সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা চাইলে মুহাম্মদ ইউনূসকেই এগিয়ে আসতে হবে- এ কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক মঙ্গলবার বলেন, ইউনূসের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা না হলে তা ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
এর একদিন পরই ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। তবে মঙ্গলবার সকালেও তিনি সমঝোতার বিষয়টি নাকচ করেছিলেন, যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
তবে প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "আমরা শুরুতেই একটি সম্মানজনক সমাধান চেয়েছিলাম এবং সেই সুযোগ এখনো খুঁজছি।"
"প্রাথমিক পর্যায়ে সমঝোতার প্রস্তাব সরকারের পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়েছিলো এবং তা এখনো বহাল রয়েছে। সরকার এ বিষয়ে প্রস্তুত। তবে, এক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই এগিয়ে আসতে হবে।"
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) গকুল চাঁদ দাস স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, "আজ (বুধবার) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে 'ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমঝোতার উদ্যোগের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর' শিরোনামে প্রকাশিত খবরে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক নয়।"
"অর্থমন্ত্রী শুধু 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে কোনো কমিটি হয়েছে কি-না' সে বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন-সমঝোতার বিষয়ে নয়," প্রতিবাদপত্রে বলা হয়।
মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনূস বিষয়ে সমঝোতায় মুহিতকে প্রধান করে করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী মুহিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মঙ্গলবার বলেন, "এ ধরনের কিছু হয়নি।"
নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন না নেওয়ার কারণ দেখিয়ে গত ২ মার্চ নোবেলজয়ী ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে ইউনূস হাইকোর্টে রিট আবেদন করলেও তা নাকচ হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




