গত কিছুদিন ধরে মোবাইলে জরুরী চিকিৎসা সাহায্য চাওয়ার একটি কাল্পনিক কাহিনী বেশ আদান প্রদার লক্ষ করা গেছে।
এবার আর কল্পকাহিনী নয়। সম্পুর্ন বাস্তব।
।। ইত্তেফাক ডেস্ক ।।
পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের অকালমৃত্যু নিয়ে যখন নানামুখী গুজব ও তর্ক-বিতর্কের ঝড় বইছে তখনই মাইকেল অসুস্থ হবার পর তার অজ্ঞাত একজন সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্রের ইমার্জেন্সি নম্বর ৯১১ তে ফোন করে এই তারকাকে বাঁচানোর যে আকুতি জানিয়েছিলেন সেই কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। বৃহস্পতিবার হার্টঅ্যাটাকে মাইকেলের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পেছনে আর কোন রহস্য আছে কিনা বিভিন্ন মহলে তার অনুসন্ধান শুরু হয়। কিন্তু ফাঁস হওয়া ফোনকলের রেকর্ড থেকে জানা যায়, মাইকেল সত্যিই নিজের বাড়িতে জ্ঞান হারিয়েছিলেন। এরপর লস এঞ্জেলেসের ইউসিএলএ মেডিক্যাল সেন্টারে নিলে ডাক্তাররা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মাইকেল জ্যাকসনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে তার ফল পেতে বেশ কিছুদিন লেগে যাবে। কারণ শতভাগ সঠিক কারণ নির্ণয় করতে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা করা হবে।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা তার দেশের এই মহাতারকার মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ওবামা বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন এক জাঁকজমকপূর্ণ তারকা। মানুষের মনে বিনোদন যোগানোর ক্ষেত্রে তার জুড়ি কেউ ছিল না। আমি তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। ওবামার প্রেস সেক্রেটারি রবার্ট গিবস একথা জানান। খবর এএফপি, এপি ও রয়টার্সের।
সূত্র জানায়, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু নিয়ে যাতে কোন ধরনের অগ্রহণযোগ্য গুজব না ছড়াতে পারে সেজন্য লস এঞ্জেলেসের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট নিজেই ৯১১ জরুরি নাম্বারের কলের রেকর্ড ফাঁস করেছে। এই ফোন আলাপ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মাইকেল জ্যাকসন বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন জ্ঞান হারিয়েছিলেন তখন তার ব্যক্তিগত ডাক্তার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মাইকেলের সঙ্গী ৯১১ জরুরি নম্বরে ফোন করার পর অপারেটরের সঙ্গে যেসব কথা হয়েছিল-
মাইকেলের সঙ্গী (মা.স) ঃ এখানে এক ভদ্রলোক জ্ঞান হারিয়েছেন। তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি নাঃ
অপারেটর ঃ তার বয়স কত?
মা.স ঃ ৫০ বছর, স্যার।
অপারেটর ঃ তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে?
মা.স ঃ ঠিক তাই!
অপারেটর ঃ জ্ঞান আছে তো?
মা.স ঃ না স্যার! তিনি অচেতন।
অপারেটর ঃ ঠিক আছে। তাকে কোথায় রেখেছেন? ফ্লোরে তো?
মা.স ঃ না। তাকে বিছানায় রাখা হয়েছে।
অপারেটর ঃ তাকে ফ্লোরে শুইয়ে দিন।
মা.স ঃ ঠিক আছে। এখনই করছি।
অপারেটর ঃ আমরা আসছি। তাকে কি আর কেউ দেখেছে বা দেখছে?
মা.স ঃ হ্যাঁ স্যার। তার ব্যক্তিগত ডাক্তার এখানে উপস্থিত আছেন।
অপারেটর ঃ সেখানে তার ডাক্তার আছেন, তাই নাকি?
মা.স ঃ হ্যাঁ স্যার। কিন্তু তিনি অনেক চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারছেন না।
অপারেটর ঃ সেখানে একজন ডাক্তার থাকলে তো তার আমাদের চেয়ে ভাল বোঝার কথা। যাহোক, আমরা আসছি। আর কেউ কি আছেন?
মা.স ঃ না। শুধু একজন ডাক্তার।
অপারেটর ঃ (ডাক্তারের উদ্দেশে) আপনি কি প্রথম থেকে দেখেছেন কিভাবে এমনটি ঘটল?
মা.স ঃ প্লিজঃ
অপারেটর ঃ আমি একটু ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
মা.স ঃ তিনি রোগীর হার্ট পাম্প করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
অপারেটর ঃ কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাচ্ছি।
মা.স ঃ ধন্যবাদ স্যার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




