somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তীর্যক নীল
ভালবাসি মা, মাটি, দেশকে। ভালবাসি দেশের মাটির সাথে মিশে থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে যারা মাটির বুক চিড়ে, মাথার ঘাম মাটিতে মিশিয়ে সোনা ফলান, বিদেশ থেকে কষ্টিার্জিত অর্থ বৈধভাবে দেশে পাঠান আর পোশাক শিল্পকে শিল্প হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি ঘটান।nnnঘৃনা করি; ঐসব

নাস্তিক ও অবিশ্বাসীদের জয়জয়কার! ইসলামের মূলে বিষ!! পর্ব-৫

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্ব প্রকাশিত’র পর-

ফিকাহ্ শাস্ত্রে ভুল ঢুকানোর পর গোয়েন্দা আলেমগণ কোরআন-হাদিস থেকে সরাসরি ইসলামকে জানার পরিবর্তে ফিকাহ্ শাস্ত্র থেকে ইসলামকে জানতে মুসলিমদেরকে উৎসাহিত করতে সূক্ষ্ম কৌশলের আশ্রয় নেয়। তারই প্রমাণ মেলে মাদ্রাসা সিলেবাসে ঢুকিয়ে দেওয়া ফিকাহ্ শাস্ত্র থেকে।
তথ্য-১
“-----(বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান না থাকা) অবস্থায় কোরআন ও সূন্নাহ্’র ব্যাখ্যা করে সৎ পথের সন্ধান করতে চাইলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভবনাই বেশি থাকবে। ফকিহ্গণের এবিষয়ে ব্যুৎপত্তি ছিল। তারা সকল বিষয় পূর্ণাঙ্গভাবে বিবেচনা করে কোরআন ও সূন্নার আলোকে ফিকাহ্ শাস্ত্র সম্পাদনা করেছেন। এখন কোরআন সূন্নাহ্’র আইন বলতে ফিকাহ্ শাস্ত্রকেই বুঝান হয়ে থাকে।”
(আল-মুখতাসারুল কুদুরী, পৃষ্ঠা-১০, আরাফাত পাবলিকেশন-জানুয়ারী ২০০৮ ও শরহে বেকায়া, পৃষ্ঠা-৬, আরাফাত পাবলিকেশন-সেপ্টেম্বর ২০০৬। কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসার পাঠ্য বই)
তথ্য-২
“হযরত ইমাম মালেক (রঃ) নিজ ভাগ্নে আবু বকর ও ইসমাইল (রঃ) কে বলেন- আমি দেখছি যে, হাদিস চর্চার প্রতি তোমাদের আগ্রহ অধিক। যদি কল্যাণ চাও তবে তোমরা হাদিসের রেওয়ায়েত কম কর এবং ইল্মে ফিকাহ্ বেশি অর্জন কর।”
(আল-মুখতাসারুল কুদুরী, পৃষ্ঠা-১১, আরাফাত পাবলিকেশন-জানুয়ারী ২০০৮। কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসার পাঠ্য বই)
তথ্য-৩
“এমনি (ইসলামের প্রসারের) যুগসন্ধিক্ষণে তাবেয়ীদের যুগের শেষের দিকে সত্যের পুজারী আলেম সম্প্রদায়ের জামায়াত, কোরআন ও সূন্নাহ্কে সামনে রেখে তাদের মূলনীতি অনুসরণ করে এমন আইনশাস্ত্র প্রণয়ন করলেন যা সর্ব যুগে, সর্ব দেশে, সকল অবস্থায় সকল সমস্যার সমাধানে সক্ষম। এটাই আজ দুনিয়ার বুকে ফিকহে ইসলামী নামে সুপ্রতিষ্ঠিত।”
(আল-মুখতাসারুল কুদুরী, পৃষ্ঠা-১০, আরাফাত পাবলিকেশন-জানুয়ারী ২০০৮ ও শরহে বেকায়া, পৃষ্ঠা-৫, আরাফাত পাবলিকেশন-সেপ্টেম্বর ২০০৬। কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসার পাঠ্য বই)
এখন তথ্যগুলোর পর্যালোচনা করলে কি দাড়ায়?
সর্ব যুগে, সর্ব দেশে, সকল অবস্থায় সকল সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম একমাত্র আল-কোরআন। কিন্তু এখানে, “আল কোরআন জানা একটি কঠিন কাজ” কথাটি প্রচার করে দিয়ে মানব রচিত ফিকাহ্ শাস্ত্রকে আল-কোরআনের সমতূল্য করা হয়েছে এবং ফিকাহ্ জানা, কোরআন জানার সমতূল্য কথাটি প্রচার করা হয়েছে।

