রোশন খান ছাড়া এ পুজোর কথা ভাবাই যায় না। দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজটি করেন বছর তেত্রিশের এই মুসলিম যুবক। প্রতিমা গড়ার বিনিময়ে নেন না একটি পয়সাও। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার আদ্রার কাশিপুর থানার বেকো গ্রামে গত 6 বছর ধরে সার্বজনীন দুর্গাপুজোয় এমনটাই হয়ে আসছে। এ নিয়ে কখনো কেউ প্রশ্ন তোলেনি। বরং রোশনের হাতের কাজে সবাই মুগ্ধ।রাশনের প্রথাগত কোনো শিক্ষা নেই। তবে মুম্বাইয়ের একটি আর্ট স্কুলে পড়তে গিয়ে টাকা পয়সার জন্য আর পড়া হয়নি, মাঝপথেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে। এখন আদ্রার কেন্দ্্রীয় বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের আর্টটিচার। ছবি অাঁকা শেখানোর স্কুলও আছে তার। রোশন আমাদের সময়কে বললেন, ছোটবেলায় সময় পেলেই রঙতুলি নিয়ে বসে যেতাম। বাড়ির বড়রা কোনোদিন বাধা দেয়নি। 1991 সালে গ্রামের পুজোয় প্রথম সরস্বতী ঠাকুর তৈরি করেছিলাম। রোশন আরো বলেন, আমার পরিচয় আমি শিল্পী। জাত-পাতের কোনো ছুঁৎমার্গ শিল্পীর জীবনে থাকতে পারে না। রোশনের এই কথায় গ্রামবাসী থেকে পুজো কমিটির সবাই এক মত। পুজোর 3 সপ্তা আগে সব কাজ ছুটি নিয়ে প্রতিমা গড়ায় হাত দেন রোশন। বেকো গ্রামের দুই তরুণ হরেকৃষ্ণ মন্ডল ও রামনাথ বাউরি তার কাজের সহকারী। এক সময় তারা রোশনের কাছে অাঁকা শিখতো। রোশন বলেন, 6 বছর আগে ওরাই আমাকে প্রতিমা তৈরির প্রস্তাব দেয়। তারপর থেকে প্রতি বছর দুর্গা প্রতিমা গড়ছি। আমি চাই দেবীকে এমনভাবে গড়তে, যাতে দেখা মাত্রেই ভক্তিভাবের উদয় হয়। এটা হলেই আমি সফল।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



