সকল সুসংগঠিত জীবের দেহ কোষ দিয়ে গঠিত। উদ্ভিদ ও প্রাণী জগত নিয়ে জীবজগৎ গঠিত। এরা খায়, শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়, অপ্রয়োজনীয় অংশ শরীর থেকে ফেলে দেয়, এবং তাদের জন্ম-মৃত্যু আছে। সাধারণভাবে তাদের দেহের বৃদ্ধি ঘটে। আলো, তাপ, ঠান্ডা, স্পর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্দিপনায় সাড়া দেয়।
উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের বংশ বৃদ্ধি হয় প্রজনন প্রক্রিয়ায়। জীবের কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হল:
শ্বসন: শ্বসন বা respiration প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের সাহায্যে সজিব কোষ খাবারের মাধ্যমে তৈরী স্থিতিশক্তিকে গতিশক্তিতে রূপান্তর করে। এই শক্তির সাহায্যে জীব তার বিভিন্ন জৈবিক কাজ করে থাকে। জীবের জীবন ধারণের জন্য শরীরবৃত্তিয় শ্বসন এবং কোষীয় শ্বসন দুটি-ই অপরিহার্য। সরল এককোষী জীব ও বহুকোষী জীবের শ্বসন-এ কিছুটা ভিন্নতা থাকে।
পুষ্টি: জীবদেহের শক্তির উৎস খাদ্য। এই খাদ্য শক্তি স্থিতিশক্তিরূপে জমা হয়ে থাকে ও প্রয়োজনে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের সাহায্যে গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে খরচ হয়। খাদ্যের এই স্থিতি শক্তিই পুষ্টি।
পুষ্টি হল পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু আহরন করে খাদ্যবস্তুকে পরিপাক ও শোষণ করা এবং আত্তীকরন দ্বারা দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ, রোগ প্রতিরোধ, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করা ৷
মাটি ও পরিবেশ থেকে উদ্ভিদ তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি,শরীরবৃত্তীয় কাজ ও প্রজননের জন্য যেসব পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে তাই উদ্ভিদ পুষ্টি৷ উদ্ভিদের পুষ্টির উৎস বায়ু মণ্ডল, পানি ও মাটি৷
প্রাণী বিভিন্ন উপাদান থেকে পুষ্টি পেয়ে থাকে ৷ আর এই উপাদান গুলো ৬ টি ৷ যথা:- আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। এর অভাবজনিত রোগগুলো হলোঃ গলগন্ড, রাতকানা, রিকেটস, রক্তশূন্যতা
রেচন (Excretion): শক্তি এবং বৃদ্ধির প্রয়োজনে জীব (উদ্ভিদ এবং প্রাণী) খাদ্য গ্রহণ করে । খাদ্যদ্রব্যগুলোর পরিপাক এবং বিপাক এর কালে কিছু অপ্রয়োজনীয় পদার্থ সৃষ্টি করে । অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বস্তুগুলো একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে নিষ্কাষিত হয় । প্রক্রিয়াটির নাম রেচন।
রেচন প্রক্রিয়ায় নিষ্কাষিত বস্তুগুলোকে বলা হয় রেচন পদার্থ । রেচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অঙ্গগুলোকে বলা হয় রেচন অঙ্গ। প্রাণীদের তুলনায় উদ্ভিদের বিপাক ক্রিয়া ধীরগতিতে সম্পন্ন হয় এবং উদ্ভিদের নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ না থাকায় বর্জ্য পদার্থের নিষ্কাশন ও একটি ধীর প্রক্রিয়া ।
বৃদ্ধি: খাবার খাওয়ার ফলে দেহে শক্তি জমা হয় এবং শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে। দেহের বৃদ্ধিতে প্রোটোপ্লাজম মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
চলাচল: প্রাণী স্বেচ্ছায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারে কিন্তু উদ্ভিদ পারে না। উদ্ভিদ শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে পারে এবং ফল ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করতে পারে।
উদ্দীপনা: সকল জীব ঠান্ডা, তাপ, স্পর্শ, আলো ইত্যাদি উদ্দিপনা ও উত্তেজনায় সাড়া দেয়।
বংশবৃদ্ধি : প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি জীব নিজের অনুরূপ জীবের জন্ম দিয়ে বংশ বিস্তার করে থাকে।
জীবন চক্র: জীবের জন্ম হয়, বড় হয়, বংশ বিস্তার করে এর্ং মারা যায়। টা জীবের জীবনচক্র।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৪