থেকেই করেছিলেন কিন্তু রাকিব আর আর তারিনের চোখে পরে কদিন আগে। তাই এই বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীন খুনসুটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এজন্যই মাঝে মাঝে মজার ছলে তারা “ই” কে “হি” এবং “উ” কে “হু” বলে সম্বোধন করে।

রাকিবের কথায় তারিনের রাগ পরে যায়। একজন স্বামী জানেন কিভাবে সময়মতো স্ত্রীকে আদর করে রাগ নামতে হয়। এইটুকু যেই স্বামী জানে না, তারে দিয়ে সংসার করা সম্ভব না।

তারিনকে বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকতে দেখে রাকিব আদুরে গলায় বলে, “কি হলো, চুপ কেন? টায়ার্ড না কি?”

- না আসলে সেরকম কিছু না। আমি ভাবছি আমি ঠিক করছি কি না? এভাবে ব্যাবসায় জড়িয়ে কতটুকু ঠিক করেছি? সৌভাগ্যকে সময় দিতে পারছি না। তোমাকে ইনভলভ করে তোমার কাজের ক্ষতি করছি। তোমার তো কাল ভোরে বেরুতে হবে। আজ আমাকে লাইভে সময় দিলে। আমি মাঝে মাঝে মাঝে ভাবি তোমার আর সৌভাগ্যের কথা ভাবা বাদ দিয়ে আমি কি স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি? মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যাবসাটা গুটিয়ে নেই। ভালোই তো আছি। তোমার ইনকাম মাশআল্লাহ সেরকম খারাপ তো না। সংসারে তেমন অভাব তো নেই।
- আহা, তোমার হলোটা কি বলোতো! দেখো, সৌভাগ্যকে বুঝতে হবে। তার মা মানে তার চাকর নয়। মায়েরও নিজের বলে লাইফ আছে। দেখো বাবা মা মানেই সন্তানের জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারে এটা খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু বাবা মায়ের পার্সোনাল স্পেসটাও প্রতিটা সন্তানের বোঝা উচিত আর ওকে এটা বোঝানোর সময় এখনই। আর সর্বোপরি, সৌভাগ্যকে ওর মায়ের প্রফেশনকে সম্মান করতে হবে। আর আমার কথা! আমার বউ আত্মনির্ভরশীল, এর চেয়ে গর্বের আর কিছু হতেই পারে না। এন্ড বিলিভ মি, সৌভাগ্য অলসো উইল বি প্রাউড অফ ইউ।
- সত্যি বলছো!

রাকিব তার কপালে একটা চুমু খেয়ে বলে, “তিন সত্যি।”

(২)

সৌভাগ্য নিচে নেমেছে খেলতে। অনেক অনুনয় বিনয়ের পর তার মা তাকে অনুমতি দিয়েছে। তবে খেলার জন্য অনুমতি দেয় নি। শুধুমাত্র তার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পারবে। মাস্ক এবং পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করে তবেই বেরুতে হয়েছে।

এলাকার খেলার মাঠের দিকে কাতর চোখে চেয়ে আছে সৌভাগ্যরা। কোভিডের আগে মাঠটা মুটামুটি ফাকা ছিলো। কোভিডের পর দীর্ঘ এই সময়ে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আশেপাশের অনেক ফাকা জায়গায় কনস্ট্রাকশন শুরু হয়েছে। সেই কনস্ট্রাকশন এর ইট বালু মাঠের আশে পাশে বিক্ষিপ্তভাবে পরে আছে। খুবই শীঘ্রই হয়তো মাঠটা দখল হয়ে যাবে। করোনার আগের দিনগুলোতেই তারা তাদের শেষ খেলা খেলার মাঠে খেলে ফেলেছে।

সৌভাগ্য ও তার বন্ধুরা একে একে তাদের পুরোনো এবং পরিচিত জায়গাগুলোতে যেতে থাকে। মসজিদের পাশে ছোলাওয়ালা মামা আর বসে না। সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে কয়েক জায়াগায় শুনেছিলো। পরিচিত ঝালমুড়িওয়ালা বা মাথায় বল নিয়ে ফুচকা বিক্রি করা কাওকেই দেখতে পায় নি। এলাকায় একটা স্টিকারের দোকান ছিলো, সেটাও নেই। তবে এলাকাতে বেশ কিছু স্ট্রিট ফুড স্টল গড়ে উঠেছে। বার্গার শপ, ডোসা শপ, তান্দুরি চা স্টল ইত্যাদি। তবে সেগুলো টেস্ট করা সৌভাগ্যের পক্ষে সম্ভব না। এখানে প্রতি স্টলে মেন্যুর নুন্যতম দাম ৫০ টাকা। তাছাড়া সৌভাগ্যকে তার মা টাকা দেয় না। দশ টাকা পাচ টাকা কোনোওমতে ম্যানেজ করে ঝালমুড়ি বা ছোলাই তার জন্য সুবিধাজনক।

