somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তীর্যক নীল
ভালবাসি মা, মাটি, দেশকে। ভালবাসি দেশের মাটির সাথে মিশে থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে যারা মাটির বুক চিড়ে, মাথার ঘাম মাটিতে মিশিয়ে সোনা ফলান, বিদেশ থেকে কষ্টিার্জিত অর্থ বৈধভাবে দেশে পাঠান আর পোশাক শিল্পকে শিল্প হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি ঘটান।nnnঘৃনা করি; ঐসব

পশ্চিমা দেশগুলিতে কেন বোরখা নিষিদ্ধ করার হিড়িক শুরু হয়েছে?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পর্দা তথা বোরখা ইসলামী নারীর এক অনুপম সৌন্দর্য। ইসলামী এই পর্দা প্রথা নারীকে করেছে মহিমাম্বিত। যে কোন ধর্মের তুলনায় একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে এক মর্জাদাশীল আসনে আসীন করেছে। বোরখা হচ্ছে ইসলামী নারীর সীলমোহর। বোরখা পরিহিত একজন নারীকে দেখেই প্রথম পরিচিতি ফুঁটে উঠে একজন মুসলিম নারীর। এই পরিচিতিমূলক সীলমোহরটি আজ পশ্চিমা দেশগুলোর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু কেন? কারণটা অতি গভীরে। ইসলামের মূলে বিষ। কি সেই বিষ?

নারী মুক্তির নামে মুসলিম নারীদের মনে বিষ ঢালার প্রানান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। নারী আন্দোলনের পিছনে তারা কোটি কোটি ডলার ব্যায় করছে সাড়া বিশ্বে। কেউ কেউ বুঝে, জেনে শুনে এই কাজে ইন্দন দিচ্ছে, আবার কেউ কেউ কোন কিছু না বুঝেই বোকার মতো তাদের ফাঁদে পা দিয়ে এই কাজে সমর্থন দিয়ে চলেছে। বাংলাদেশে এই দায়িত্বটা বেশি পালন করছে একদল ভাদা। ভাদা কারা? এই ব্লগেও রয়েছে ভাদাদের উপস্থিতি। কিভাবে চিনবেন তাদের? পবিত্র মনে, উন্নয়নের লক্ষ্যে, ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে একটি পোষ্ট দিন। দেখবেন কিছু সংখ্যক বেনামী/ছদ্মনামী ব্লগ কুলাঙ্গার কঠিন সাঁড়াশি আক্রমণে আপনাকে নাস্তানাভূদ করে ছাড়বে। বেহুদা অপ্রাসঙ্গিক ল্যদা ছড়াতে শুরু করবে ব্লগে। তাদের নিকগুলোর ব্লগ প্রোফাইল/ ইতিহাস চেক করে দেখুন, তাহলেই তাদের আসল চেহারাটা বেড়িয়ে আসবে। ইসলামের কোন গন্ধ পেলেই হল। আর কোন ধর্ম নিয়ে এদের মাথা ব্যাথা নেই। ইসলামই হচ্ছে এদের মাথা ব্যাথার কারণ। এরাই হচ্ছে ভাদা। আমার এই পোষ্টেও তাদের উপস্থিতি হয়ত লক্ষ্য করা যাবে।

নারীদেরকে পর্দার বেড়াজালে আটকে রাখার অভিযোগ। নারী স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ। নারীকে বন্দী করে রাখার অভিযোগ। মেডিক্যাল পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যহানীর অভিযোগ। নারী নির্যাতনের অভিযোগ। আরো কতো কি যুক্তি দিয়ে নারীদের ব্রেইন ওয়াশের কর্মমসূচী তারা হাতে নিয়েছে। কিন্তু কেন?

অথচ ইসলামী নারী স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে পশ্চিমা নারীদের চেয়ে দুর্বল এটা মেডিক্যাল দ্বারা প্রমাণিত নয়। এটাই যদি সত্য হতো তাহলে বিগত প্রায় ১৪০০ বছরে ইসলামী নারী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে হতে আজ আর মুসলিম নারীর কোন অস্তিত্বই থাকার কথা না।

পর্দা অর্থ নারীকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখা নয়; বরং পর্দা হল নারীর সম্ভ্রম রক্ষার এক মজবুত দূর্গ। আর নারীর সেই পর্দা হচ্ছে বোরখা। বিশ্ব জরিপে দেখা গেছে- বোরখাচ্ছাধিত নারীর তুলনায় বোরখাবিহীন নারীগণই বেশি লাঞ্ছিত হচ্ছেন প্রতিদিন। বোরখাবিহীন নারীরই সম্ভ্রম হারানোর ঝুঁকি বেশি। ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী বোরখাচ্ছাধিত একজন নারী নিজেকে পর্দায় বন্দী মনে করেন না। তিনি নিজেকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সংরক্ষিত মনে করেন। নিজেকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ মনে করেন। আর পুরুষদেরকে পর্দানশীল নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে। কিন্তু তথাকথিত পুরুষদের এটা সহ্য হয়না, কারণ তারা ব্যাকুল থাকে পর্দার অন্তরালে লুকায়িত নারীর সৌন্দর্য কামনার আগুনে ফুঁটিয়ে তুলতে।

