ফরেক্স বেসিকস (পর্ব-৩)
=============
এ পর্বে আরো কিছু টার্ম এবং ডেমো একাউন্ট ওপেন করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
৩(১) স্প্রেড কি?
=========
আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয়। ধরুন আপনি EURUSD এর একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন। এটার বর্তমান বাজার মূল্য ১.৩২৬০ , ব্রোকার ২ পিপ যোগ করে আপনার ট্রেডটি ওপেন করলে আপনার বাই রেট দেখাবে ১.৩২৬২, এখানে ২ পিপ হচ্ছে স্প্রেড। এখন আপনি এই ট্রেড ক্লোজ করতে চাইলে তা ১.৩২৬০ তে ক্লোজ হবে।এজন্যই যে কোন ট্রেড ওপেন করার পর আপনার পোর্টফোলিওতে কিছু লস দেখাবে। এটাকে ব্রোকার কমিশনের সাথে তুলনা করা যায় তবে এটা ঠিক কমিশন নয়। ব্রোকার আপনাকে ক্রয় বা বিক্রয় করিয়ে দেবার জন্য বাজার মূল্য থেকে কিছু বেশি ধরে আপনার ট্রেডটি একজিকিউট করে। ব্রোকারভেদে স্প্রেড কম বেশি হতে পারে। মেজর কারেন্সি পেয়ারে ব্রোকার সাধারনতঃ ১ থেকে ৩ পিপ স্প্রেড নিয়ে থাকে। যে ব্রোকার যত কম স্প্রেড দেয় সেটা আপনার জন্য তত ভালো। ১ টা মিনি লটে (১০,০০০ ইউনিট) ব্রোকার ১ পিপ স্প্রেড নিলে তার মূল্যমান হবে ১ ডলার ( পেয়ারভেদে কিছু কম বা বেশি হতে পারে) , ২ পিপস নিলে হবে ২ ডলার, ৩ পিপস নিলে ৩ ডলার। তাহলে বুঝতে পারছেন স্প্রেড যত কম হবে আপনার লাভ তত বেশি হবে। আপনার একটা ট্রেড ওপেন করার পর যদি তা ৪ পিপ বাড়ে আর ব্রোকার ১ পিপ স্প্রেড নেয় তাহলে ৪ পিপ বাড়ার পর ক্লোজ করলে আপনার ৩ পিপস বা ৩ ডলার লাভ হবে। ব্রোকার যদি ৩ পিপস স্প্রেড নেয় তাহলে আপনার লাভ হবে ১ পিপ বা ১ ডলার। তবে সবচেয়ে কম স্প্রেড অফারকারী ব্রোকার সবসময় ভালো ব্রোকার নাও হতে পারে। (এ নিয়ে "কিভাবে ব্রোকার নির্বাচন করবেন" পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করবো ।)। এ পর্বের ৩(৫) অনুচ্ছেদে বিড ও আস্ক প্রাইস এর আলোচনায় বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে আশা করি।
কিছু কারেন্সি পেয়ার আছে যেগুলোতে ট্রেড বেশি হয়, এগুলোকে লিকুইড পেয়ার বলা হয়ে থাকে। যেমন ইউরো ডলার । আবার কিছু পেয়ার আছে যেগুলোতে ট্রেড খুব কম হয়ে থাকে। (যেমন USDHKD ইউএসডি হংকং ডলার)। লিকুইড পেয়ারে স্প্রেড কম হয়ে থাকে, সাধারণতঃ ১ থেকে ৩ পিপস। কিন্তু কম লিকুইড পেয়ারে (এক্সোটিক পেয়ার) স্প্রেড অনেক বেশি হয়ে থাকে। এরকম পেয়ারে স্প্রেড ৫ থেকে ৫০ পর্যন্ত হতে পারে। তাই কম প্রচলিত পেয়ারে ট্রেড করার আগে স্প্রেড দেখে নেওয়া উচিত।
৩(২) স্টপ লস এবং টেক প্রফিট কি?
