somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ না আওয়ামী লীগ?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কতটা নির্মম হলে মানুষ পশুকেও হার মানায়? কতটা নির্দয় হলে শয়তানও লজ্জায় মুখ লুকায়? কুকুরেরও ধর্ম আছে, প্রতিপক্ষ আত্মসমর্পন করলে নির্যাতন বন্ধ করে ওরা। অথচ কি আশ্চর্য, মানুষের মুখোশ এঁটে পাশবিক উল্লাসে মাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-পুলিশলীগ নামের হিংস্র হায়েনার দল। না, হায়েনা নয় ওরা, হায়েনার পাশবিকতারও সীমা আছে, আওয়ামী রক্ষীবাহিনীর বিভৎসতার কোন সীমা নেই, শেষ নেই। ১২ টি ইসলামী দল আহুত ও প্রধান বিরোধী দল গুলোর সমর্থনে “আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস” রক্ষার দাবীতে ডাকা দেশব্যাপী হরতালে পুলিশ নামের আওয়ামী জানোয়ার আর রক্ষীবাহিনীর সশস্ত্র তান্ডবে স্তম্ভিত বিশ্ববিবেক। বিশ্বজুড়ে আজ একটাই প্রশ্ন, কি হচ্ছে বাংলাদেশে?



নমরুদের উত্তরসূরীদের বিভৎস নির্যাতনে দেশবাসী বাকরুদ্ধ হলেও আশ্চর্য হয়েছে তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষ মাত্রই জানে, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হত্যা, গুপ্তহত্যা, গুম, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি-সন্ত্রাসের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস, অপশাসন আর অবিচারের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস, সত্যের বিরুদ্ধে হায়েনার হিংস্রতায় দন্তনখর খিঁচিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার ইতিহাস। আর এ কারনেই সমাজে যখন কেউ অন্যায় কোন আব্দার করে কিংবা ঘটিয়ে ফেলে ক্ষমার অযোগ্য কোন অপরাধ তখন অনেকেই প্রশ্ন করে, “ তুই মানুষ না আওয়ামী লীগ?”।

ফতুল্লায় বাবার বয়েসী শ্রদ্ধাভাজন আলেমদের লাঠির আঘাতে আঘাতে যখন মুত্যুকূপের দিকে হাকিয়ে নেয়া হয়, যখন পুলিশ নামের নরপশুদের সহায়তায় লাশখেকো রক্ষীবাহিনী নিরস্ত্র শিশু কিশোর বয়েসী হাফেজকে দলবদ্ধ কুকুরের মতো ঘিরে ফেলে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে উল্লাশ করে, তখন বিশ্ব বিবেকের সামনে ভেসে ওঠে ২৮ অক্টোবরের বিভৎস অবয়ব। সেদিন চারদলীয় জোটের ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনে আওয়ামী দানবেরা লাশের উপরে দাড়িয়ে নৃত্য করে করে বিশ্বকে ফিরিয়ে নিয়েছিল দেড় হাজার বছরের পূর্বেবার অন্ধকার যুগে। সেদিন সচেতন দেশবাসী ঠিকই অনুভব করেছিল সোনার বাংলাদেশ শ্বশ্মান হবে, মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হবে বাংলাদেশ। আর তাইতো মাত্র কয়েকটি বছরের ব্যবধানে বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের সমুদ্রে খাবি খায় বাংলাদেশ।



