আজকের এ প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে প্রতি পদে পদেই একজন তরুণকে সামলাতে হয় প্রতিযোগিতার ধাক্কা। হোক না সেটা চাকরি ক্ষেত্রে, ব্যবসায়, শিল্প-সাহিত্যকর্মে অথবা ভর্তি পরীক্ষায়। আমাদের চারপাশে হাজারও সাফল্যের উদাহরণ থাকলেও ব্যর্থতার নজিরও অসংখ্য। আর তাই যে কোনও কাজের ফলাফলে সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা দুয়েরই সম্ভাবনা থাকে। সামলাতে হবে স্নায়ুচাপ অযথা টেনশনের ধাক্কা। সবার আগে পজিটিভ মনোভাব, এগিয়ে চলার মানসিকতা ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে সাফল্য আসবেই।
চাই একাগ্রতা : যে কোনও কাজের প্রস'তির অন্যতম শর্তই হল ভুলত্রুটির ওপর কড়া নজরদারি এবং ভুল ধরা মাত্র তা শুধরে নেওয়া। আর এক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য চাই প্রাথর্ীর মানসিকতা, নিষ্ঠা ও কাজের প্রতি ভালোবাসা। কাজের প্রতি আন-রিক ভালোবাসা থাকলে ব্যর্থতার শিকার হলেও হতাশার শিকার হতে হয় না। বাড়ে মনোযোগ, একাগ্রতা এবং জেদ।
হাল ছেড়ো নাঃ সাফল্যের আরও একটি অন্যতম শর্ত হল স্নায়ুর চাপে ভেঙে পড়ে হাল না ছেড়ে শেষ পর্যন- লড়াই চালিয়ে যাওয়া। তাই সবরকম ভুলচুক শোধরানোর জন্য নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। তাহলে নতুন ভুলের আশংকুা যেমন এড়ানো যাবে তেমনি কাটিয়ে ওঠা যাবে পুরনো ভুলগুলোও।
নিজেকে করে তুলুন আরও যোগ্য : সফলতার জন্য যোগ্যতার কোনও বিকল্প নেই। জেনারেল নলেজে ঘাটতি? প্রথমে দরকার খবরের কাগজ, রেডিও-টিভির খবরাখবরে আগ্রহ ও মনোযোগ বাড়ানো। সম্ভব হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স-রের পুরনো পড়া বইগুলো আবার জোগাড় করে খুঁটিয়ে পড়ে ফেলা।
চাই পেশাদারি মনোভাব : একথা সবারই জানা যে, হুটহাট করে আবেগের বশে কোনও সিদ্ধান- নিলে ক্যারিয়ারের জন্য তা কখনও শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না। চাই পেশাদারি মনোভাব। সাফল্য পেতে হলে তাকাতে হবে নিজের দিকে আর কাজের দিকে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের সম্ভাবনা আর যোগ্যতার বিচার করে সাফল্যের পথে পা বাড়ানো উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



