কি যে টান আছে আমি জানিনা। ওকে আমি বলতেও পারিনি। ও বার বার জিঙ্গেস করেছিল কেন তাকে ছেড়ে যেতে চাই, কি তার অপরাধ, ও বলেছিল আমরাতো ভালো থাকতে শুরু করেছি। গত পাচঁবছর আমরা এতো কষ্ট করেছি যে ভালো থাকার কথা চিন্তাই করতে পারিনি। যখন ভালো থাকা শুরু করলাম তখন কেন চলে যেতে চাইছো আমি তার উত্তর দিতে পারিনি। কারন আমার বার বার মনে হয়েছে এ সম্পর্কটা আমি চাই। তাই ওর কাছে বিষয়টি লুকাইনি। আর ও বিষয়টি বুঝতে পারছে না। সারাদিন মনমরা হয়ে থাকে। এদিকে যে সম্পর্ক আমি নিজেই তৈরী করেছি সেটা আমি কি করে ভেঙ্গে দিই। ওর বন্ধুকে স্বপ্ন দেখিয়েছিতো আমিই। মাঝরাতে সবকিছু নতুন করে সাজাতে ওকে বলেছি ডিভোর্সের কথা। ও এর আগে আমাকে বুঝাতে চাইলেও বারবার শুধু বলেছে ওর বন্ধুটি সুযোগ নিয়েছে যারা সুযোগ নিতে চেষ্টা করে তারা কখনো ভালোবাসেনা এর আগেও নাকি একই বন্ধু ওর পুরনো প্রেমিকাকেও ভুলিয়ে নিয়েগিয়েছিল তার সাথেও প্রেম করেছে। ও আমাকে বারবার চ্যালেঞ্জ করে ওই বন্ধু নাকি আমাকে কখনো বিয়ে করবে না। কারন সে নাকি জানে আমি কখনোই সন্তান আর ওকে ছেড়ে আসবোনা তাই সুযোগ নিচ্ছে। বিয়ে করতে চাইলেও নাকি করবে না। কিন্তু আমি জানি ওর বন্ধু আমাকে ভীষন ফিল করে। আমি জানি সে আমাকে বিয়ে করবে। তাছাড়া ওর কথা ঠিক নয় সে আমার কাছে সুযোগ নেয়নি বরং আমিই তাকে প্ররোচিত করিছি । স্বপ্নও দেখিয়েছি সংসারের। তবে এখন আমার প্রায়ই মনে হয় বাচ্চাটি হয়তো ভালো থাকবেনা। আমার বাবা মাও হয়তো ভালো থাকবেনা। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। ওর কথা আমার সত্যি মনে হয়না। ওর বন্ধুটিকে সে ইর্ষা করে তাই ও নানারকম কথা বলে একসময় প্রেমিকাকে নিয়ে গিয়েছিল তাই ইর্ষার মাত্রাটা আরো বেড়েছে। সম্পর্কটা এমন একটা অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে যে আমি চাইলেও তাকে না করে দিতে পারছিনা। এদিকে ও নিজেও আর আমার সাথে থাকতে চাইছে না। ওর এক কথা সে থাকবে না আলাদা হয়ে যাবে। ও বলে যে আমাকে ভালোবাসতে পারলোনা যে আমাদের সবার কথা চিন্তা না করে অন্যের প্রেমে পড়ে গেল তার সাথে নাকি ও থাকবেনা। ও আব্বুকে বলেছে, আপনার মেয়ে আমার কাছে ডিভোর্স চেয়েছে আমি দিয়ে দিবো। কাগজ রেডি করতে বলেন তাছাড়া ডিভোর্স না করলেও আমি আর থাকবোনা। সম্পর্ক নাকি ওর কাছে নানান জাতি গোষ্ঠীর এক দেশে একত্রে থাকার মতো। ও আব্বুকে বললো যে জাতি একবার স্বাধীনতা চায় তারা কোননা কোন দিন স্বাধীন হয়ই। তাই এই সম্পর্ক আর দীর্ঘায়িত করতে চায় না ও। এরপর অনেক দিন পেরিয়ে গেছে ও আমাদের ছেড়ে যায়নি। এক বাড়িতেই থাকি কিন্তু একসাথে না। ও আব্বুকে বলেছে যে তাকে ভালোবাসতে পারলো না তার সাথে ভালোবাসাহীনতা নিয়ে ও থাকবে না। আমি ওকে অনেকবার বলেছি আমি ওকেও ভালোবাসি কিন্তু ও একগুয়ে, থাকবেনা আমাদের সাথে। আমি সন্তানের কথা বললে ও বলে এটা নিয়ে সে তার মতো ভাবে। যেমনটা ভেবে আমি প্রেমে পড়তে পেরেছি।
আলোচিত ব্লগ
রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা
বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।