নূরী চুপচাপ থাকে বরাবর। ছোট বোন পরী একটু চঞ্চল। ওরা সবসময় মা-এর গন্ডিতে থাকতে চায় না। মা ওদেরকে একা ছাড়েন না। দুই মেয়েকে নিয়ে মা খুব উদ্বিগ্ন থাকেন। ওদেরকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখতে চাইলেও রাখা যায় না। এই ঘর, ওই ঘর, সেই ঘরে চলে যাবে। মেয়েগুলো একা বাইরে যাবে না বলে মা-কে ক্থা দিয়েও কখন যে চলে যায়, তা তিনি টের পান না। মা বুঝতে পারেন, দশ আর সাত বছর - এই বয়সের বৈশিষ্ট্যের কারণেই মেয়েগুলো ঘরের বাউন্ডারিতে থাকতে চায় না। কিন্তু কি করবেন, নিজের অতীত স্মৃতি সারাক্ষণ নিজেকে তাড়িয়ে বেড়ায়। নিজের কৈশোরের দুঃসহ স্মৃতি কয়েকটি পুরুষের প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা কাজ করে। প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে থাকে মনে। সবাই আদর করে, কাছে ডাকে, কথা বলে। তাই সবার সাথে মিশেছে। আজিম, খালাতো ভাই, একদিন তার....... মনে আনতেই দিগ্ববিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। আজিম কোন দুঃসাহসে গালে, বুকে হাত দিবে! একদিন এক বুড়ো দাদা বলে পা টিপে দিতে। পায়ের গোড়ালী থেকে আস্তে আস্তে টিপা উপরের দিকে নিয়ে যেতে বলে। কেমন একটা ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে এসেছে। মানুষ এমন হবে কেনো? সারাক্ষণ নূরী আর পরীর দিকে চোখ রাখলেও ওরা কখন যে এদিক ওদিক চলে যায়, চোখের আড়াল হয়ে যায় ! কিভাবে ওদেরকে যৌন নির্যাতন থেকে নিরাপদে রাখা যায় ?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৫