ফুডস্টলগুলোতে মানুষের তিল ধারনের জায়গা নেই। স্বাস্থ্যবিধি এসব জায়গায় ভয়ংকর ভাবে অবহেলিত। “এতোকিছু চলছে তাহলে স্কুল কলেজ খুলে দিতে আপত্তি কোথায়?”, হতাশামিশ্রিত কন্ঠেই বললো সৌভাগ্য। ফাহিম জবাব দেয়, “হয়তো তাড়াতাড়িই খুলে দিবে, দেখছিস না টিকা দিয়ে দিচ্ছে গনহারে।
- তাও ঠিক, আচ্ছা সাজিদের খবর কি? বল তো! কয়েকদিন ধরেই তো তার কোনও খবর নেই, সার্কেলেও খুব বেশি থাকে না।
- ওর সাথে আমরা চলি না।
- কারন কি?
- কোনও কারণ নেই, এমনিই চলি না।
- সেইটা তোদের সমস্যা, কিন্তু আমার সাথে তো তার কোনও সমস্যা নেই, আমি যাচ্ছি ওর বাসায়।

সৌভাগ্য সাজিদের বাসায় যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়, তার বন্ধুরা তাকে থামায় এবং তার জোরাজুরিতে তাকে মুল ঘটনা খুলে বলে। সাজিদের মা সাজিদকে বারণ করেছে সৌভাগ্যের সাথে মিশতে। এর কারণ সাজিদের মা পছন্দ করে না তার ছেলে এমন একজনের সাথে মিশুক যার মা ফেসবুক লাইভে জামা বিক্রি করে।

সৌভাগ্য কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে, তারপর বলে, “আমার জানামতে তোদের আম্মুরাও চায় তোরা আমার সাথে চলিস?”
- আরে উনারা কতকিছু বলে, সব বারণ কি শুনতে আছে? কিন্তু সাজিদ নিজে থেকে বললো বলেই আমরা ওকে আর আমাদের সার্কেলে রাখবো না।
- সেটা মুখ্য বিষয় না? মায়ের পেশা নিয়ে তোদের ভাবনা কি? এইটা আমি জানতে চাই?
- আমরা তোর মায়ের পেশাটাকে সম্মান করি। উই আর প্রাউড অফ আন্টি। তাছাড়া নিজের ব্যাবসার বিপনন খারাপ কিছু না। সেদিন আম্মু আর আব্বুর মধ্যে কথা হচ্ছিলো। আম্মু আব্বু দুইজনেই আন্টির প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি আম্মু নিজেও তোর মাকে দেখে ইন্সপায়ার্ড হয়েছে। উনিও তোর আম্মুর মতো নিজে কিছু করার কথা ভাবছেন। সত্যি বলছি।
- থ্যাঙ্ক ইউ, এইটাই আমি তোদের থেকে শুনতে চাচ্ছিলাম।

বাসায় এসে রাতে সেই ঘটনা সৌভাগ্য তার মা-বাবাকে জানায়। এতো তীর্যক মন্তব্যের ভিড়ে হাতেগোনা কয়েকজন তারিনের পেশাটাকে সম্মান করে, এই ঘটনার চেয়ে তারিনের সিক্স পড়ুয়া দশ বছরে ছেলে যে এই বয়সেই মায়ের পেশাটাকে সম্মান করা শিখে গেছে, ছেলে যে এতো বড় হয়ে গেছে, এই বিষয়টাই তারিনকে আনন্দ দেয়।

(৩)

সৌভাগ্যের স্কুলে আজ ফাইনাল এসাইনমেন্ট জমা দিতে আসতে হবে। সাথে তারিন এসেছে। অনেকদিন পর সৌভাগ্যের সাথে কোথাও বের হওয়ার সুযোগ এলো এই উসিলায়।

