নরসিংদীর রায়পুরা থানার হাসনাবাদ গ্রামটি শিক্ষা সংস্কৃতিতে সবসময়ই অগ্রসর ছিল ! ইসলামি নানা কাজেও এই গ্রাম টি উল্লেখ যোগ্য অবদান রয়েছে ! হাসনাবাদ গ্রামটির বাজার হাসনাবাদে রয়েছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ ! পাশাপাশি এই জেলার অন্যতম সেরা দুই কওমী ইসলামি বিদ্যাপীঠ ( দক্ষিণ মীর্জানগর হাফেজিয়া মাদরাসা ও বালুয়াকান্দি দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদরাসা ) এই গ্রামের পাশপাশি গ্রামে অবস্থত ! এই সকল বিদ্যাপীঠ ও মসজিদ থেকেই সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা হয় !!!!

অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে জানাচ্ছি আজ এই বাজার হাসনাবাদের পাশে পালন করা হচ্ছে যাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইসলামকে নিয়ে ব্যাবসা করে, যারা ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন, যারা ভণ্ড ফতুয়াধারী, যারা ইসলামে বিভাজনের সৃষ্টি করে, যারা ধর্মকে তাদের মত করে উপস্থাপন করেন,যে মাহফিলে রয়েছে মেয়েদের অবাধ চলাচল, যারা শরিয়াহ না মেনে তরিকতকে তাদের ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রাধান্য দেয় সেই " ভণ্ড আট রসির উরস " !

যথারীতি ধর্ম প্রাণ মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেছিলো আজ বিকেল আসরের নামাজের পর ! এসেছিলেন থানার ওসি সাহেব সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তি-বর্গ ! তিনি (ওসি সাহেব)বলেছিলেন যে পক্ষের লোকজন বেশী থাকবে তাদের পক্ষে তিনি রায় দিবেন ! তো ঐ সময় হাজার দুয়েক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এই মাহফিলের বিরুদ্ধে উপস্থিত হলে তিনি এই মাহফিলের বন্ধ ঘোষণা করে চলে যান ! তখন তিনি নিরাপত্তার জন্য পুলিশ নিয়োগ করে চলে যান !!!!

কিন্তু নাটক তখনো শেষ হয় নি !!! মাগরিবের পরে দেখা যায় আরেক নাটক ! ঐ মুনাফেক আটরসি কর্তৃপক্ষ প্রশাসন ও সরকারের সাথে আতাত করে ফেলে ! মাহফিল চালু রাখার জন্য নাকি মন্ত্রী মহুদয়ের কাছ থেকে চাপ আসে প্রশাসনের কাছে ! ফলে তারা এই মাহফিলে যাতে ধর্ম প্রাণ মুসল্লিরা বাধা না দিতে পারে সেই জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মুতায়েন করেছে !!!! এমন কি তারা এ ও বলেছে যদি কোন হুজুর অথবা ধর্ম প্রাণ মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করে তাদের সবাইকে এরেস্ট করা হবে এবং বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে দেয়া হবে !!!! এই ভয়ে ইমানদার মুসল্লিরাও পরে আর বিশৃঙ্খলা হবে ভেবে তাদের এই অপকর্মের প্রতিবাদ করেন নি ! এই হচ্ছে আমাদের প্রশাসন ও সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড সমর্থনের অংশ !!!!

মাহফিলে চলতেছে এখন অনেক নাটক ! মাহফিলের শুরুতেই মাহফিল স্থানে বয়ে আনা হয় ‘আটরসি দরবার শরিফ’ থেকে আনা নজরানা বক্স ! যে বক্সে তাদের অনুসারী ভক্তগণ টাকা দান করবেন দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে ! এই টাকার এক ভাগ খাবে স্থানীয় মাহফিল কর্তৃপক্ষ, আরেকভাগ খাবে প্রশাসন, আরেকভাগ খাবে আট রসির মাজার কর্তৃপক্ষ ! তার পাশাপাশি রয়েছে খানাদানার ব্যবস্থা যা এই টাকা ও ভক্তদের মাজারে মানত করা পশু পাখি দ্বারা তৈরি করা হয় থাকে !!! আর অবশিষ্ট পশু পাখির খবর তো আটরসি মাজার কর্তৃপক্ষই জানে না !!!! একদিক দিয়ে আনা হয় আরেক দিক দিয়ে কিছু রেখে বাকি গুলো উধাও হয়ে যায় !!!!!

নাটক আরও চলছে, ঠিক এই মুহূর্তে গাঞ্জাখুরদের উপস্থিতি মারাত্মক আকারে বেড়ে গেছে ! কতোগুলা আবার পাশের চিপায় গাঁজা খেতেও শুরু করছে ! অবশ্য কতোগুলা মেয়েদের দেখা যাচ্ছে এদিক-উদিক ঘুরতে, তাদের উদ্দেশ্য কি একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন !!!!

মাহফিলের যারা স্বেচ্ছাসেবক তাদের এক জনেরও পায়ে কোন জুতা নেই,(মাহফিল পবিত্র স্থান এখানে কি আর জুতা পরে হাটা যায় !),পরনে লাল কাপর, চুলে মনে হয় কখন তেল দেয় না, হাতে এক খানা লাঠি ! তাদেরকে দেখলে মনে হয় যেন এই মাত্র শিয়ালের গর্ত থেকে উঠে এসেছে !!!!

তাদের আরও অনেক অপকর্ম আমার চোখে ধরা পরেছে যা লিখা আমার দ্বারা সম্ভব নয় ! সরকার অথবা প্রশাসনের জন্য হয়তো সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারবোনা ! তবে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আমি ফেসবুকে দিয়ে দিলাম !!!! পারলে আপ্নিও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই ধরনে কাজের প্রতিবাদ করুন ! আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সব ভণ্ড বিদাতি মাহফিল থেকে দূরে এবং এই সব গুমরাহি কাজ থেকে হেফাজতে রাখুন , আমীন !!!!!