বাস্তবে মুসলিম নারীগণই ঐসব তথাকথিত স্বাধীন নারীদের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন। নারী স্বাধীনতার নামে আসলে তথাকথিত পশ্চিমা পুরুষগণ নারীদেরকে দিয়ে কাজ আদায় করে নিচ্ছে মাত্র। তারাই কৌশলে নারী অধিকার থেকে নারীদেরকে বঞ্চিত করে চলেছে বেশি। বোকা নারী না বুঝে তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। তারা নারীদেরকে স্বল্প বসনা বানিয়ে ভোগের সামগ্রীতে পরিণত করে চলেছে প্রতিনিয়ত। কর্মঠ নারী তৈরীর নামে নারীদেরকে প্রকৃত নারী স্বত্বা থেকে দূরে সড়িয়ে দিচ্ছে তারা। কর্মজীবি ঐ পশ্চিমা নারী পারিবারিক জীবনে কতটা সূখী একবার কি কেউ ভেবে দেখেছেন? মহান আল্লাহতা’লার সৃষ্টি শৈলী কি? পৃথিবীতে সকল প্রাণীকে আল্লাহতা’লা সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। প্রত্যেক প্রাণী জোড়ার দিকে তাকিয়ে দেখুন। গবেষনা করে দেখুন- পুরুষ প্রাণী আর নারী প্রাণীর ভুমিকা কি? প্রত্যেকটি প্রাণী জোড়ায় একই রকম বৈশিষ্ট্য। সৃষ্টি বৈচিত্রের বিরুদ্ধাচরণ, প্রকৃত অর্থে সৃষ্টি কর্তারই বিরুদ্ধাচরণ। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় নারীর বরণ-পোষনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরুষকে। আর নারীকে দেওয়া হয়েছে- পরিবারকে সুন্দর সুগঠিত বাগান হিসেবে ফুঁটিয়ে তোলার দায়িত্ব। তবে তার অর্থ এই নয় যে, পরিবারের চার দেয়ালে নারীকে বন্দী থাকতে বলা হচ্ছে। পরিবারকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য তাকে নিতে হবে উপযুক্ত শিক্ষা। ইসলাম নারী শিক্ষার অন্তরায় নয়। পর্দা ব্যবস্থার মধ্যে থেকেও একজন নারী সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেন। শিক্ষিত একজন নারীর পক্ষেই কেবল একটি সুন্দর সাজানো সূখী পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব। ইসলামী পারিববারিক জীবনের সূখ অন্য যে কোন অমুসলীম পরিবারের সূখের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু ব্যাতিক্রম উদাহরণ মাত্র, প্রকৃত সত্য নয়। একজন বিশ্বাসী মুসলিম নারী ঐসব তথাকথিত স্বাধীনতার নামে কর্মক্ষেত্রে ছুটে চলা নারীর চেয়ে অনেক বেশি সূখী।

আজকাল ইসলামের এই অনুপম সৌন্দর্য, মুসলিম নারীর এই সৌন্দর্য, মুসলিম নারীর এই সূখ, অমুসলিম নারীকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করছে। মুসলিম নারীদের শৃংখলা ও শান্তিময় জীবন ব্যবস্থা খুব সহজেই অমুসলীম, অসূখী নারীদেরকে আকৃষ্ট করছে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে ক্রমবর্ধনশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এক জরিপে দেখা গেছে- ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত এই মানুষের মাঝে ৬০%ই হচ্ছে পশ্চিমা নারী। এটা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি। আর এটাই পশ্চিমাদের মাথা ব্যাথার মূল কারণ।

ইসলামের এই দ্রুত বর্ধনকে রোধ করার উপায় নিয়ে বহু গবেষনার পর, পশ্চিমারা মুসলিম নারীর পর্দা প্রথার উপর সাড়াশি আক্রমন চালায়। এই পর্দা প্রথা উঠিয়ে দিয়ে তারা অমুসলিম নারীদেরকে মুসলিম নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া রোধ করার অপকৌশল গ্রহণ করেছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

লিখেছেন আবু ছােলহ, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

গুগল থেকে নেয়া ছবি।

সামুতে মাল্টি নিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। অনেকের কাছে মাল্টি যন্ত্রণারও কারণ। শুধু যন্ত্রণা নয়, নরক যন্ত্রণাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×