বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে [সরকারকে] বাধ্য করতে 'দুর্বার আন্দোলন' গড়ে তোলা হবে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভায় বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আজ ষড়যন্ত্র চলছে।
"আজ আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।"
রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশকে যারা অকার্যকর ও পরনির্ভরশীল করে রাখতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্ণ হলেও দেশ সমৃদ্ধ লাভ করেনি। এখনো ওই ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় রয়েছে।
জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সা¤প্রতিক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তান থেকে চলে যান। ২৫ মার্চ রাতেই জেনারেল টিক্কা খান হত্যাযজ্ঞ চালায়।
"ওই সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানে কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পরের দিন মেজর জিয়া চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন।"
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে সেই দল থেকে [অনেকে] বেরিয়ে এসে জাসদ গঠন করেছিলো।
"তারাই আওয়ামী লীগকে রুখতে গণবাহিনী করেন। কর্নেল তাহের সেনাবাহিনীর মধ্যমে বিপ্লব করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন।"
কর্নেল তাহের ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলীতে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ৬০ জন কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি এ বিএনপি নেতা।
সংগঠনের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির অর্থনৈতিক সম্পাদক আবদুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জাসাসের সহসভাপতি বাবুল আহমেদ, ইমতিয়াজ হোসেন চপল, যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, জাহাঙ্গীর সিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে জাসাসের বিপাস আনোয়ার, শামসুদ্দিন দিদার, মীর সানাউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




