ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর এলাকার নূরপুর গ্রাম। মহাসড়কের পাশে একটি পুকুর। পুকুর পার হয়ে ফুলের বাগান। বাগানের পর একটি ছোট একতলা ভবন। এটিই চলচ্চিত্রনির্মাতা তারেক মাসুদের বাড়ি।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে মারা যান তারেক মাসুদের বাবা মশিউর রহমান মাসুদ। বাবার দাফনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। পারিবারিক কবরস্থানে শেষ শয্যায় শুইয়ে দেন বাবাকে।
তারেক মাসুদকে হারিয়ে কাঁদছে নূরপুর গ্রামটি। গতকাল শনিবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি ঘরে বিলাপ করছেন বৃদ্ধা নূরুন্নাহার মাসুদ। তিনি তারেক মাসুদের মা। ‘হায় আল্লাহ তুমিই হায়াত দেওয়ার মালিক। আমার তারেককে তুমি ফিরিয়ে দাও’—এভাবে ক্রমাগত বিলাপ করে যাচ্ছেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়নি যে তারেক আর নেই। বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তারেক, তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আরেকটি ঘরে নীরবে কেঁদে যাচ্ছেন তারেকের ভাই সাঈদ মাসুদ। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। নীরবে ঝরছে অশ্রু। শব্দ করে কান্নারও উপায় নেই, পাছে মা সবকিছু টের পেয়ে যান। সাঈদের বড় মেয়ে সেঁজুতি মাসুদ (১২) বলছিল, ‘বড় চাচা আমাকে খুব আদর করতেন।’ প্রতিবেশী কৃষক বাকি মিয়া (৪৫) বলেন, তারেকের মতো সাদা মনের মানুষ আর হয় না। বাড়িতে এলেই এলাকার সব মানুষের খবর নিতেন।
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুধীন সরকার বলেছেন, ‘আমাদের গর্বের ধন ছিল তারেক। গত বিশ্বকর্মা পূজার দিন সে হেলিকপ্টারে চড়ে ভাঙ্গার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার দৃশ্য ধারণ করছিল ক্যামেরায় তাঁর নবনির্মিত একটি ছায়াছবির জন্য। সে সময় ভাঙ্গার কুমার নদের পাড়ে জনতার ঢল নেমেছিল।’
তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ফরিদপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে
তারেক মাসুদ, মিশুক মনির আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় কি ভিশন শূন্যতা সৃষ্টি হল, যা কখনই পুরন হবার নয়, নুরপুর গ্রামবাসী, তোমরাই সুধু কাঁদবে? আমাদেরও তোমাদের সাথি করে নাও, কাদুক পুরো বাঙ্গালী জাতিই কাদুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




