বছরে একটা করে লেখা দিয়ে নিজের লেখাকে লাক্সারি ব্র্যান্ড বানাতে চেয়েছিলাম, হলোনা। উল্টো লেখালেখি ভুলে গেছি। এই লেখাতেই গোটা দশেক ভুল খুঁজে পেতে পারেন।
কর্মের জন্য এখন বাণিজ্যিক লেখালিখি করি, কিন্তু তাতে আত্মার তৃপ্তি আসেনা। দিনেদিনে মাথার ভেতর যে অসংখ্য কথা ঘুরে সেগুলো শেষরাতের পর্ন দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়। আর কথা বললেই না কথা লেখাতে রূপান্তরিত হবে। কথা বলার মানুষ'ও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এক সময় এতো কথা বলতাম সারাদিন যে রাতে বাসায় এসে লবন পানি দিয়ে গার্গল করে গলা রিসেট করা লাগতো। আর এখন একে-ওকে কফি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে অফিসের পর ঘন্টা দুয়েক আলাপ করে পুরো সপ্তাহ কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো মাসের আলাপের খড়কি যোগাই।
অফিসে প্রচুর আলাপ হয়, কিন্তু অফিসের ব্যাপারটা অদ্ভুদ। আন্তরিকতার আড়ালে অসম্ভব এক আড়ষ্টতা থেকে যায়। যেই মানুষটাকে বিড়ি টানতে টানতে ফ্রাস্ট্রেশনের কথা খুলে বলবেন দেখা গেলো সে-ই সেটাকে পুঁজি করে একটা প্রমোশন নিয়ে নিয়েছে। মোদ্দকথা যেখানে পায়ুকর্ম সারা হয় সেখানে না খাওয়াই ভালো।
বিয়ে করেন নি/না কেন?
এই এক প্যারাসিটামল যে-ই বাতলে দেয় তাকেই কয়েক ডোজ সাপোজিটোর দিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সমস্যা হলো সমাজ এনাল খুব পছন্দ করে, তাই বারবার এই প্রশ্ন করেই যাবে।
তারউপর কিছুদিন পর ভালো কিছু লিখলে বলবে নিশ্চয় AI দিয়ে লিখসেন, নাইলে তো এতো ভালো লেখার কথা না।
যাই হোক, লেখালিখি, আঁকাআঁকি আবার শুরু করবো। কোনদিন রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের চাকার নিচে মগজ থেতলে মরে যাই তার ঠিক নাই। থেতলা মগজে আফসোস করতে করতে বিদায় নেওয়া ঠিক হবেনা। রাস্তার মানুষ পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলবে, 'আহারে বেডার মগজ উপচায়ে উর্বর চিন্তাভাবনা বের হইতাসে! কেউ একজন ছবি তুইলা রাখেন।'