বাস্তবতার কশাঘাতের পরে তোমার স্পর্শ আমাতে মায়াবী পরশ বুলায়।
রুক্ষতার আততায়ী ক্ষত জুড়ে স্নিগ্ধতার আবেশ ছড়ায়।
তোমার মোহনীয়তা সহস্র কবির মনে বান ডেকে যায়
আর তা দেখে আমার বড্ড ঈর্ষা হয়..
চাঁদ,তোমার সব টুকু সৌন্দর্য শুধু আমার জন্য হলো না কেন!
পরিশ্রান্ত আমি,
বিধ্বস্ত আমি,
ভীষন ঘুম পাচ্ছে,
ঘুমাবো আমি,অস্তিত্বের অতলান্তে।
ঘরময় আঁধারের মাঝে তোমার নান্দনিকতার পরশ আমার উপর।
আমি ঘুমাচ্ছি,সারাটা ক্ষন জুড়ে জেগে রয়েছো আমার পাশে ।
..................................................................
আমি ঘুমোতে পারছি না কেন?
চোখের উপর অস্ফুট যন্ত্রনার রেশ
আলোতে বারবার আমার ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে,
চাঁদ, তুমি সরে যাচ্ছনা কেন?
তুমি জানোনা,আমি আলোতে ঘুমোতে পারিনা?
তোমার সৌন্দর্য এখন ভীষন জ্বালাময় আমার জন্য।
চাইছি না আর কোনো স্নিগ্ধতায় লীন হতে।
দুচোখে আমার সারা পৃথিবীর ঘুম,
আমাকে ঘুমোতে দাও।
আমাকে ঘুমোতে দাও।
তবুও যাচ্ছ না?
তুমি তো অন্য নক্ষত্রের আশির্বাদপুষ্ট,
নিজের তো কিছুই নেই তোমার।
অনেকটা ঈশপের গল্পের সেই কাক টার মতো
যে অন্য পাখির পালক শরীরে লাগিয়ে সুন্দর হতে চেয়েছিল।
ধার করা সৌন্দর্য দিয়ে সবার মন ভরিয়ে রাখো,
আমাকে পেতে হলে নিজে আলো হয়ে এসো।
যে আলোকে আমি আমার নিজের মত সাজিয়ে নিতে পারবো।
এখন আমাকে ঘুমোতে দাও।
আমি জানালার পর্দা টেনে দিচ্ছি।
..........................................................................
(সহস্র প্রহর পেরিয়ে কোনো একমুহূর্তে )
গুমোট ঘরে একটু বাতাস দরকার।
রাত টা বড়ো বর্ণিল মনে হচ্ছে,
পর্দার ওপাশে এতো কেন আলো?
চাঁদ!!তুমি এখনো আমার জানালার পাশে!
আমার জন্য প্রতীক্ষারত?
তুমি জানতে আমি আসবো?
আমার বক্র কটুক্তি তোমাকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করেছে জানি,
তবু তুমি আমার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নাওনি?
আমি ই ভুল করেছিলাম,
নতজানু আমি,ক্ষমা চাই ,
ভুল বুঝেছিলাম শ্রেস্ঠ বন্ধুকে।
ঘুম আসছিলো না!
ওটা তো আমার ক্লান্তি গুলোর-ই চোখের পাতায় প্রলয় নাচন।
মেঘে ঢাকা পড়ো বলে কখনো কখনো হয়তো দেখতে পাইনা,
তবু নিজ থেকে তো কোথাও সরে যাও না।
তুমি নক্ষত্র হলে অহংকারে ডুবে থাকতে,
তীব্রতায় পুড়িয়ে দিতে চাইতে সবকিছু।
মায়াবী হতে না তুমি এমন।
স্বপ্নালু চোখে তোমার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হতাম না।
দেবশিশুর মুখশ্রী কিংবা প্রেয়সীকে খুশী করবার চেষ্টা,
কিছুতেই আর তোমার সাথে তুলনা দেয়া হতনা।
সবার মাঝে ছড়িয়ে রাখো নিজের সৌন্দর্যের শুদ্ধতা,
আর সেই শুদ্ধতার স্নানে শুচি হই আমরা।
স্বার্থপরের মতো শুধু নিজের করে চাওয়া,
সে তো শুধু মনের নিদারুন দৈন্যতা-ই।
কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে তোমাকে ফিরে দেখার আকুলতা,
আবার শুক্লপক্ষ শেষে তোমায় আর দেখবনা বলে বেশী করে কাছে রাখতে চাওয়া,
চন্দ্রগ্রস্থ অনুভূতির এই শিহরনে জড়িয়ে রেখো জীবনভর।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১১ সকাল ১০:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




