অবশেষে দ্রব্যমহৃল্যের আগুনে পুড়ে গেছে বাণিজ্যমন্পীর গদি। বহুল আলোচিত-সমালোচিত ও 'প্রভাবশালী' বাণিজ্যমন্পী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর দফতর কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অপসারণ করা হয়েছে উপদেষদ্বা বরকতউল্ক্না বুলুকে। বাণিজ্য মন্পণালয়ের দায়িত্দ্ব পেয়েছেন মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। তিনি একই সঙ্গে তার আগের পানিসমঙ্দ মন্পণালয়েরও দায়িত্দ্ব পালন করবেন।
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী মন্পণালয় হারালেও মন্পিত্দ্ব হারাননি। 'সানস্ন্বনা' হিসেবে তাকে দফতরবিহীন মন্পী বানানো হয়েছে। এছাড়া বরকতউল্ক্না বুলু পেয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্পণালয়ের উপদেষদ্বার পদ। প্রধানমন্পী বেগম খালেদা জিয়া সোমবার সল্পব্দ্যায় এলজিআরডি মন্পী আবদুল মাল্পম্নান ভূঁইয়া ও স্ট্বাস্ট্থ্যমন্পী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন সিনিয়র মন্পীর সঙ্গে পরামর্শের পর মন্পীদের দফতর পুনর্বণ্টনের সিদব্দানস্ন নেন। বর্তমান সরকার এ নিয়ে দুই দফা বাণিজ্যমন্পী রদবদল করল।
বিএনপির নেতৃত্দ্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয়ের মতো গুরুত্দ্বপহৃর্ণ মন্পণালয়ের দায়িত্দ্ব লাভ করেন। সে সময় সারাদেশে আইন-শৃগ্ধখলা পরিস্টি্থতির অবনতি ঘটে। সন্পাসীদের গুলিতে রাজধানীতে একটি নিষঙ্াপ শিশু নিহত হওয়ার পর তিনি 'আল্ক্নাহর মাল আল্ক্নাহ নিয়ে গেছে' মনস্নব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে ওঠেন।
এরপর দেশে সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মহৃল্য বৃদব্দি রোধে ব্যর্থতার দায়ে বাণিজ্যমন্পী আমীর খসরু মাহমুদকে মন্পিসভা থেকে অপসারণ করার পর আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয় থেকে সরিয়ে বাণিজ্য মন্পণালয়ের দায়িত্দ্ব দেওয়া হয়। তবে এখানেও তার স্ট্বভাবসুলভ মনস্নব্য বল্পব্দ হয়নি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই তিনি বলেছিলেন, 'বাজার অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের মহৃল্য নির্ধারণ করবেন।' চালের অস্ট্বাভাবিক মহৃল্য বৃদব্দির পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'রোদ উঠলেই দাম কমবে।' তবে পরে রোদ উঠলেও চালের দাম কমেনি। তখন সরকার জরুরিভিত্তিতে চাল আমদানির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্পণের চেষদ্বা করে।
দ্রব্যমহৃল্য নিয়ন্পণে ব্যর্থতা ছাড়াও পটুয়াখালীতে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কর্মকা-ে স্ট্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। ঢাকায় সচিবালয়ে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর দফতর ছিল নিজ দলের নেতাকর্মীদের জন্যও 'নিষিদব্দ'। তিনি তার দফতরকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে 'মিনি ক্যান্টনমেন্ট' হিসেবে গড়ে তোলেন। চলতি মাসে অনুষ্ঠিত বরিশাল বিভাগের ছাত্রদলের তৃণমহৃল নেতাকর্মীদের সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্গ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উপস্টি্থতিতে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর তীব্র সমালোচনা করা হয়। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কর্মকা-ের জন্য আমরা মুখ দেখাতে পারি না।' এ সময় তারা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদব্দে নিজ দলের কর্মীদের হয়রানি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের আগেই তার বিরুদব্দে ব্যবস্ট্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সোমবার সল্পব্দ্যা পর্যনস্ন মন্পণালয় হারানোর সল্ফ্ভাবনা অাঁচ করতে পারেননি। বাণিজ্যমন্পী হিসেবে সোমবার সারাদিনই তিনি ব্যস্টস্ন সময় কাটান। সকালে তিনি চট্টগ্রামের কেটিএস গার্মেন্টসে অগ্গিম্নকা-ের তদনস্ন রিপোর্ট বাস্টস্নবায়নের অগ্রগতি সংত্রক্রানস্ন সভায় সভাপতিত্দ্ব করেন। এরপর ত্রক্রয়সংত্রক্রানস্ন মন্পিসভা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন। দুপুরে গার্মেন্টস শিল্কেপ্প কাজের পরিবেশ (সোশ্যাল কমপ্ট্নায়েন্স) সংত্রক্রানস্ন এক বৈঠকে সভাপতিত্দ্ব করেন। সল্পব্দ্যায় তিনি যথারীতি মন্পিসভা বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরই তার ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। এ ব্যাপারে উপদেষদ্বা বরকতউল্ক্না বুলু জানান, 'মাননীয় প্রধানমন্পী আমাকে যেখানে যে দায়িত্দ্ব দেন, আমি তা আনস্নরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের চেষদ্বা করব।'
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




