তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদকালকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। পাশাপাশি, অবৈধ অস্ত্রের মজুদও বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। প্রধান দুই ছাত্র সংগঠনের নেতারাই আন্ডারওয়ার্ল্ডের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঢাবির আবাসিক হলগুলোতে নিজ সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে প্রধান দুই ছাত্র সংগঠনই এখন তৎপর। এরইমধ্যে ছাত্রদল বিভিন্ন হলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখতে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে ঈদের ছুটিতে নেতাকর্মীদের হল ছাড়ার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই লক্ষ্যে আবাসিক হলগুলোতে অস্ত্র মজুদেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছাত্রদল নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলোতে এরইমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হকিস্টিক, ছুরি, লাঠিসোঁটা মজুদ শুরু হয়েছে।
দল ক্ষমতায় না থাকায় ছাত্রলীগের পক্ষে কাজটি অতো সহজ হচ্ছে না। সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গত 5 বছর ঢাবির বিভিন্ন হল ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ক্ষমতার পালাবদলের এ সময়ে ছাত্রলীগ যে কোনো মূল্যেই হোক অনত্দত দু'চারটি হল নিজেদের দখলে রাখতে চাইবে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা না আসা পর্যনত্দ ছাত্রলীগ এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তবে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হলে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে জগন্নাথ হল, শহীদুল্লাহ হল, জহুরুল হক হল এবং ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের প্রধান টার্গেট। হলগুলোতে অস্ত্রের মজুদ হচ্ছে এ তথ্য স্বীকার করে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বলেছে, যে কোনো সময় ঢাবির হলগুলোতে তল্লাশি হতে পারে।
এদিকে ঢাবি কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সহিংসতার আশঙ্কায় এবং প্রধান দুই ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সিন্ডিকেটের গত বৈঠকে হলগুলোর প্রবেশদ্বারে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধানত্দ নেয়। এছাড়াও ক্যাম্পাসে র্যাব ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



