কেন্দ্রীয় সদস্য সল্ফ্মেলনকে ঘিরে চট্টগ্রামে চাঁদাবাজিতে নেমেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, আন্দরকিল্ক্নাসহ শিবির অধু্যষিত এলাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও বিভিল্পম্ন উপজেলায় চলছে এই চাঁদাবাজি। শিবির কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাধারণ ছাত্র, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তার কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিপুল অগ্ধেকর টাকা। কোনো কোনো স্ট্থানে শিবিরের ছাপানো কুপন ছাড়াই চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ।
আগামী 31 জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সল্ফ্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সল্ফ্মেলন। সল্ফ্মেলন উপলক্ষে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ স্ট্বাক্ষরিত পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ শ টাকার কুপন ছাপায় ইসলামী ছাত্রশিবির। এ কুপন দিয়েই 15 দিন ধরে চলছে চাঁদাবাজি। শিবির অধু্যষিত নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া ও আন্দরকিল্ক্না এলাকার ব্যবসায়ী, ঠিকাদার থেকে শুরু করে সাধারণ মুদি দোকানি_ সবাইকেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কুপন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চকবাজারের এক কমঙ্িউটার ফার্মের মালিক জানান, 'কুপন ধরিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, টাকা এখন না থাকলে পরে দিলেও চলবে। পরে এসে তারা চাঁদা নিয়ে যায়। শিবিরের এলাকায় ব্যবসা করছি তাই টাকা তো দিতেই হবে।'
চট্টগ্রামের বিভিল্পম্ন উপজেলায়ও চলছে শিবিরের চাঁদাবাজি। এজন্য শিবির কর্মীদের নির্দিষদ্ব চাঁদা আদায়ের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে সহৃত্র জানায়। তাই টার্গেট পহৃরণে মরিয়া হয়ে উঠেছে শিবিরের কর্মীরা। পাড়া-মহল্ক্নায় কেউ চাঁদা দিতে না চাইলেও ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কুপন।
সহৃত্র জানায়, শিবির মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাকে 4 লাখ টাকা, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় 3 লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে 1 লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ছাত্র হল, একটি হোসদ্বেল ও প্রায় 40টি কটেজ মিলে ক্যামঙ্াসে প্রায় চার হাজার ছাত্রের বসবাস। হলের ছাত্রদের ওপর গড়ে দুই থেকে তিন শ' টাকা চাঁদা ধার্য করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা 5 শ' থেকে এক হাজার কিংবা দেড় হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এ হিসেবে শিবিরের আয় হচ্ছে কয়েক লাখ টাকা। এছাড়া ক্যামঙ্াসের 76টি দোকানও বাদ পড়ছে না চাঁদার কবল থেকে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দোকানদার সমিতির সভাপতি আলী নবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সমকালকে বলেন, 'অনেক দোকানদার টাকা দিয়েছে। না দিয়ে কোনো উপায় নেই।' সল্ফ্মেলনের নামে চাঁদাবাজি সমঙ্র্কে শিবির মহানগর উত্তর সভাপতি আনোয়ার আলম চৌধুরীর দৃষদ্বি আকর্ষণ করা হলে তিনি সমকালকে বলেন, 'আমরা কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছি না। কেউ স্ট্বেচ্ছায় দিলে নিচ্ছি।' কেন্দ্র থেকে চাঁদা আদায়ের টার্গেট বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কর্মসহৃচি বাস্টস্নবায়নের জন্য সংগঠন সহযোগিতা চাইতেই পারে। কত টাকা দিতে হবে তা নির্দিষদ্ব করে দেওয়া হয়নি। তবে বেশি দিতে পারলে ভালো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



