পুরো দেশটাই আজ নীতি বিরুদ্ধ সম্পর্কের অভয়ারণ্য!
খুন করা একটি মনোজাগতিক বিষয়, একজন খুনি কখনোই স্বাভাবিক চরিত্রের নয়। খুনিকে সংশোধনের প্রচেষ্টা ব্যতিরেকে বরং খুনকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে। ধর্ষণ একটি মনোজাগতিক বিষয়, অনিয়ন্ত্রিত জীবনে নিয়ন্ত্রণ আনয়নের প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে, শিক্ষা বাদ দিয়ে, সংশোধনের চিকিৎসা বাদ দিয়ে এটিকে বৈধতা দিলে কেমন হয়?
আমি আমরা প্রতিটি মানুষই কম বেশী অসুস্থ, এই অসুস্থতা নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ প্রশ্নে, এরপরেও সংশোধনের অথবা ক্ষমার পথ খুজে বেড়ায়। তাইতো কিছুক্ষণ আগে ওজনে কম দিয়ে আসা মানুষটিও প্রার্থনায় সামিল হয়, স্রস্টার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আকন্ঠ ডুবে থাকা মানুষটিও চায় না তার সন্তানসন্তদি একই দোষে দুষ্ট হোক।
আর এখন কি হচ্ছে? সংশোধনের প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে নীতি ও মূল্যবোধ বিরোদ্ধ প্রায় সব কাজকেই বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। পাশ্চাত্যে মনোজাগতিক এবং দৈহিক সীমাবদ্ধতার বিষয় টেনে এনে নীতি ও রীতি বিরুদ্ধ কাজকে বৈধতা দেওয়ায় আজ আমরা অনেক ক্ষুদ্ধ। ক্ষুদ্ধ হওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে, আর তাইতো দুশ্চিন্তা আমার এই ক্ষোভ সকল ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে আসা কি প্রয়োজন নয়? এই দারিদ্র পীড়িত জনপদের হাজার হাজার কোটি টাকা যারা রাত দিন লুন্টন করে আমাদের ভিখারি বানায় তাদের এই লুন্টনের বৈধতা কি রাষ্ট্র সমাজ দিচ্ছে না? ধর্ষণের শতক উদযাপনকারীর উৎসবের বৈধতা কি এই রাষ্ট্র দেয় নি? আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের অবমাননাকারীদের কর্মের বৈধতা কি আমরা দিই নি? সাগর রুণির হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া কি হত্যাকারীদের বৈধতা দেওয়া নয়? কত গুমের কুল-কিনারা নাই, ইহা কি গুমকারীদের গুমের বৈধতা নয়? আমেরিকাকে নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই, আমরা কি ভুলে গেছি এই দেশীয় মন্ত্রী নীতি বিরুদ্ধ সম্পর্কের বৈধতা প্রশ্নে বাংলাদেশের ইতিবাচক অবস্থান প্রকাশ করে এসেছিল কয়েক বছর আগে। দুদকের প্রশ্নে আজো জনগণ ভাবে দুদকের মাধ্যমে দূর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে কি? নীতি বিরুদ্ধ মানুষের নীতি বর্জিত প্রতিটি কাজকে এই রাষ্ট্র যেভাবে বৈধতা দিচ্ছে তাতে কি বলা যায় না পুরো সমাজই আজ নীতি বিরুদ্ধ সম্পর্কের জালে নিপতিত, সমকামী।