somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তীর্যক নীল
ভালবাসি মা, মাটি, দেশকে। ভালবাসি দেশের মাটির সাথে মিশে থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে যারা মাটির বুক চিড়ে, মাথার ঘাম মাটিতে মিশিয়ে সোনা ফলান, বিদেশ থেকে কষ্টিার্জিত অর্থ বৈধভাবে দেশে পাঠান আর পোশাক শিল্পকে শিল্প হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি ঘটান।nnnঘৃনা করি; ঐসব

নাস্তিক ও অবিশ্বাসীদের জয়জয়কার! ইসলামের মূলে বিষ!! পর্ব-৩(অতীব গুরুত্বপূর্ণ)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
যারা আগের পর্বগুলো মিস্ করেছেন, তারা এই লিংকে ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন।
পর্ব-১ এই খানে ক্লিক করুন
পর্ব-২এইখানে ক্লিক করুন

পূর্ব প্রকাশিত’র পর-
প্রমাণ-৩
বৃটিশ গোয়েন্দার ঐ ডায়রী থেকে জানা যায়, তাদের আরেকটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল; মুসলিম জাতিকে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত করে ফেলা। আজ মুসলিম জাতি বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত। গোয়েন্দারা তাদের এ উদ্দেশ্যটি সাধনে দারুনভাবে সফল হয়েছে। একটি জাতিকে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত করে ফেলার ফলপ্রসু উপায় হচ্ছে- তাদের জ্ঞানের মধ্যে ভুল ঢুকিয়ে দেওয়া। এটি করতে পারলে একদল একমত, আর আরেক দল ভিন্ন মত পোষন করে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করে- বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়তে বাধ্য।
একটি জাতির মূল ধর্ম গ্রন্থ অবিকৃত থাকলে, শুধুমাত্র জ্ঞানের ভিন্নতার কারণে, বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ার ঘটনা স্বাভাবিক নয়। প্রায় ১৪০০ বছর গত হয়েছে, এখন পর্যন্ত কোরআনের একটি অক্ষরও বিকৃত হয়নি। অথচ ইসলাম আজ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কাজেই খুব সহজেই বুঝা যায়, গোয়েন্দা আলেমগণ গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামের মূলে, মুসলিমদের জ্ঞানে বিষ ঢুকিয়ে, বিশেষজ্ঞদের ধোঁকা দিয়ে নিজেরাই বিশেষজ্ঞ সেজে, তাদের আবিষ্কৃত ফতোয়াসমূহ মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিয়ে, মুসলিম জাতিকে আজ বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

