আমাদের ভাটির গ্রামগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। পানি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকের বাড়ির উঠানে পানি, অনেকের থাকা-বসার জায়গায় পানি। কারো কারো চুলায় আগুন জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে না পানির জন্য। বেশিরভাগের টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতটুকুতে শেষ নয়। মূল দূর্যোগ তো শুরু হবে বন্যার পানি নেমে গেলে। শুরু হবে ডাইরিয়া-আমাসা ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ এবং অভাব-অনটন, খাদ্যের ঘাটতি। মধ্যনগর ইত্যাদি অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে বন্যার পানি অনেকের বাড়ি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমুহুর্ত বিভিন্ন গ্রাম থেকে দোয়ার জন্য আহাজারি আসছে। আমরা দোয়া করছি। আপনারাও দোয়া করুন। দোয়ার বাইরে আর কি করণীয়, তা ভাবতে হবে আমাদের।
বন্যা দুর্গত এলাকার জলমাহালগুলোকে ইজারা দেওয়া যাবে না, স্থানীয়দের জন্য মুক্ত করে দিতে হবে কিংবা ইজারা দিয়ে যে টাকা পাওয়া যাবে সেগুলোকে প্রত্যেক অঞ্চলের গরীব মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে, তা সরকারকে এখনই ঘোষণা দিতে হবে। জল মাহাল মানে স্থানীয় নদী এবং বিল। এগুলো ইজারা দেওয়ার কারণে স্থানীয় জনগণ আর মাছ শিকার করতে পারে না। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্য ভাটির যারা শহর-নগর এবং মহানগরে কিংবা বিদেশে আছেন তারা দাবী উঠাতে পারেন সরকারের কাছে, এগুলো ইজারা না দিয়ে জনগণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হোক কিংবা ইজারার টাকা স্থানীয়দের উন্নয়নে ব্যয় করা হোক।
এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকারকে আরও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রক্ষা করতে হবে আমার সোনার বাংলার গ্রামের গরীব মানুষগুলোকে। দয়া করে সবাই হাতকে প্রশস্ত করুন।
আমরা কী করতে পারি!
বন্ধুরা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন :
আমাদের সহব্লগার, লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ মবনু ভাই
০১৭১৫৫২৫১৪২