অথচ হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর স্পষ্ট ঘোষনা-
আবু নূআয়ম (রঃ)………….. হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন হে কোরআন পাঠকারী সমাজ! তোমরা (কোরআন ও সূন্নাহ্র উপর) সূদৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই তোমরা অনেক পিছনে পড়ে আছ। আর যদি তোমরা (সিরাতে মোস্তাকিম থেকে সরে গিয়ে) ডান কিংবা বামের পথ অনুসরণ কর তাহলে তোমরা (হেদায়েত থেকে) অনেক দূরে সরে যাবে। (বোখারী শরীফ, প্রকাশক-ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১০ম খন্ড, হাদিস নং-৬৭৮৫)

কোরআন বাদ দিয়ে ফিকাহ্ শাস্ত্র অনুসরণে মুসলিমদেরকে উৎসাহিত করতে গোয়েন্দা আলেমগণ হাদিসের উদ্ধৃতিও ব্যবহার করেছেন।
প্রমাণ-
“তুমি যাও এবং তাদের সাথে আলোচনা করো। তাদের সাথে কোরআন নয়, সূন্নাহ্ দিয়ে বিতর্ক করবে। কারণ, কোরআন বিভিন্ন ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। ………… ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন- হে আমীরুল মো’মেনীন কোরআনের জ্ঞান তাদের চেয়ে আমাদের বেশি। আমাদের বাড়িতেই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। আলী (রাঃ) বললেন- তুমি সত্য বলেছ। তবে কোরাআন বিভিন্ন তথ্য ও ব্যাখার অবকাশ রাখে। আমরা কোরআনের কথা বলব, তারাও কোরআনের কথা বলবে। কিন্তু তুমি সূন্নাত দিয়ে বিতর্ক করলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেনা।” (আল-আকাইদ আল-ইসলামিয়া, পৃষ্ঠা-২১৭)
অথচ হযরত আলী (রাঃ) সম্পর্কে সহীহ্ হাদিসে বর্ণিত-
“আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত রসুলুল্লাহ (সঃ) কে বলতে শুনেছি- সাবধান থেকো অচীরেই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়বে ……………………………. কোরআন সত্য ও অসত্যের মধ্যে ফয়সালাকারী এবং তা উপহাসের বস্তু নয়। যে তাকে অহংকার পূর্বক পরিত্যাগ করে আল্লাহ তাকে ধ্বংস করেন। আর যে কোরআনের হিদায়াত ভিন্ন অন্য কোন হিদায়াত সন্ধান করে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করেন।…………………।” (তিরমিযি)
প্রিয় পাঠক, হাদিস দুইটির তুলনা করুন এবং আপনারাই বলুন; কোরআনকে বাদ দিয়ে সূন্নাহ্’র অনুসরণ করার প্রথম হাদিসটির কথা কি তাহলে হযরত আলী (রাঃ) এর কথা হতে পারে? নাকি গোয়েন্দা আলেমগণ জাল হাদিস তৈরী করে হযরত আলী (রাঃ) এর নামে চালিয়ে দিয়েছে? আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

ইনশা’ল্লাহ্ ষড়যন্ত্রের খুঁটিনাটি ও আরো তথ্য-প্রমাণ নিয়ে খুব শীঘ্রই লিখছি ৬ষ্ঠ পর্ব।

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×