তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সংস্ট্কারে সাবেক বিরোধী জোটের দীর্ঘদিনের আন্দোলন শেষে হিমালয়ের মুসিক প্রসবে পরিণত হয়েছে। 2001 সালে 4 দলীয় জোট সরকার নির্বাচনে জয়লাভ করে দীর্ঘ পাঁচটি বছর কিভাবে দেশ শাসন করে মেয়াদ শেষ করেছে এ দেশের জনগণের কাছে তা অজানা নয়। তাদের পাঁচ বছরের শাসন আমলে দেশের জনগণ কেমন ছিল, তাদের জীবনযাত্রা কিভাবে কেটেছে তার কয়েকটি চিত্র অগ্ধকন করলেই পাঠকের কাছে তা সঙ্ষদ্ব হবে। এর ভেতর বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা করার পরিকল্কপ্পনা অন্যতম। তারপর যা উল্ক্নেখ করতে হয় তা হলো দ্রব্যমহৃল্য নিয়ন্পণে চরম ব্যর্থতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, বিরোধী দলের নেতাকমর্ী ঠেঙ্গিয়ে দেশ ছাড়া করা, বিদু্যৎ খাতে ঘাটতি এবং সীমাহীন দুনর্ীতি, এমপি, মন্পী এবং জাতীয়তাবাদী আমলাদের দুনর্ীতির মাধ্যমে জনগণের অর্থ আত্দ্মসাৎ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া, প্রশাসনে নজিরবিহীন দলীয়করণ_ এতসব অপকর্ম করার পর তারা সঙ্ষদ্বত বুঝতে পেরেছে যে, জনগণ পরবতর্ী নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে না। তাহলে কি করা যায়? একমাত্র নির্বাচনী কৌশল অবলল্ফ্বন করা ছাড়া কোনো গত্যনস্নর নেই। এ ব্যাপারে ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াত অগণতান্পিক এবং অনৈতিক কায়দায় বিএনপির নেতাদের বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়াকে সামনে এগুতে পরামর্শ দিতে থাকে। বেগম খালেদা জিয়াও কায়েমী স্ট্বার্থ এবং ক্ষমতাকে দীর্ঘদিন অাঁকড়ে থাকার প্রলোভনে পড়ে একটার পর একটা ষড়যন্প এঁটে দেশের প্রচলিত গণতান্পিক ধারায় অবক্ষয় সৃষদ্বি করতে থাকেন।
যেদিন খালেদা জিয়া কেএম হাসানের বয়সসীমা বাড়িয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বানানোর মহাঅনৈতিক পরিকল্কপ্পনা করেছেন, বিরোধী দল সেদিনই এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছিল। খালেদা জিয়া সে প্রতিবাদে কর্ণপাত করেননি। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা না করে এমএ আজিজের মতো একজন বিতর্কিত চরিত্রের অধিকারী অসজ্জন লোককে সিইসি পদে নিয়োগ দিয়ে পরিস্টি্থতি অগ্গিম্নগর্ভ করে তোলা হয়েছে। এরপর যাকে নিয়ে এ নিবল্পেব্দর শিরোনাম সেই উপদেষদ্বা ফজলুল হক যিনি দায়িত্দ্ব নেওয়ার পরই এমএ আজিজের কায়দায় কথা বলছেন, এমএ আজিজের মতো দুর্বিনীত আচরণ করছেন, এমএ আজিজের মতো ঔদব্দত্য প্রকাশ করছেন। যার ফলে 14 দলীয় জোটসহ অনেকেই তাকে উপদেষদ্বা পদ থেকে সরানোর দাবি তুলছেন। বেগম খালেদা জিয়া অপকৌশলের মাধ্যমে কেএম হাসান, এমএ আজিজ এবং তার তিন সহযোগীকে বিতর্কিত করে তাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। উপদেষদ্বা ফজলুল হকের জন্যও হয়তো সেই পরিণতি অপেক্ষা করছে। বিএনপি এ পর্যনস্ন যেসব ত্যাগী নেতা এবং ব্যক্তিত্দ্বসমঙ্ল্পম্ন মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তার মধ্যে উল্ক্নেখযোগ্য হলেন সাবেক রাষদ্ব্রপতি ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কর্নেল অলি আহমেদ প্রমুখ।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্টস্ন উপদেষদ্বা ফজলুল হককেও এমএ আজিজের সতীর্থ বলে মনে হয়। উপদষদ্বা নিয়োগের পর মুহহৃর্ত থেকে তিনি যেসব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন তা কাম্য নয়। জাতির স্ট্বার্থে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্ট্বার্থে এসবের অবসান জরুরি। কারণ, তাদের কার্যত্রক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের আমজনতার স্ট্বার্থ।
**সংগৃহিত**

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



