আমরা সত্যিকার অর্থে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপর খুব বেশি জড়িয়ে পড়ছি। নিজস্ব ব্যক্তিত্ব,সুখ-আনন্দ, বিনোদন আজকাল ভার্চুয়ালিটির উপর নির্ভর করে।আজকাল ফুটবল মাঠে গিয়ে বিনোদন খুঁজে পায় না,ঘরে বসে লাইক -কমেন্টে ভরপুর দুনিয়ায় বিনোদন নিতে চায়।
গত ছয় -সাত বছর আগেও ফেসবুকের এতটা আধিপত্য ছিলো না। মানুষ আজকাল এভাবে নিজের সময় গুলো কে কাটায় ফেসবুকের মাধ্যমে,তাদের সুখ-দুঃখ অনেকটা নির্ভর করে এই ফেসবুক দুনিয়ায়।আজকাল স্মার্টফোন ভার্রচুয়াল রিয়েলিটির ব্যপারটা আরো প্রক্ট করে দিয়েছে,আজকাল স্বপ্ন সেখি এই স্মার্টফোন দিয়ে।
সেলিব্রিটি শব্দ টার সাথে পরিচিতি আমার খুব কম ছিলো। ফেসবুক দুনিয়ার মাধ্যমে এই শব্দটার সাথে পরিচিতি খুব হইলাম। যার যত বেশি লাইক কমেন্ট সে তত উঁচু মানের সেলিব্রিটি। আর এই আকর্ষণ এর জন্য অনেকেই ফেসবুক চালায়। তারমানে যারা সত্যিকার অর্থে সেলিব্রিটি তারা কি ফেসবুকের মাধ্যমে উঠে এসেছিলো, মনে রাখতে হবে তারা তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে উঠে এসেছিলো। আজকাল অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে লেখক,অভিনয় শিল্পী কিংবা পপুলারিটি চায়। হতে চাও লেখক পড় প্রচুর বই আর অনুভব কর দুনিয়াটাকে,অভিনয় শিল্পী হতে চাও, থিয়েটার এ যাও,মঞ্চনাটক কর।পপুলারিটি চাও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে উঠ,মানুষের পাশে দাঁড়াও তাতেই চলবে।মনে রেখ ফেসবুক দিয়ে এগুলোর কিচ্ছু হবে না।সেলিব্রিটি শব্দটার ওজন অনেক বেশি,যেটা এত সহজে পাবার নয়।
আমরা স্বপ্ন দেখি, সেগুলোর বাস্তবায়ন টা পাই পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে।ভার্চুয়াল এইসব ব্যপার গুলো ক্ষণস্থায়ী, এগুলা যাবে আসবে। আজ হয়তো ফেসবুক,সেল্ফি,লাইক, কমেন্ট। কাল হয়তো অন্যকিছু.......। জীবনের স্বপ্নগুলো সোজা পথে বাস্তবায়ন এর জন্য চেষ্টা চালাই সেটাই হয়তো কাজে দেবে।
ফেসবুকের লাইক কমেন্ট তোমাকে কিচ্ছু দেবে না,জোর কতকগুলা ভালো বন্ধু......কিন্তু তুমি চাইলে বাস্তবে এর চাইতে ভালো বন্ধু পেতে পারো, খুঁজেই দেখো না একবার।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বেস বলতে ফেসবুক কেই বোঝায়, আজকে তাই এটারই কিছু একটা বললাম,সামিনে হয়তো আরো বলবো। বাকিগুলো না হয় তোলা থাকলো।
মনে রেখ অলীক নয়, বাস্তবটাই জীবনকে টেনে নিবে।