২৮ অক্টোবরের নারকীয় তান্ডবে কেঁপে উঠেছিল বিশ্ববিবেক। প্রকাশ্য রাজপথে, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরার সামনেই নির্বিচারে লাঠি বৈঠার আঘাতে, গুলি আর বোমার ত্রাসে পুরো দেশকে ঠেলে দিয়েছিল গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। প্রতিপক্ষকে হত্যা-সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাজপথ থেকে বিতাড়িত করে লাশ নিয়ে রাজনীতি করতেও দ্বিধা করেনি আবুজেহের পেতাত্মারা। সত্যকে মিথ্যে দিয়ে ঢেকে দিতে গোয়েবলসীয় প্রোপাগান্ডায় লাশ দখলে মেতে ওঠে ওরা, রাতারাতি লাশের গায়ে চলে বাকশালী ব্রান্ডিং। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তথ্যবিকৃত করে পুরো দায় চাপানোর চেষ্টা চলে ইসলামী আন্দোলনের ওপর। তবু সত্য কখনো ঢেকে রাখা যায় না, বাকশালের প্রচেষ্টাও সফল হয় নি, মানুষের মুখোশ দিয়ে দানবীয় কুৎসিত বেশী দিন ঢেকে রাখা যায় না। আর তাই আবারো বিশ্ববাসী বিস্ময়ভরা নয়নে প্রত্যক্ষ করছে চেঙ্গীসীয় বর্বরতা।

২৮ অক্টোবর কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে লগিবৈঠা নিয়ে রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠে ওরা। নরক থেকে উঠে আসা রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত হয় বাংলাদেশ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তর কেঁপে উঠেছিল হায়েনার অশ্লীল শীৎকারে। তবু নতুন প্রজন্মকে বোকা বানাতে সক্ষম হয় বাকশাল। দশ টাকা সের চাল আর ঘরে ঘরে চাকুরীর মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে প্রতারিত হয় বাংলাদেশ। বিদেশী শক্তির মদদে অবৈধ মঈন উ সরকারে সাথে আতাতের নির্বাচনে কায়েম হয় ত্রাসের রাজত্ব, জেঁকে বসে দীর্ঘস্থায়ী জুলুমাত।

নির্বাচনী বৈতরণী পেরিয়ে মানুষের মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়ানো সারমেয়র দল মুখোশ ছুড়ে ফেলে বিভৎস হিংস্রতায় ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের ওপর। সিংহাসনে বসার সাথে সাথেই শুরু দেশব্যাপী প্রতিহিংসার রাজনীতি। বিদেশী প্রভুদের ইশারায় নির্মমহত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে আওয়ামী লীগ, বিডিআর বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর চৌকষ অফিসারদের, রৌমারীতে বাংলাদেশী জনতার প্রতিরোধে বেদম মার খাওয়া বিএসএফের পক্ষে প্রতিশোধ নিতে ক্ষতবিক্ষত করা হয় বাংলাদেশ। যাদের আশীর্বাদে এদের মানুষের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভুতের মতো জেঁকে বসেছে ঘৃণ্য বাকশাল, প্রভুদের সন্তুষ্ঠ করতে একের পর এক নারকীয় তান্ডবে পাগলা কুকুরের মতো বেপরোয়া ওরা। আওয়ামী লীগের প্রভূভক্তির এমন নজির যে কোন ইশ্বর পুঁজারীকে ইর্ষাণ্বিত করে বৈকি।



মানবতা দমন আর পাশবিকতার লালনে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই শুরু করে পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ। টার্গেট বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূণ্য করা, টার্গেট অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে প্রভূদের সরাইখানায় পরিনত করা। তার তাইতো দেখি আওয়ামী লীগ একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের হত্যা নির্যাতনের জন্য বেঁছে বেঁছে টার্গেট করেছে। বরাইগ্রামে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে লগি বৈঠার আঘাতে প্রকাশ্য রাজপথে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আ’লীগ। যে লগি-বৈঠাই ছিল আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দখলের মূল হাতিয়ার, যে লগি বৈঠা নিয়ে রাজপথে প্রতিপক্ষকে নির্মমভাবে হত্যাকরতে নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের প্রতিটি কোনে তাই দেখা যায় লগি-বৈঠার নির্মম ব্যবহার। ২৮ অক্টোবরের পৈশাকিক মন্ত্রে দীক্ষিত রক্ষীবাহিনীর পেতাত্মারা সংবিধানে জনপ্রতিনি নয় বরং কেবলমাত্র সারমেয়দেরই রয়েছে বেঁচে থাকার অধিকার।

