শীতের কোন এক রাতে আমার দুচোখে ঘুম নেই
বারান্দায় একা একা বসে আছি ইজি চেয়ারে।
বাগানে বহু যত্নে বেড়ে ওঠা শিউলি গাছটায়-
যেন অরেঞ্জ আর সাদা রঙ্গের বন্যা নেমেছে।
ফুলের গন্ধে মৌ মৌ চারপাশ; কি অসহ্য ভালোলাগা!
দক্ষিনা হাওয়া হাড় কাঁপিয়ে দিয়ে যায়,
চাদর টাকে আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে নিই গায়।
দূরে মেইন রোড দিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়ী ছুটে যায়
হেড লাইট গুলো ছোট বিন্দুর মত ঝাপসা দেখায় কুয়াশায়।
বড়ির পেছনের বড় কৃ্ষ্ণচূড়া গাছটায় ডেকে উঠে রাতজাগা পাখি।
রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙ্গেদিয়ে সে শব্দও এক সময় হারিয়ে যায়।
হঠাৎ আমার মাথায় নামে আসে কালো দুঃখ
সাথে আনে নীল বেদনা আর মাকড়শার মত কুৎসিত স্মৃতি গুলো।
আমি তো একা ছিলাম না, ছিলাম না নিঃসংগ!
আমারো সাজানো গোছানো সুখের সংসার ছিল।
কি সুখেই না কাটছিলো আমাদের টুনা টুনির সংসার
গল্পে-গানে কেঁটে যেত প্রতি রাত।
হঠাৎ কোন এক অজানা ঝড়ে তুমি আজ অন্য কোথাও
হয়তো আছো দূরের আকাশের কোন তাঁরায়!
তাইতো প্রতি রাত কাটাই তারা গুনে গুনে।
আমারো ভীষণ ইচ্ছে করে তোমার কাছে যাই ছুটে যাই,
ফ্যানের সাথে ঝুলানো দোদুল্যমান রশিটির সামনে এসে দাড়াই।
কোন এক অদৃশ্য শক্তি আমাকে যেতে দেয় না
হয়ত এটাই আমার শাস্তি; অথবা তোমাকে ভালোই বাসিনি!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