প্রমাণ-৪
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর বহু সিদ্ধান্ত তার ছাত্র বা ছাত্রের ছাত্ররা ভুল বলে বাদ দিয়েছেন এবং ঐ স্থানে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তগুলো সমাজে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ ঘটনার দুটি কারণ হতে পারে। যথাঃ
 ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর জ্ঞান বুদ্ধি খুবই কম ছিল। অথবা
 ঐ ছাত্র বা ছাত্রের ছাত্রদের মধ্যে কেউ কেউ গোয়েন্দাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল, অথবা ছাত্র নিজেই গোয়েন্দা ছিল, যারা ইমামের সঠিক সিদ্ধান্ত ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করে ফেলেছিল।
খুব সঙ্গত কারণেই, যে কেউ ২ নম্বর কারণটিকেই মেনে নিবেন। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কত বড় জ্ঞানী আলেম ছিলেন তা বলার প্রয়াস রাখেনা। শত্রুরা তাঁকে কোন মতেই নিজেদের পক্ষে আনতে না পেরে, কারাগারে বিষ প্রয়োগে তাঁকে হত্যা করে। ইসলামের অন্য ইমামদের ক্ষেত্রেও এইরকম অকল্পনীয় ঘটনা ঘটে। আর ইসলাম বিভিন্ন উপদলে অর্থাৎ মা’যহাবে বিভক্ত হয়ে যায় একটি মিথ্যা ঈজমা ফরমান বলে, যে ঈজমার সঠিক কোন ভিত্তি নেই। অথচ মহান আল্লাহতা’লা পবিত্র কোরআনুল কারীমে স্পষ্ট ঘোষনা করেছেন-
“নিশ্চয় যারা স্বীয় দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে; হে নবী (সঃ)! তাদের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই।” (সূরা- আল আন’আম-১৫৯)
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতকে আড়াল করে, জাল হাদিস তৈরী করে, ইসলামকে উপদলে বিভক্ত করার সুন্দর ব্যবস্থা করেছে এই গোয়েন্দা আলেমগণ।
প্রমাণ
হানাফী মা’যহাবের সব চেয়ে বড় কিতাব হচ্ছে “আল-মুখতাসারুল কুদুরী” যা হানাফী মা’যহাব অনুসারীদের নিকট “কুদুরী” নামেই পরিচিত। এই কিতাবের অবশ্য পালনীয় একটি বাক্য-
“এ মা’যহাব চতুষ্টয়ের কোন একটির তাকলীদ করা প্রত্যেকের অবশ্য কর্তব্য (ফরজ)।”
(আল-মুখতাসারুল কুদুরী, পৃষ্ঠা-১২, আরাফাত পাবলিকেশন-জানুয়ারী ২০০৮ ও শরহে বেকায়া, পৃষ্ঠা-৮, আরাফাত পাবলিকেশন-সেপ্টেম্বর ২০০৬, হেদায়া, পৃষ্ঠা-৫০, আরাফাত পাবলিকেশন- ২০০৫ইং)
অথচ, ফরজ সাভ্যস্ত করার এখতিয়ার একমাত্র মহান আল্লাহতা’লার এবং প্রেরিত ওহীবলে তাঁর রসুলুল্লাহ্ (সঃ) ছাড়া আর কারোরই নাই। “এ মা’যহাব চতুষ্টয়ের কোন একটির তাকলীদ করা প্রত্যেকের অবশ্য কর্তব্য (ফরজ)” এটা আল্লাহতা’লার কোন ওহী নয়, মুহম্মদ (সঃ) এর কোন হাদিসও নয়। তাহলে এটি ফরজ হল কার হুকুমে?
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কি বলে গেছেন যে, আমার নামে তোমরা একটি মা’যহাব তৈরী করে, তার তাকলীদ কর? অবশ্যই নয়। পবিত্র কোরআন থেকে মুসলিম জাতিকে সরিয়ে রেখে, এই এখতিয়ার বহির্ভূত কাজটি করেছেন ফিকাহ্ শাস্ত্র তৈরী কারকগণ তথা গোয়েন্দা আলেমগণ, যা ঐ কুদুরীতে সুকৌশলে সন্নিবেশিত করে দিয়ে, যুক্তি হিসাবে ভিত্তিহীন একটি মিথ্যা ইজমা’র ফরমান জারী করে দেন।
স্পষ্টতঃ প্রমাণিত- কুদুরীর এই বক্তব্যটি কোরআনুল কারীমের সূরা আল আন-আমের ১৫৯ নং আয়াতের বিপরীত বা বিরুদ্ধ।
ইমাম হযরত আবু হানিফা (রঃ) এর বক্তব্য কি-
হযরত ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল; যদি আপনার কোনো উক্তি কোরআনের বিরুদ্ধ হয়, তাহলে কি করতে হবে? তিনি বললেনঃ কোরআনের জন্য আমার কথা ছেড়ে দাও। তারপর জিজ্ঞাসা করা হল; যদি হাদিসের বিরুদ্ধ হয়? তিনি বললেনঃ হাদিসের জন্য আমার কথা পরিহার কর। আবার জিজ্ঞাসা করা হল; যদি সাহাবীদের কথার বিরুদ্ধ হয়? তিনি বললেনঃ সাহাবীদের জন্যও আমার কথা পরিহার কর। (হাকিকাতুল ফিকহ্, মুহম্মদ ইউসুফ জয়পুরী, পৃষ্ঠা-৬৯)
তাহলে হানাফী মা’যহাব তাকলীদকারীগণ কি হযরত ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) এর আদেশ মানছেন? নিঃসন্দেহে মানছেন না। মানলেতো কুদুরীর ঐ বক্তব্যটি ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর হলেও (যদিও বক্তব্যটি ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর নয়) কোরআনের বিপরীত হওয়ায় তা পরিত্যাগ করতেন।
কিন্তু মা’যহাব পন্থীগণ কুদুরীর ঐ মহান বাণীটিরই অন্ধ অনুসরণ করে চলেছেন, শত শত বছর যাবৎ।
অন্ধ অনুসরণের ব্যাপারে মহান আল্লাহ্তা’লার স্পষ্ট ভবিষ্যৎ বাণী যা বর্তমানে নির্মম সত্য-
“আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, ‘আল্লাহ যা অবতীর্ন করেছেন, তোমরা তার অনুসরণ কর; তখন তারা বলে ‘(না না) বরং আমরা পিতৃপুরুষদেরকে যাতে (যে মতামত ও ধর্মাদর্শে) পেয়েছি তারই অনুসরণ করব।’ যদিও তাদের পিতৃপুরুষগণ কিছুই বুঝত না এবং তারা সৎ পথেও ছিলনা।” (সূরা- বাকারাহ্-১৭০)

অতঃপর বিশ্বাসীদের কাছে প্রশ্নঃ
 কোরআন সত্য না কুদুরী?
 সত্যের অনুসরণ করবেন নাকি মিথ্যার?


ইনশা’ল্লাহ্ ষড়যন্ত্রের আরো খুঁটিনাটি ও তথ্য-প্রমাণ নিয়ে খুব শীঘ্রই লিখছি; ৪র্থ পর্ব।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

লিখেছেন আবু ছােলহ, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

গুগল থেকে নেয়া ছবি।

সামুতে মাল্টি নিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। অনেকের কাছে মাল্টি যন্ত্রণারও কারণ। শুধু যন্ত্রণা নয়, নরক যন্ত্রণাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×