বাংলাদেশের নাগরিক না হয়েও অবৈধভাবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট সংগ্রহ করছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীচক্র। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা ঘরে বসে বাংলাদেশী পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই চক্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম ছাড়াও নারী-শিশু ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। একাধিক সূত্র জানায়, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের কয়েকশ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। গত বছরের 5 সেপ্টেম্বর হংকংয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী 7 জন ভারতীয় নাগরিক এবং চীনে 6 জন পাক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ওই দেশের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে চীন ও হংকংয়ে নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। চীন ও হংকংয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টসহ 13 জন ধরা পড়ে পর গত মে মাসের প্রথম সপ্তায় ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অতি জরুরি পাসপোর্ট করতে (72 ঘণ্টা) 5 হাজার টাকা, জরুরি (30 দিন) 3 হাজার টাকা এবং সাধারণ (3 মাস) 2 হাজার টাকা ফি দিতে হয়। কিন' পাসপোর্ট গ্রহীতাদের অভিযোগ, এসব নিয়ম মেনে নৈতিক পন্থায় পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। টাকা খরচ না করলে নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়া হয়। আবেদনপত্র জমা দিয়েও ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। অথচ দেড় হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে দালালের মাধ্যমে মাত্র 15 দিনে এবং 1 হাজার টাকা দিলে 20 দিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আশপাশের ফোন ফ্যাক্স ও চায়ের দোকানে বসেই দালালরা এসব চুক্তি করে কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই প্রতিদিন লোকজনকে পাসপোর্ট করে দিচ্ছে। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়েই দালালরা এসব কর্মকাণ্ড করছে।
একটি দালালচক্র ঘিরে রেখেছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিস। তারা প্রকাশ্যেই পাসপোর্ট গ্রহীতাদের সঙ্গে দরদাম করে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



