somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্যানজিম

১২ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কৈশোরটাকে পার করা আমি তখন দিশেহারা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে কোথায় ভর্তি হব এই নিয়ে চলছিলো নানা মাথা ব্যাথা। জন্মগত ফাকিবাজি স্বভাবের কারণে HSC এর পর পড়াশুনা করিনি। উলটা ভর্তি পরীক্ষার নামে ঘুরেছি। তো সব ভাল পাবলিক গুলাতে পরীক্ষা দিলাম। রেসাল্ট No Vacation টাইপ(চান্স পাওয়ার প্রশ্নও আসে না যদিও)। মানে Successfully Failed. B-)B-)B-)B-)



তো পরে ঠিক করা হল, প্রাইভেট ই শেষ ভরসা। সব দিক দিয়ে বিবেচনা করে আমি ঠিক করলাম ভরতি হব ঈস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি তে। কারন ছিল কম খরচে এটাই মান সন্মত একটা ইউনিভার্সিটি। কোন কারণে যদি এটাতে না হত, আমি একবছর ড্রপ দিতাম। এর মধ্যে আরো নানা ঝামেলা হইসে, অগুলা লিখলে এই নোট এর বাহুল্য দোষ হবে, সুতরাং অগুলা বাদ। তো প্ল্যান অনুযায়ী আমি আমার দুই বন্ধু সীমান্ত আর ফাহিম রে নিয়া যাই ঈস্ট ওয়েস্ট এর form তুলতে। ভার্সিটিটার সামনে গিয়া আমি একটা ধাক্কার মত খাই, হায়রে ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম সবুজে ভরা একটা ক্যাম্পাস হবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়, ঘাসের মধ্যে বসে বসে আড্ডা মারবো, কিন্তু একি। কিছু করার নাই, বাস্তবতা মেনে গেলাম form তুলতে। /:)/:)/:)



ফর্মটা জমা দেয়ার সময়ই ওরে দেখলাম। ছেলেদের মত কাট দিয়ে গোমড়া মুখের একটা মেয়েও আসছে ফর্ম জমা দিতে। দেখতে "কেমন জানি" টাইপ লাগতেসিল। পরে ফেসবুক এ একটা স্ট্যাটাস দিসিলাম ওরে নিয়া, কি দিসিলাম মনে নাই। :P



আমার ভর্তি এক্সাম, কই আমার পড়া উচিত, উলটা আমি ফুটবল, মুভি নিয়া ব্যাস্ত। এক্সাম এর আগের দিন গেলাম আর্মি স্ট্যাডিয়াম এর কন্সার্ট এ, ফিরলাম রাত ১১টায় B-) !:#P । মানে আমার ভর্তি হইতেই ইচ্ছা করতেসিল না ভিতর থেকে। তাই এই অবস্থা। তো পরের দিন ভর্তি এক্সাম দিতে গেলাম। জ্ঞান হইল ইন্টার এ যা পরসি তাই। আমার ভাব এমন, হইলে হইল না হইলে নাই। এক্সাম দেয়ার সময় আবার ওরে দেখলাম, একি রুম এ সেও পরীক্ষা দিচ্ছে। শালার ভাব কিরে। বুঝলাম মুডি অনেক। কোন রকম এক্সাম দিলাম।



কেমনে জানি চান্স পাইলাম। সুখি হয়ার চেয়ে মনে হয় কষ্ট পাইলাম /:)। এমন একটা ক্যাম্পাস এ পড়ার কোন ইচ্ছাই আমার ছিল না। যাই হোক ভর্তি হইলাম। দিন যাইতে লাগলো নতুন কিছু বন্ধু হইল, ওরে আর দেখলাম না। যদিও আমরা একি ডিপারমেন্ট এ ছিলাম, কিন্তু অর Section আলাদা ছিল। আমিও ভুইলা গেলাম। হঠাত ফেসবুকে কেমনে যানি ওরে পাই। এড দেই। ওখান থেকেই কথা শুরু। আজাইরা আলাপ আরকি। চালাইতেসি। আবার একদিন ভার্সিটি তে দেখলাম, কিন্তু কথা বলার সাহস হইল না, আমি আবার ভীতু টাইপ এর পোলা আসিলাম। চ্যাট এর মাধ্যমেই জানলাম সেও মিরপুর এই থাকে। মনে মনে বললাম, যাহ শালা এই মুডি মেয়ে আমার ধারে কাসে থাকে। :P



আমি আর "শুভ" বাস এ একসাথে যাই আর আসি। তো একদিন বাস এ দেখলাম ও দাঁড়ায় আসে। আমি আর শুভ বসে ছিলাম। শুভ আবার ওরে চিনতো। মানে আমার মতই চিনত কিন্তু পরিচয় নাই। ও বলল ওই মেয়েটারে ডাক দিয়া বস্তে বলি দাড়া। মানে শুভ তার সিটটা ওরে ছেড়ে দিবে। আচ্ছা আমি ওরে ওরে করতেসি কেন। আমার এই বন্ধুটার নাম তানজিম। আমি শুভ রে কইলাম কি দরকার? কেউ এইটা ভাবতে পারে যে আমি শয়তান ছিলাম তাই শুভরে বাধাঁ দিসি, কিন্তু না, শুভ উঠলেই ও আমার পাশে বসবে, আমার জন্য একটা অসস্থিকর ব্যাপার হবে। আগেই বলসি আমি মেয়েদের বেপারে অনেক ভিতু টাইপ ছিলাম :-& :!> :#> । যাই হোক ম্যাডাম আসিলেন, বসিলেন এবং চিরায়ত মেয়েলি স্বভাব অনুযায়ী বক বক শুরু করিলেন। আমরাও কথা বললাম। শালার মাঝখানে বাস গেল আগারগাঁ তে নষ্ট হইয়া X(। তো আমি আর শুভ রিক্সা নিলাম, সে আরেকদিকে চলে গেল বিদায় নিয়ে।



এভাবে ছিল তানজিম এর সাথে আমার পরিচয়। মজার কথা হল এই গোমড়া মুখের মেয়েটা কবে কিভাবে কেমনে জানি আমার এত ক্লোস ফ্রেন্ড হইসে আমি টের ও পাই নাই। আর এই মেয়ে মুডি না, আলগা ভাব ধরে আরকি। :P আমি আর শুভ মাঝে মাঝে ওর চা খাইতে ওর বাসায় যাই, জোস চা বানায় ও। আর চলে তুমুল আড্ডা। :)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×