বেশ কিছুদিন পর স্কুলে এসে সৌভাগ্যের বেশ ভালো লাগছে। সে তার অন্য সহপাঠীদের সাথে কথা বলতে বলতে মাঠের এক কোণে চলে গেলো। তারিন কিছুক্ষণের জন্য অন্য অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে বলতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। ওই একই ধরনের কথ বার্তা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় ক্ষতি হচ্ছে, গেমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে তারা ইত্যাদি ইত্যাদি।

অনেক অভিভাবক তার ঘরে বসেই ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়াটাকে সমর্থন দেয়। তবে তীর্যক মন্তব্যও শোনে কিছু। এসবে অভ্যাস্ত হয়ে গেছে তারিন।

তবে এর মধ্যে একটা মন্তব্য তারিন এড়িয়ে যেতে পারে না। এক অভিভাবক স্কুলের এক ম্যামকে নিয়ে মন্তব্য করে, “মানুষ তার সন্তানের জন্য কতকিছু ত্যাগ করে, আর সামান্য চাকরি ছাড়তে পাওরতেছে না! আরে সে তো প্রচুর স্বার্থপর, বাচ্চাটা কিভাবে দাড়ায়ে আছে ক্লাসরুমের বাইরে দেখেন! এইভাবে একটা বাচ্চাকে স্নেহ বঞ্চিত করার কোনও মানে হয় না।“ মন্তব্যটা অন্যজনকে নিয়ে করা হলেও তারিন এর মনে মন্তব্যটা যেন তার ক্ষেত্রেই খাটে। ওয়েটিং রুম থেকে মাঠে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে থাকা সৌভাগ্যের দিকে তাকায় সে। হঠাৎই সৌভাগ্যের প্রতি অদ্ভুত এক মমতায় ছেয়ে ওঠে তারিনের মন। ইছে হচ্ছে এখনই মাঠে গিয়ে সৌভাগ্যেকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে বলে, “সরি টুকুন (সৌভাগ্যের ডাকনাম), আমি তোর ঠিকমতো কেয়ার করতে পারি নি, আই এম এ ব্যাড মম।“ যেমনটা জন্মের পর সৌভাগ্যের জ্বর সারলে তারিন নিজের আপন মনে বলতো।

সেদিনের পর তারিন কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে যায়, মনের ভিতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ চলতে থাকে। রাকিব বিষয়টি টের পায়, শুরুতে তারিন স্বীকার না করলেও রাকিব ঠিকই তারিনের মুখ থেকে কথাটি বের করে। “অহ আচ্ছা, এই কথা!”, রাকিব বলে।

- হা, আমি ভাবছি এইসব ব্যাবসা ছেড়ে দিবো। টুকুর সাথে অনেক অবিচার করেছি, এখন ওকে আমার পুরোটা সময় ওকে দিবো।
- আচ্ছা ভালো। তা সৌভাগ্যের এসাইনমেন্ট গুলো তো তুমি করিয়ে দিয়েছিলে, তাই না? মানে ওকে পড়িয়েছ তো তুমি।
- হা,
- মনে আছে তার জীবনের আইডল নামে একটা এসে লেখার কথা ছিলো?
- হা আমি বলেছিলাম চৌধুরি এন্ড হোসেন স্যারের বইয়েরটা পড়তে।

রাকিব তার ফোন থেকে একটা ছবি বের করে দেখায়, সৌভাগ্যের এসে রাইটিং এর ছবি। তারিন দেখে সে চৌধুরি এন্ড হোসেইন ফলো না করে এসেতে আইডল হিসেবে লিখেছে তারিনের নাম।

এসের লেখাগুলো পড়ে তারিন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। সোজা সৌভাগ্যের ঘরে চলে যায়। সৌভাগ্য ঘুমিয়ে ছিলো। সেই ঘুমন্ত অবস্থাতেই সৌভাগ্যের কপালে চুমু দিয়ে আদর করে দেয় তারিন।

(৪)

সময় একইরকম মসৃণ থাকে না সবসময়।

রাকিবের ব্যাবসা ধুকতে ধুকতে এক সময় মুখ থুবড়ে পরে। কোভিডের কারণে কোম্পানি ক্রমাগত লোকসান গুনছিলো। রাকিব আর লোকসান দিয়ে টিকিয়ে রাখতে পারছিল না।

তারিনের ব্যাবসা দিনে দিনে চাঙা হচ্ছিলো। রাকিব বাসায় বসে গেলে তারিনের ব্যাবসায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করে। বিশেষ করে ডেলিভারির কাজগুলো রাকিব নিজেই করে। তারিন অনলাইনের পাশাপাশি শোরুমও খুলে ফেলে। তারিন যখন শোরুমে সময় দেয়, তখন মাঝে মাঝে রাকিব লাইভে এসে জামার প্রচারণা করতো।

