জগন্নাথে ছাত্রলীগের দু'পক্ষে সংঘর্ষ, আটক ২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
এই ঘটনায় বিকাল পর্যন্ত পুলিশ ২১ জনকে আটক করেছে।
বুধবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন- সারোয়ার হোসেন, রাসেল আহমেদ, সোলায়মান, রাজিব আহমেদ এবং অমিতাভ পাল।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গত বছরের অক্টোবরে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ছাত্রলীগের মাকসুদ হোসেন পক্ষের এক কর্মীকে প্রতিপক্ষ জহির উদ্দিন বাবর পক্ষের সমর্থকরা মারধর করে। এ নিয়ে বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট ছোড়াছুড়ি চলে। এ সময় মাকসুদ পক্ষের সারোয়ার ও রাসেল এবং বাবরের পক্ষের সোলায়মান, রাজিব ও অমিতাভ আহত হয়।
কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক আবু সালেহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
মাকসুদ হোসেন নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাবরের অনুসারীরা মঙ্গলবার তার অনুসারী সোহাগের ওপর হামলা চালায়। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার কোনো কারণ ছাড়াই মাকসুদের অনুসারীরা হামলা চালালে তার সমর্থকরা তা প্রতিহত করে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের হামলায় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের দরজা জানালা এবং ক্যান্টিনের চেয়ার টেবিল ভাংচুর হয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




