somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতীয় শোক দিবস ও অপরিবর্তনীয় বাংলাদেশীদের অকৃতজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত আলাপ

১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের জনগণ সব একই সূত্রে গাঁথা। এগুলোরে পৃথক কইরা বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না।
দেশের প্রয়োজনে এই জনগণের ভেতর থাইকাই জন্ম নিয়েছিলেন লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা। দেশের সর্বসাধারণের যেই অংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তারা "মুক্তিযুদ্ধে অংশীদারিত্ব"'র প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর সমানে সমান ছিলেন। আপনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কর্তৃক গত ১৬ বছরের সকল ঘুম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে যেমন বিরোধিতা করছেন ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও বিরোধিতা করবেন। শোক জ্ঞাপন করবেন। এইটা সচেতন বিবেকের কাজ। এইটা না কইরা আপনার কথাবার্তায় উল্টালাপ ধরে রাখার অর্থ সকল নির্মমতাকে সমর্থন করা বুঝায়।

"মুক্তিযুদ্ধে অংশীদারিত্ব" প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ও দেশের সর্বসাধারণের যেই অংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না তাদেরকে সমান বলার একটা আলাপ আছে সামু ব্লগার সাদিকনাফের "১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিলো সাড়ে সাত কোটি!" শিরোনামের ব্লগ পোস্টে। পড়তে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে সর্বসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় নিজেদের জানমাল দিয়েছেন। সয়ে গেছেন অমানবিক নির্যাতন। নিজেদের সন্তান হারিয়েছেন, আপন মা-বোনের সম্ভ্রমহানির নির্মম সাক্ষী হয়ে বেঁচেছিলেন না বাঁচার মতো করে ধীর্ঘ সময়। সর্বসাধারণের এই ত্যাগকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। যেই আলাপ দিয়াই আপনি এটা অস্বীকার করতে যাইবেন, সেটা হবে বিবেকহীন আলাপ।

বর্তমান এই সময় জাতীয় শোক দিবস পালনে বাধা দেওয়া মূলত আমাদের ঐতিহাসিক অকৃতজ্ঞতার এক পুরাতন নমুনা মাত্র। যা আমরা মুক্তিযোদ্ধকালীন সময়ে পাক বাহিনীর নির্যাতন সহ্যকারীদের অস্বীকার করার মাধ্যমে চর্চা করে এসেছি। যা এখনো নিয়মিত করে যাচ্ছি।

স্বাধীনতার পড় থেকে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটা ছোট বড় হত্যাকাণ্ডে আমাদের নিরবতা পালন এখনো বিদ্যমান। একেবারেই নিজের পরিবারে আঘাত না আসলে আমরা কারো বিরুদ্ধে বিচারের দাবী উঠাই না। যেটা আমরা করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হত্যার সময়, জিয়া হত্যার সময় এবং প্রত্যেকটি বিবেককে জাগ্রত করার মতো ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার মহূর্তে। নিরবতা পালনের মাধ্যমে। এই নিরবতাই আমাদের আজকের দুর্দশার কারণ।

বিএনপির আমলে জিয়াউর রহমানকে ফেরেশতা সাজাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ে বঙ্গবন্ধুকে ফেরেশতায় রূপ দিতে গিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার যেই চর্চা চলছে তার শিকড় উঠিয়ে ফেলার যখন একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। তখনই দেখা গেলো দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর বেহাল বৃদ্ধি। সরকার প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে জনগণের নিরাপত্তা ও অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারার প্রমাণটা দেখা গেলো আবারও। ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ এইসব ধামাচাপা দিতে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছিল। আমাদের আশা ছিল, ইউনুস সরকার অন্তত পক্ষে রাষ্ট্রের সেবায় এদেরকে ব্যবহার করতে সফল হবে। দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে কিংবা অন্যদের জন্য রাস্তাটা খোলে যাবে। কিন্তু দিনশেষে দেখা গেলো, ইউনুস সরকার এখানেও ব্যার্থ হয়েছে। এরা সেই ফ্যাসিবাদের চর্চাই করে যাচ্ছে। দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে পক্ষপাত মুক্ত রাখতেও ব্যার্থ হয়েছে। পুরো জাতিকে সেই অন্ধকারের দিকে এগিয়ে নিতে ইউনুস সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন একদল গর্দভ মার্কা বুদ্ধিজীবী।



১৫ই আগষ্ট ২০২৫
আলেজান্দ্রিয়া, তুরিন


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:৪৬
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×