একই ভাবে বিশ্ব বিবেক উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করে, হায়েনারা একে একে ঝাপিয়ে পড়ে অপেক্ষাকৃত বড় জনপ্রতিনিধিদের উপর। উপজেলা চেয়ারম্যানের পরে অশুভ দৃষ্টি পড়ে ঢাকা মহানগরীর সাবেক মেয়র, সাবেকমন্ত্রী মীর্জা আব্বাসের ওপর। আর তাইতো র‍্যাবের পোষাকে ছাত্রলীগ নামের সারমেয়রা হামলে পড়ে মীর্জা আব্বাসের বাসভবনে, আহত করে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধাসহ অসংখ্য মানুষকে। এমন পৈশাচিক বর্বরতার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই, ঘৃণা জানানোর সঠিক শব্দ নেই বিশ্বের কোন অভিধানে। আর যারা প্রতিবাদের ভাষা জানেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরতে জানেন তেমনি অসম সাহসী বীর সৈনিক মাহমুদুর রহমানকে জেলে পুরে রিমান্ডের নামে পাশবিক উল্লাসে মাতে আওয়ামী লীগ। বাকশালের ভয়ে প্রকম্পিত বাংলাদেশে তিনিই পরিণত হয়েছিলেন প্রতিবাদী প্রতীকে। রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারে ভীত বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় একাই অসম সাহসে লড়াই করেছেন মাহমুদুর রহমান। আর তাইতো বিশ্ব সভ্যতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিগম্বর করে নির্যাতন করা হয় তাকে।

এভাবেই নির্যাতনের মুখোমুখি করা হয় চলমান জাতীয় সংসদেরই সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধূরীকে। পৌরসভার কর্মীরা যেমন বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে ভয়ালদর্শণ সাড়াশি নিয়ে মেতে ওঠে শিকারে, পুলিশের পোশাকে লুকিয়ে থাকা রক্ষীবাহিনী দানবীয় হিংস্রতায় হামলে পড়ে সাকা চৌধূরীর ওপর। রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তাকে, সাড়াশি দিয়ে টেনে টেনে তুলে ফেলা হয় পায়ের নখ, মাথায় তীব্র আঘাতে নাক বেয়ে গলগলিয়ে রক্ত নামে। অভিযোগ আছে, বাকশালের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ সাকা চৌধুরীকে নির্মম নির্যাতনের জন্য নির্যাতনবিশেষজ্ঞ পাঠানো হয় আওয়ামী লীগেরই প্রভূ কোন দেশ থেকে। আওয়ামী লীগের এমন পাশবিকতায় বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ওরা মানুষই ওদের প্রধান প্রতিপক্ষ, মানবতার বিরুদ্ধেই ওদের যত ঘৃণা। আর তাইতো যেখানেই মানুষ গন্ধ পাওয়া যায়, সেখানেই হাউ মাউ খাউ করে রাক্ষসের মতো ঝাপিয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় সংসদের সামনে জাতীয় সংসদেরই বিরোধী দলীয় চীপ হুইপ ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা প্রচেষ্টা চালায় আওয়ামী পুলিশ বাহিনী। সারমেয়দের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে চলেন জয়নুল আবদীন, ছুটে চলে মানবতা, ছুটে চলে গণতন্ত্র, বাকশালী নির্যাতনে ধর্ষিত বাংলাদেশ। না, একেবারেই অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়, বরং সরকারেরই উচ্চ মহলের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন করা হয় ফারুককে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিসমন্ত্রীসহ সকল পর্যায়ের নেতাদের উল্লসিত মুখ আর অসভ্য মন্তব্যে বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে আওয়ামী লীগের লজ্জা বলে কিছু নেই।