তারিনের ক্রমশ উন্নতি এবং রাকিবের দিন দিন বাসায় বসে থাকা, এসব কিছু নিয়ে দুইজনের আশেপাশেই অনেক ধরনের মন্তব্য আসতে থাকে। রাকিবের কানে মানুষজন মন্তব্য ঢালে, বউয়ের কামাই খাওয়া ঠিক না আর তারিনের কানে মানুষজন মন্তব্য ঢালে যে জামাই ঘরে বসে খায়। রাকিব এসব মন্তব্যে প্রভাবিত না হলেও তারিন কিছুতা হলেও হয়। নিজের ক্ষেত্রে তীর্যক মন্তব্য সহ্য করা যতটা সহজ, অনেক সময়, ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রে সেটা সহ্য করা সহজ হয়ে উঠে না। তাছাড়া তারিনের লাইভ সেশনে রাকিবের নিজের গায়ে জামা-শাড়ি মেলে ধরার স্ক্রিনশট পরিচিত মহলে কিছুটা ভাইরাল হয়েছে। সেসব কিছু তারিনের চোখে পরায় সে মাঝে ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারতো না। তাই মাঝে মাঝে তাদের হালকা মনোমালিন্য হলেও ঠিক হয়ে যেতো পরে সব। কিন্তু একদিন ঝামেলা খুবই গুরুতর হয়ে যায়।

রাকিব একদিন লাইভ সেশন সেরে টেবিলে ঘুমিয়ে পরে। তারিন কি মনে করে ঘুমন্ত রাকিবের ছবি তোলে ফেসবুকে দিয়ে দেয়। তার স্বামী যে কতটা কেয়ারিং সরল মনে সেটাই দেখাতে চাইছিলো। ছবিটা সে তার জামা বিপননের পেইজ থেকে আপলোড করে। রাকিব নিজেও কিছুটা ধৈর্য্য হারাতে শুরু করে। নিজের ব্যাবসার বাজে অবস্থা আর ক্রমাগত মানুষের মন্তব্যে সে আর স্থির থাকতে পারে না। স্ত্রী ব্যাবসায়িক ফেসবুক পেইজ থেকে নিজের এই ধরনের ছবি আপলোড হতে দেখে নিজেকে একজন ভাড় মনে হতে থাকে রাকিবের যাকে তারিন নিজের ব্যাবসায়িক স্বার্থে ব্যাবহার করেছে।

এই ঘটনার পর দুজনের মধ্যে মারাত্বক কথা কাটাকাটি হলো। তাদের সেদিনকার কথোপকথন পাঠকদের না জানাই ভালো। দাম্পত্য কলহের ঘটনা বিবিরণ সুখকর কিছু নয়। খালি এইটুকুই বলা যায় দুইজনই একটু একটু করে নিজেদের সীমা অতিক্রম করছিলো।

ঝগড়ার শেষ পরিণতি হিসেবে তারিন সৌভাগ্যকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।

(৫)

রাকিব তারিনের মধ্যকার ঘটনার দুইমাস পর রাকিব তারিনদের বাসায় এসেছে।

রাকিবকে ফোন করে তারিনই আসতে বলেছে। যদিও সবাই বলাবলি করছে ডিভোর্সের ব্যাপারে কথাবার্তা বলতেই রাকিবকে ডেকে পাঠিয়েছে তারিন। তবে রাকিব এতো সহজে হাল ছাড়তে রাজি নয়। যত যাই হক আজ তারিনকে নিয়েই ঘরে ফিরবে।

ড্রয়িংরুমে রাকি বেশকিছুক্ষণ বসে থাকার পর তারিনের বাবা আসে। রাকিব-তারিন পালিয়ে বিয়ে করায় তিনি রাকিবকে দেখতে পারেন না। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর শীতল গলায় বলার চেষ্টা করলেন, “মেয়ে একবার যে ভুল করেছে সেটার পুনরাবৃত্তি আর করতে দিবো না।“; যতটা শীতলতা ছড়িয়ে দিতে চাইছিলেন, সেটা পারলেন না।

- আপনি তো আমারে আপনার জামাই ভাবেন না, তাই আপনাকে আংকেলই বলি। আপনার মনে পরে কি? সেলিম মোল্লা আপনার সাথে ঝামেলা করতো, আপনার উপরে চাপাতি দাও নিয়া এট্যাকও হইসিলো, সেইডা সেলিম মোল্লা করাইছিলো আপনি জানেন। আমি আর আমার এক ছেলে মিলা আপনেরে বাচাইসিলাম, সে ছেলে কোপ খাইসিলোও আপনারে প্রটেক্ট করতে গিয়া। আমিও আঘাত পাইসি, এই দেখেন, হাতে এখনও দাগ আছে। আপনের মাইয়া প্রায়ই জিগাইতো কেমনে হইসে। আমি কিন্তু কিছু বলি নাই। রাজনৈতিক সহিংসতা আমি অপছন্দ করি বলেই আপনারে বাচাইছি, সেইডা ক্রেডিট নেওয়ার কিছু না। কিন্তু সেলিম মোল্লা আপনের পিছনে জোকের মতো লাইগা আছে, আমি মাঝে আছি বইলা সাহস পায় না। আমি অস্ত্র জমা দিছি, কিন্তু ট্রেনিং জমা দিছি না। তবে, আপনি আমার সংসার ভাঙ্গার চেষ্টা করলে, সেলিমের লগে আমার আপনের ব্যাপারে কথা বলা লাগে।

তারিনের বাবা কিছু বলেন না, কিন্তু রাগে ফুসতে থাকেন। তার চেহারা লাল হয়ে উঠেছে। রাকিব বলে চলে, “হেডাম যার লগে দেখাইবার পারবেন, তার লগে দেখাইলেই আপনের লাভ। আমার লগে দেখাইলে আপনের লস। লস না খালি, বিরাট লস। আপনের মেয়েরে আজই বাসায় নিয়ে যাবো, শাশুড়ি আম্মারে বলেন আপনের মেয়ের সুটকেস রেডি করতে।“

রাকিব আর কিছু শোনার অপেক্ষায় না থেকে তারিনের ঘরের দিকে চলে যায়, রাকিবের শ্যালিকা আশেপাশে দাড়িয়ে কথা শুনছিলো, সে নিয়ে গেলো রাকিবকে তারিনের ঘরে।

তারিন তার ঘরে সৌভাগ্যকে নিয়ে সুই সুতার কাজ করছে।

“দেখ টুকুন, খুবই সাবধানে। এই জামার সাদা সুতোগুলো ব্লেড দিয়ে খুবই সাবধানে কাটবি, আমি এদিক থেকে কালো সুতোগুলো কাটছি। দুইজনে মিলে করলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।“, তারিন সৌভাগ্যকে বলে।

- মা, একেবারে টান দিয়ে সেলাইটা খুলে ফেলি?
- আরে ব্যাটা নারে, জামাটা খুবই শক্তভাবে সেলাই দেওয়া, এভাবে টান দিলে নষ্ট হবে, আস্তে আস্তে একটা একটা সুতো করে কাটতে হবে।

“এই টুকুন, তুই তোর নানীর কাছে যা। আমি তোর মায়ের সাদা সুতো কালো সুতো আলাদা করছি।“, রাকিব ঘরে প্রবেশ করে কথাটা বলে চমকে দেওয়ার ট্রাই করে। সৌভাগ্য বাবা আসার আনন্দে কিছুক্ষণ বাবার আদর নিয়ে এরপর নানুর কাছে চলে যায়। রাকিব সুতো আলাদা করতে বসে তারিনের সাথে। এই ধরনের সুতো আলাদা করার কাজ রাকিব আগেও করেছে। বেশ কিছুক্ষণ মৌণভাবে দুইজনে কাজ করে। একসময় সুতো আলাদা করার কাজও হয়ে যায়। তারিন উঠে যেতে থাকে, রাকিব খপ করে তারিনের হাতটা ধরে। এরপর টান দিয়ে বুকের কাছে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ, আর বলতে থাকে, “সরি জান, প্লিজ, এরকম করে না, আমি আর মাথা গরম করবো না। বাসায় বসে থাকবো না। ছোটখাটো একটা জব হলেও করবো। প্লিজ, সোনা বাড়ি চলো।“।

এরপর যা হলো, তা নিতান্ত একজন স্বামি স্ত্রীর ব্যাক্তিগত এবং অন্তরঙ্গ মুহুর্ত। এসব নাহয় নাই বা জানলেন, আন্দাজ করে নিলেন। খালি এইটুকু বলি তারিনের রাগ ভেঙে ছিলো।

