গাইবান্ধার গুরুত্বপূর্ণ সাঘাটা-জুমারবাড়ী-সোনাতলা সড়কে বাঙ্গালী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ গত ১১ বছরেও শেষ হয়নি। সাঘাটা-জুমারবাড়ী-সোনাতলাবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন মেলান্দহে একটি সেতু হবে ।অতঃপর একদিন সেই স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দিল যখন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী জনাব আনোয়ার হোসেন(এম.পি)৪ঠা জুন ১৯৯৯ সালে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ।কিন্তু কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি এই সেতুর কাজ গত ১১ বছরেও শেষ হবেনা ।এবং মানুষের দূর্ভোগ দিনে দিনে বাড়বে ।যখনি সরকার পরিবর্তনের সময় আসে তখন সব দলই কথার ফুলঝুরি দেয় যে আমাকে উর্তীন্ন করলেই এই সেতু নির্মাণ সমাপ্ত হবে ।কিন্তু তারা এই সেতুটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়লাভ করে ওই অন্চলের মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে ।এর ফলে মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে ।যেখানে জুমারবাড়ী-সোনাতলার দূরত্ত ৪ কি.মি এই সেতু না হওয়ার ফলে ওই এলাকার মানুষকে ১৪ কি.মি রাস্তা ঘুড়ে যেতে হয় ।এতে করে টাকা ও সময় দুটোরই অপচয় হচ্ছে ।সরেজমিনে দেখা গেছে বর্তমান সরকারের ২ই বছরে সেতুর একপাশে একটি গর্ত ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি ।
কার্যাদেশ প্রাপ্তির ৩ বছরের মধ্যে ওই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রথম ৫ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ। রানিং বিল না পাওয়ায় ২০০৫ সালে তৎকালীন প্রকল্প। বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ-এর কর্মকর্তারা অসমাপ্ত অবস্থায় সেতুর কাজ ফেলে রেখে সাইট গুটিয়ে নিয়ে চলে যান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সে সময় অনেক চেষ্টা করেও ওই ঠিকাদারকে দিয়ে সেতুর বাকি কাজ শেষ করিয়ে নিতে পারেনি। ফলে গত ৬ বছর থেকে সেতুটি অসমাপ্ত অবস্থায় ওভাবে পড়ে রয়েছে।সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের মেলান্দহ ঘাটে ওই সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০০০ সালের ১০ এপ্রিল। ১৮৫ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৯ মিটার প্রস্থ ওই প্রিস্টেড কংক্রিট গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় তখন ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সে সময় দু'দফায় টাকা ছাড় দেয়া হয় মাত্র দেড় কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ তুলে আনে প্রায় ৩ কোটি টাকার। তাকে পরিশোধ করা হয় মাত্র ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ফলে ঠিকাদার হতাশ হয়ে পড়ে। একপর্যায় রানিং বিল না পেয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকে।ইতোমধ্যে সেতু এলাকায় বাঙ্গালী নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়। ফলে সেখানে এসে নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তিত এবং তা প্রশস্ত হয়ে পড়ে। ফলে মূল ভূখন্ড থেকে সেতুর বর্তমান অবস্থান কিছুটা দূরত্বে চলে যায়। এই অবস্থায় সেতুর ডিজাইন পরিবর্তন করে আরও একটি স্প্যান সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে সেতুর স্প্যান সংখ্যা দাঁড়ায় ৬টি। অপর দিকে সেতুর অবকাঠামো বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয়ের পরিমাণও বেড়ে যায়। ফলে নতুন করে দরপত্র আহবান করা হলে ঢাকার ঠিকাদার ময়েন উদ্দিন বাসু ওই কাজ পায়। সেতুটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় মোট ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। চলতি বছরের ৭ মার্চ ঠিকাদার বাসুকে কার্যাদেশ দেয়া হয় ৩ বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সাড়ে ৬ মাস পেরিয়ে গেছে। ঠিকাদার টেকনিক্যাল কারণে কাজ হাত নিতে পারেনি।এ সময়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে সেতুর পূর্ব পাশে নির্মিত প্রথম গার্ডারে কারিগরি ত্রুটি রয়েছে। ওই অবস্থায় সেতুর কাজ শুরু করলে সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ টীম গঠন করে দেয়া হয়। তারা সেতু নির্মাণে ত্রুটি থাকলে সে ব্যাপারে রিপোর্ট এবং পরামর্শ প্রদান করবেন। কিন্তু ওই তদন্ত টীম এখনও কোন কার্যক্রম শুরু না করায় অসমাপ্ত সেতু সমাপ্ত করণের কাজে হাত দেয়া যাচ্ছে না। কবে নাগাদ ওই সেতুর কাজ শুরু করা যাবে- কেউ তা বলতে পারছে না। ফলে জনগণের ভোগান্তি শুধু বাড়ছেই। মেলান্দহ সেতু এলাকার আব্দুল বাছেদ জানান, ১১ বছর ধরে সেতুটির নির্মাণ কাজ চলছে। কবে নাগাদ এটি শেষ হবে তা জানি না। তবে তাড়াতাড়ি সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই পথে চলাচলকারী হাজার হাজার লোকের কষ্ট লাঘব হবে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী এম.এম সেলিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ দলের মতামত পেলেই সেতুর কাজ শুরু করা হবে।
আলোচিত ব্লগ
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।
এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=
০১।
=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।
পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।
জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন