পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে ভারতের হাত: কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন আন্দোলনকারী তার বক্তব্যে বলেছেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অংশ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এখান থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে হবে।" এই উক্তির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরে ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ভারত তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়, এবং তাদের এই ষড়যন্ত্রে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।
বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগও ভারতের এই পরিকল্পনার দোসর হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য এই হুমকি অত্যন্ত গুরুতর। পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পেছনে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন জরুরি। বিশেষত, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসী পরিচয়ে থাকা জনগোষ্ঠীগুলো আদতে এদেশের আদি বাসিন্দা নয়, তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শরণার্থী। মানবিক কারণে এতদিন তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে, তাদের উচ্ছেদ করে তাদের প্রিয় রাষ্ট্র ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত, কারণ তাদের কার্যকলাপ দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
বাংলাদেশ সরকারের উচিত, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে, ভারতের এহেন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপে ফেলতে আন্তর্জাতিক শক্তির সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার ও সেনাবাহিনীকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