=====================
স্টপ লস (stop loss): স্টপ লসের মাধ্যমে আপনি আপনার লসে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইস এ বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন। যেমন আপনি একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন ১.৩২৬০ তে, আপনি ধারণা করছেন ১০ এর বেশি কমে গেলে এই পেয়ারের দাম আরো কমে যাবে, তাই বেশি লস এড়াতে আপনি স্টপ লস ঠিক করে দিতে পারেন। আপনার ১.৩২৬০ তে কেনা ট্রেডটি ১০ পিপস লসে স্টপ লস সেট করতে চাইলে আপনাকে স্টপ লস সেট করতে হবে ১.৩২৫০, এখন আপনার কেনা কারেন্সি পেয়ারের দাম স্টপ লস টাচ করলেই আপনার ট্রেডটি ক্লোজ হয়ে যাবে এবং আপনার ১০ পিপ লস হবে।
টেক প্রফিট (take profit): টেক প্রফিটের মাধ্যমে আপনি আপনার লাভে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইসে বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন। যেমন আপনি একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন ১.৩২৬০ তে, আপনি ধারণা করছেন ২০ এর বেশি বাড়লে এই পেয়ারের দাম কমতে থাকবে, তাই লাভ তুলে নেওয়ার জন্য আপনি টেক প্রফিট সেট করে দিতে পারেন। আপনার ১.৩২৬০ তে কেনা ট্রেডটি ২০ পিপস লাভে টেক প্রফিট সেট করতে চাইলে আপনাকে টেক প্রফিট সেট করতে হবে ১.৩২৮০, এখন আপনার কেনা কারেন্সি পেয়ারের দাম টেক প্রফিট টাচ করলেই আপনার ট্রেডটি ক্লোজ হয়ে যাবে এবং আপনার ২০ পিপ লাভ হবে।
৩(৩) কারেন্সি পেয়ার কি?
===============
ফরেক্স ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়। কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা হয়।
উদাহারনস্বরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.
আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।
মনে করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি করে।
প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:
নিচের কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারেন্সি পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।
EUR/USD
GBP/USD
USD/JPY
AUD/USD
USD/CHF
NZD/USD
USD/CAD
EUR/GBP
EUR/JPY ইত্যাদি।
৩(৪) ফরেক্স এ কিভাবে লাভ লস হয়?
======================
ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।
একটি ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আরো তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।
মনে করুন আপনি ১.৩২০০ এক্সচেঞ্জ রেটে EUR/USD - তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১৩,২০০ ডলার দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.৩৪০০ হল। তখন আপনি $১৩,৪০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $২০০ ডলার।
এক্সচেঞ্জ রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১ ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।
৩(৫)কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়?
======================
প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
GBP/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ
GBP/USD= 1.51258
স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কোট (quote) কারেন্সি।
এখানে GBP হল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কোট (quote) কারেন্সি।
বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কোট কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।
সেল (sell) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কোট কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার পাবেন।
বেস কারেন্সি হল বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কোট কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।
আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কোট কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কোট কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।
লং/শর্ট (long/short):
--------------------
প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন।
আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কোট কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (long) অথবা লং পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, লং = বাই (long = buy)।
আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কোট কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, শর্ট = সেল(short= sell)।
বিড প্রাইস/আস্ক প্রাইসঃ
---------------------
সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয়। বিড এবং আস্ক। প্রায় সবক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয়।
বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কোট কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায়। অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।
আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কোট কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায়। অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।
বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত।
যেমন, EUR/USD বিড প্রাইস যদি 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস যদি 1.3458 তাহলে স্প্রেড হচ্ছে ২ পিপস।
আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন। আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন।
৩(৬) ডেমো একাউন্টে কিভাবে ট্রেড করবেন?
=========================
ডেমো অ্যাকাউন্টঃ
আপনি হয়ত ফরেক্স ট্রেড করতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে ফরেক্স ট্রেড করে। অনেকের কাছেই পিপস, লিভারেজ এগুলো শুনেছেন, কিন্তু ট্রেড না করায় এগুলো কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাই আপনি হয়ত শুরুতেই ফরেক্সে ইনভেস্ট করতে ভয় পাচ্ছেন। কারন যেহেতু কিছুই পারেন না, লস করার সম্ভবনাটাই বেশী। কিন্তু এই আধুনিক যুগে আপনি কিন্তু কোন টাকা খরচ না করেই টেস্ট ট্রেড করতে পারেন। এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে। ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন।
আপনি ডেমোতে লস করতে পারেন, এমনকি পুরো ব্যালেন্স উড়িয়ে দিতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। এটা শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য। আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি তত ট্রেড শিখবেন। আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয়। কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে। তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত।
কতদিন ডেমো ট্রেডিং করা উচিত?
কমপক্ষে ২ মাস ডেমো ট্রেড করা উচিত। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।
ডেমো ট্রেড করলে কি লাভ?
- ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেন
-বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেন
-আপনার লস করার কারন গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেন
-নতুন কোন EA (এক্সপার্ট এডভাইজর) কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন
আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।
কিভাবে ডেমো ট্রেড শুরু করবেন?
ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল। অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে। আমাদেরকেও একটি মেটাট্রেডার টার্মিনাল ডাউনলোড করতে হবে।। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং মেটাট্রেডার প্লাটফর্ম ডাউনলোড করুন।
https://www.zulutradesforex24.zulutrade.com
উপরের লিঙ্কে ক্লিক করার পর জুলুট্রেড এর ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন, মেনুবার এর নিচে বামদিকে AAAFX নামে একটি ব্রোকারের নাম দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করে ব্রোকারের পেজ এ যাওয়ার পর PLATFORMS বাটনে ক্লিক করুন, এখন ওপেন ডেমো একাউন্ট ট্যাবে ক্লিক করুন এবং আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়ে আপনার একাউন্ট তৈরি করুন। এরপর আবার PLATFORMS বাটনে ক্লিক করে Software Download ট্যাবে ক্লিক করুন এবং মেটাট্রেডার৪ ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ইন্সটল করে নিন। ইন্সটল করার পর আপনার মেটাট্রেডার টার্মিনালটি ওপেন করুন।এরপর File মেনু থেকে Open an account এ ক্লিক করুন। এখানেক্লিক করার পর একটা উইন্ডো আসবে যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য লিপিবদ্ধ্ব করতে হবে। এরপর Next বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে একটা ইউজার একাউন্ট নম্বর এবং একটা পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে Finish বাটনে ক্লিক করুন। এখন আপনি ডেমো ট্রেড এর জন্য তৈরি।
কিভাবে ট্রেড করবেন?
মেটা ট্রেডার একাউন্ট ওপেন করার পর নিচের দিকে Trade ট্যাবে আপনার একাউন্টে ভার্চ্যুয়াল ডলার দেখাবে।আপনি যেই পরিমাণ ডলার সেট করেছেন সেই পরিমাণ ডলার আপনার একাউন্টে জমা দেখানো হবে। এখন ধরুন, আপনি EUR/USD ট্রেড করবেন। মার্কেট ওয়াচ উইন্ডো থেকে EUR/USD এ ডবল ক্লিক করুন। এর পর একটা ট্রেড উইন্ডো আসবে যেখানে বাই এবং সেল প্রাইস দেখানো হবে, এটা মার্কেট প্রাইস। আপনি ট্রেড লট ঠিক করে, স্টপ লস ও টেক প্রফিট সেট করার পর বাই বাটনে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টে একটা ওপেন ট্রেড দেখাবে। আপনার ব্রোকারের স্প্রেড যদি ২ পিপস হয় তাহলে ট্রেড ওপেন করার পর পর ২ পিপ লস দেখাবে। স্ট্যান্ডার্ড লট হলে ২ পিপস এ ২০ ডলার লস দেখাবে। এখন মার্কেট যদি ৪ পিপস বাড়ে তাহলে আপনার ট্রেডে ২০ ডলার লাভ দেখাবে। এখন আপনি যদি আগেই লাভ তুলে ফেলতে চান তাহলে আপনার ওই ট্রেড টিতে ক্লিক করলে আগের মতই একটা উইন্ডো ওপেন হবে যার নিচের দিকে ক্লোজ প্রাইস দেখাবে। এখনাপনি ক্লোজ বাটন ক্লিক করলেই আপনার ঐ ট্রেডটি ক্লোজ হয়ে যাবে এবং আপনার ব্যালেন্স প্রাথমিক ব্যালেন্স থেকে ২০ ডলার বেশি দেখাবে। আপনি বিক্রি না করলে যেই দামে টেক প্রফিট সেট করা আছে সেই দামে পৌঁছার সাথে সাথেই আপনার ট্রেডটি আপনা আপনি ক্লোজ হয়ে যাবে এবং লাভ আপনার ব্যালেন্সের সাথে যোগ হয়ে যাবে। একইভাবে, দাম আপনার বিপরীতে চলে গেলে স্টপ লস হিট করার সাথে সাথে আপনার ট্রেডটি ক্লোজ হয়ে যাবে এবং লস আপনার ব্যালেন্স থেকে বিয়োগ হয়ে যাবে। আপনি আগেভাগেও ট্রেড ক্লোজ করে দিতে পারেন, আগের মতই আপনার ট্রেডটিতে ক্লিক করে নিচের দিকে যে ক্লোজ বাটন আছে তাতে ক্লিক করলে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে।
পর্ব-৪= একাউন্ট ওপেনিং, ডিপোজিট ও উইথড্র এর পদ্ধতি এবং একাউন্ট ভেরিফিকেশন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




