somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখন মনে হচ্ছে এই ধাক্কাটা দরকার ছিল

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেপ্টেম্বরের শেষে আমি ও আরেকজন মিলে একটি ই-কমার্স বিজনেস চালু করি। ১৫ দিনের মধ্যেই পেয়েছিলাম প্রথম অর্ডার। বলে বুঝাতে পারব না, কত খুশি ছিলাম সেদিন। কিন্তু এই সুখ কপালে সহ্য হল না। আমার পার্টনার আমাকে সাথে রাখতে চায় না। আমার অপরাধ ছিল-
১) আমি নাকি কিছুই করেনি। উল্লেখ্য সাইটটি তিনি নিজেই ডেভেলপ করেছিলেন। ফলে তিনি বলেই বসলেন, সাইট নিতে চাইলে আড়াই লাখ টাকা লাগবে। সেদিন এত কষ্ট পেয়েছিলাম যে বলে বুঝাতে পারব না। বুকটা ফেটে যাচ্ছিল কান্নায়। কারণ সাইটটি নিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করেছিলাম আমি।
২) আমি ফেসবুকে একটি ইভেন্ট ক্রিয়েট করেছিলাম। আমার কাছে ছিল সেটা একটা চমৎকার আইডিয়া। যেহেতু আমাদের ক্যাপিটাল কম ছিল সেহেতু আমি চেয়েছিলাম খুব কম খরচে অনেক বেশি মার্কেটিং করতে। এই জন্যে আমি ইভেন্ট দিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের সাইট নিয়ে যেকোন প্রিন্ট মিডিয়া, ব্লগ, অনলাইন নিউজে লিখুন এবং আমাদের পেজে শেয়ার করুন। প্রথম স্থান অধিকারীকে একটি ঢাকা কক্সবাজার এসি বাসের টিকিট দেওয়া হবে। আমি এই ইভেন্ট ক্রিয়েট করি উনার সাথে আলোচনা করেই। কিন্তু পরে তিনি বেঁকে বসলেন। বললেন, কেউ নেগিটিভ লেখা লিখলে কি করবেন। আমি বললাম, আমরা তো খারাপ কোন কাজ করছি না, নেগেটিভ লিখবে কেন, আর যদি লিখেই তাহলে তো আমাদের জন্যেই ভাল কেননা আমরা আমাদের সাইটটিকে আরো ভাল করে নিতে পারব। তিনি বললেন, আপনার সাথে আমার বিজনেস করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনার সাথে বিজনেস করব না। বলেই তিনি আমাকে বাদ দিলেন এবং সাইট এ্যাডমিন প্যানেলেও আমার ঢুকা বন্ধ করে দিলেন। আমার নামে ডোমেইন হোস্টিং ছিল না বলে আমি কিছু করতে পারিনি। পরে অবশ্য তিনি আবার সাইটটি কিনে নেওয়ার কথা বলেন। আমি বলি, দরকার নেই আর। ডোমেইন কেনার জন্যে যে টাকা দিয়েছিলাম সেটা অবশ্য ফেরত দিলেন।
এরপর প্রতিজ্ঞা করে আবার শুরু করলাম নিজে। http://prattohik.com/en/ আমার এক বড় ভাই বিনা পয়সাতেই সাইটটি করে দিলেন। যাত্রা শুরু করলাম এই নভেম্বরের ১ তারিখে। পরিশ্রমেই ফল মিলে। একটু একটু করে আবার সাফল্য পাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে এই ধাক্কাটা দরকার ছিল।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×