আওয়ামী সারমেয়দের প্রধান শত্রু মানুষ, প্রধান শত্রু মানবতা, প্রধান শত্রু শান্তির ইসলাম। নব্বই ভাগ মুসলমানের যে দেশে ঘুম ভাঙ্গে মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজানের আহ্বানে, সে দেশের তৌহিদী জনতার হৃৎপিন্ড নিংড়ে ঈমান কেড়ে নিতে চায় ধর্মদ্রোহী আওয়ামী সরকার। তুলে দেয়া হয়েছে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা। একই সাথে মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে ভ্রাতৃত্বের ধারা। কূটনৈতিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বের রাখিবন্ধন খুলে ফেলে ভারতের দাসত্বের শৃংখলকে গলায় পড়িয়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর এভাবেই ওরা প্রভূদের মনোরঞ্জরের মাধ্যমে চীরস্থায়ী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়।

অথচ ক্ষমতা চীরস্থায়ী কোন বিষয় নয়, ক্ষমতা দেয়া কিংবা কেড়ে নেয়ার মালিক আল্লাহ, একথা ভুলে যায় শয়তানের উপাসকক বাকশাল। ভুলে যায় ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত ইতিহাস, ভুলে যায় ২৩টি বছর আস্তাকূড়ে নেড়ি কুকুড়ের মতো কুই কুই করে মরার ইতিহাস। শেখ মুজিবও ভেবেছিল বাকশালের মৃত্যু নেই, মানবতার মুক্তি নেই। সেদিন অন্ধকূপে বন্দী ছিল মানবতা। মিছিল, মিটিং, র‍্যালি, সমাবেশ, মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করে, মিডিয়া দমন করে শেখ মুজিব চীরঞ্জীব হতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন সকল পথ রুদ্ধ হয়ে যায় দূর্ভেদ্য দেয়াল ধ্বংস করে মানবতাকে মুক্ত করা ছাড়া কোন বিকল্প থাকে না, ঠিক যেমনটি ঘটেছিল ৭৫ এর পনের আগস্ট। বেহুলার সুরক্ষিত বাসর সেদিন নীল হয়েছিল নাগিনীর বিষাক্ত ছোবলে।

সময়ের দুষ্টচক্রে বন্দী আওয়ামী লীগ। ঘুরে ফিরে আবারও একই পথে হাটছেন শেখ হাসিনা। বাবার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেয়ার পরিবর্তে ভুলগুলোকে আকড়ে থাকার প্রত্যয়ে র্নির্ভিক শেখ হাসিনা। শেখ মুজিব যেমন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ মনে করতেন, শেখ হাসিনাও তেমনি সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে বিডিআর বিদ্রোহের ফাঁদ পাতে। বাবার মতো একই ভাবে হত্যা সন্ত্রাস আর নির্যাতনে মাধ্যমে স্বাধীনচেতা বাংলাদেশীদের ক্রীতদাসে পরিণত করতে চায়। বাবার মতো ক্ষমতা চীরস্থায়ী করতে ক্রমাগতগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া আওয়ামী সরকার সন্ত্রাসের দূর্ভেদ্য দূর্গে আত্মগোপন করতে চায়। বন্দী গনতন্ত্রের প্রতিটি পথে দূর্ভেদ্য দেয়াল তুলে বাকশাল কায়েম করতে চায়। তবুও বছর ঘুরে বারে বারে আসে ১৫ আগস্ট, আসে মহা মুক্তির দিন। বন্দীশালার দূর্ভেদ্য দেয়াল গুড়িয়ে গনতন্ত্র ও মানবতাকে মুক্ত করতে আরেকটি ১৫ আগস্টের স্বপ্নে ভাসে বাংলাদেশ। শান্তিকামী বাংলাদেশের একটাই প্রত্যাশা, আসবে কি আবার সেই মহামুক্তির দিন, নির্যাতিন মানবতার পাশে আবার দাড়াবেন কি কোন এক মেজর ডালিম?
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×