আলিঙ্গন পর্ব এবং আরও কিছুর পর তারিন বলে, “আজ যদি তুই নিতে না আসতি না, তোর বাসায় গিয়ে তোর ভুরিটা সুই দিয়ে ফুটো করে দিতাম।“

- অ্যাহ, আমার ভুড়ি নাই। কাটা কাটা ফিগার।
- হা, নিজের ঢোল নিজেই পিটাইতে পারিস তুই।

কিছুক্ষণ খুনসুটি চলে। এরপর তারিন বলে, “আই এম সরি সোনা, আমার নিজেরও ওভাবে তোমার ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া উচিত হয় নি। তোমার আর চাকরি বা ব্যাবসা করা লাগবে না। তুমি তো অনেক আগে থেকেই মিউজিক নিয়ে প্যাশনেট ছিলে, মিউজিশিয়ান হতে চেয়েছিলো। তোমার এই ব্রেক সময়টাকেই কাজে লাগাও। সংসারের খরচ এর জন্য আমি তো আছিই। এই তো সুযোগ।‘

- কিন্তু এভাবে বাসায় বসে বসে......
- আহা, তুমি তো কিছুদিন বসে থাকবে, বসে বসে চর্চা করবে। এরপর তো অবশ্যই তুমি সফল হলে প্রফেশনালি কাজটা করতে পারবে। তখন তো ইনকাম হবেই।
- কিন্তু স্টুডিও?
- ওইদিকের কার্টুন বক্সটা খুলে দেখো।

রাকিব কার্টুন বক্সটার দিকে এগিয়ে যায়। খুলে দেখতে পায়, ভিতরে প্লাস্টিকের বাবল ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো একটা বিশাল ভারি জিনিস। ব্যাগ খুলে দেখে ভিতরে রোল্যান্ড ফ্যান্টম ০৬, রাকিবের ড্রিম মিউজিক্যাল কীবোর্ড সিন্থেসাইজার, আর একটা কন্ডেন্সর মাইক্রোফোন, মিক্সিং কনসোল, সাউন্ডকার্ড সহ আরও অনেক স্টুডিও সামগ্রী, তবে মুল সারপ্রাইজ তখনো রাকিবের জন্য অপেক্ষা করছিলো। রাকিব সেখানে ছোট একটা কাঠির সদৃশ বস্তু খুজে পায়, প্রেগ্নেন্সি কিট। দুইটা দাগ দেখা যাচ্ছে।

কিটটা হাতে নিয়ে বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকে রাকিব, তারিন ধৈর্য্য ধরতে না পেরে শেষে বলেই দেয়, “আরে বোকা আমি প্রেগন্যান্ট।“ রাকিব কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর চিৎকার দিয়ে উঠে, “ইয়েস ইউ আর প্রেগন্যান্ট, আই এম প্রেগন্যান্ট, টুকুন ইজ প্রেগন্যান্ট, ইয়েএএএস!.........”

পাগলামি থামলে দুইজনেই স্থির হয়ে বসে। তারিন রাকিবের হাত জড়িয়ে ধরে তার ঘাড়ে মাথা রাখে, তারপর বলে, “তুমি সাদা সুতো আর আমরা কালো সুতো, আর জামাটা আমাদের সংসার। আমরা যদি আষ্টেপৃষ্টে থেকে শক্তভাবে সেলাই দিয়ে আমাদের জামাটাকে মানে সংসারটাকে গেথে রাখি, তাহলে দেখবে আমাদের সংসার কেউ ভাঙতে পারবে না।

পরিশিষ্টঃ

তারিন বর্তমানে দেশের অন্যতম সফল নারী উদ্যোক্তা, সে নিজে একটা ফ্যাশন ব্র্যান্ড লঞ্চ করেছে, যার নাম, “কালো সুতো, সাদা সুতো”। পত্রপত্রিকায় তারিনকে নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি হয়, অনেক নারীই তাকে আইডল মানে।

রাকিব একজন সফল মিউজিশিয়ান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। ঘরেই সে স্টুডিও সেটাপ দিয়েছে। নিজের কাজের পাশাপাশি তারিনকেও সাহায্য করে অনেক।

আর টুকুন এবং টুকি, মানে সৌভাগ্য আর সুভা, দুই ভাইবোন তাদের বাবা মাকে তাদের আইডল হিসেবে মানে, এবং মনে প্রতিজ্ঞা করে তারাও নিজেরা কিছু করে নিজেদের প্রমাণ করবে।



সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৩
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×