আমার জীবনটা এমনিতে খুব বাঁশ এ ভরা। গতকালটা ছিল তার অন্যতম। বৃহঃপতি বার আমার ক্লাস থাকে ৩টা। কিন্তু গতকাল একটা অতিরক্ত ক্লাস সহ টোটাল ৪টা ক্লাস ছিল। সেই সকাল ৮.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভার্সিটি থাকা লাগবে। উল্লেখ্য ভার্সিটি যেতে আমার বাস এ সময় লাগে জ্যাম থাকলে ১.৩০-২ ঘন্টা কিন্তু জ্যাম না থাকলে লাগে আধা ঘন্টা বা ৪৫মিঃ। সকাল ৬টা বাজে উঠে বাসের জাতা, ধুলা, জ্যাম এর ২ঘন্টার নদী পার হয়ে আর ক্লাস করতে ইচ্ছা করল না, ধুর "ক্লাস পড়ে ঘুম আগে

" থিওরিতে আরো কিছুক্ষন ঘুমালাম :-<

। আর সেকারনেই মনে হয় পুরা দিন্টাই হয়ে গেল বাঁশময় :-& । আর কিছুক্ষন ঘুমিইয়ে ১০.৩০ এ উঠলাম। ১১.৫০ এ আরেকটা ক্লাস। রেডি হয়ে বের হতে লাগল ১৫মিন। আমার পকেটে ছিল ৪০টাকা বের হয়ার সময় আম্মু দিসিল ১০০টাকা। টোটাল ১৪০ টাকা নিয়ে বের হইসি। স্টুডেন্ট ভাড়ার সুবাদে আমার যেতে আসতে লাগে মাত্র ২০টাকা। বাকিটা লাভ

। তো বের হইসি গিয়ে দেখি মহাখালি যাবার বাস বেঙ্গল বন্ধ

। কি কারন, ওই এলাকায় নাকি বস্তি ভাংচুর হইসে আবার ব্রাক ভার্সিটি এর পোলাপান মেয়েজনিত ব্যাপার নিয়া মারামারি করসে। আমার মাথায় হাত। তো বিকল্প পথ মানে চাইলাম মিরপুর ১৪ দিয়া যাইতে, অইখানে গিয়া দেখি ওই বাস ও বন্ধ। কি আর করা ৩০টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে গেলাম সৈনিক ক্লাব মোড় এ। উদ্দেশ্য অইখান থেকে আবার বাস এ চড়ে মহাখালি ফ্লাইওভার এর নিচে গিয়ে হেটে আমার ভার্সিটি যাওয়া। সৈনিক ক্লাব এ এসে দেখি ওরে জ্যাম। বাস আ উঠার চিন্তা বাদ দিলাম এদিকে আমার হাতে আসে ১৫ মিঃ। আবার ১১.৫০ এর ক্লাস এ একটা assignment সাবমিট করা লাগবে। আজ আবার ২টা assignment জমা দেয়া লাগবে। তো ভাবলাম রিক্সা দিয়ে বনানি এলাকার ভিতর দিয়ে চলে যাই। কিন্তু ওই রাস্তাও বন্ধ। এরপর রিক্সা নিলাম গুলশান ব্রিজ হয়ে বিশাল রাস্তা ঘুরে ৭০টাকা


রিক্সা ভাড়া দিয়ে পোছালাম ভার্সিটিতে। পকেট ফাঁকা আর Already ৪৫মিন লেট

। এইদিকে আমার assignment এর cover page+আরেকটা ম্যাথ করা page ভুলে আনি নাই

। কি আর করা ক্লাস করা বাদ দিয়ে cover page আর ওই ম্যাথ আবার করলাম। এরপর, ১.১৫ ঘন্টা লেট করে ক্লাস এ ঢুকলাম। স্যারকে assignment জমা দিলাম। বলে রাখি এটা ছিল পদার্থ বিজ্ঞান ক্লাস। আর স্যার খুব ঠান্ডা মেজাজের হয়ায় কিছু বলেন নাই

। ভার্সিটি লাইফ এ এই একটা জিনিস খুব মজার। স্কুল কলেজ হইলেতো কপালে খারাবি ছিল। যদিও সবাই এক রকম না। যাই হোক physics ক্লাস শেষ করে নামলাম নিচে অন্য বন্ধুদের কাছে। 2nd assignment যেই frnd এর করার কথা তার কাছে গিয়ে দেখি সে এমন copy-paste মারছে যে, যেই ভদ্রলোক copy-paste আবিস্কার করসে সে তা দেখলে নিজেরে তখনি গলা টিপা মারত। গেল মেজাজ খারাপ হয়ে। 2nd assignment টা ছিল Bangladesh Studies সাবজেক্ট এর। Engineering পড়তে গেলে যে আজাইরা অনেক Sub পড়া লাগে এইটা তার মধ্যে একটা। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই সাবজেক্ট এর লেকচারার এর সাথেই আমাদের কয়েক বন্ধুর খুব ভাল একটা সম্পর্ক হয়ে গেসে, উনি আমাদের বন্ধুর মত বল্লেও চলে। তাই উনি আমাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আসা করবেন পড়াশুনায় এইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারে assignment এর দায়িত্ব দিসি, সে যে এইভাবে সবকিসু তে পানি ঢালবে বুঝি নাই। যাই হোক assignment টা পূরা ক্লাস এ ছিল সবচেয়ে ফালতু। আর আমার Bangladesh Studies সাবজেক্ট এ A পাবার যে ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল তা চিরতরে OUT হয়ে গেসে। মন মেজাজ গেসে পুরাই খারাপ হয়ে। পকেটে নাই টাকা। এইদিকে বাঁশ...........মন মেজাজ সবই ছিল বিলা......

.......!!!
এইভাবেই গেল আমার বাঁশময় একটা দিন।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১