৫ম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষা আনন্দের মাঝে শঙ্কা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২১ নভেম্বর থেকে একযোগে শুরু হয়েছে। সারা দেশের ২০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। সংবাদপত্রগুলোতে শিরোনাম হয়েছে ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে শুরু হল শিশুদের এস এস সি পরীক্ষা। কিšতু এই আনন্দের মাঝে এক ধরনের শঙ্কা লুকিয়ে আছে। যে মেয়ে বা ছেলেটি এত বড় একটি পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে আসলে এই চাপ গ্রহণ করতে পারবে কী?
৫ম শ্রেণীর একটি শিশুর বয়স কত হয়, বড়জোর ১০ বছর। আমরা যেখানে ১৬-১৭ বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে গিয়ে হচকচিয়ে যাই। এত কম বয়সে এত বড় চাপ তাদের মানসিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। স্বাভাবিকভাবে তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি হবে অন্যতম বাধা।অভিভাবকরা তাদের বিষয়গুলোকে কম গুরুত্ব দিয়ে বলবে পড়-পড়-পড়।
আরো একটি বিষয় নিয়ে আমি শঙ্কিত এর ফলে গ্রামের ঝরেপরা শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাবে। কারণ গ্রামের অনেক শিশুর অভিভাবক খুবই অসচেতন এবং নিরক্ষর। ফলে যে শিশুটি পাস করবে না তাদের অধিকাংশকেই কাজে লাগিয়ে দেওয়া হবে।
সারাদেশে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে, যেখানে ঢাকা শহরের একটি শিশুর সাথে গ্রামের একটি শিশুর শিক্ষা গ্রহণের সামগ্রিক অবস্থা আমরা বিবেচনায় রাখেনি।এটা হতে পারত প্রতিটি জেলা বা বোর্ডের অধীনস্থ পরীক্ষার্থীদের জন্য একই প্রশ্নপত্র। সেক্ষেত্রে বৈষম্য কিছুটা কম হত। আমাদের নীতিনির্ধারকরা গ্রামের কথা চিšতা করেন না। শহরে বসে গ্রামের শিশুর জন্য সিদ্ধাšত নেওয়া ঠিক নয়।
তাই বিষয়টি এত তাড়াতাড়ি গ্রহণ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন করতে হতে পারে। আমার দেশে শিশুদের মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে কতজন সচেতন? আমার মনে হয় এমন একটি পরীক্ষা ৮ম শ্রেণীতে নিলেও কিছুটা যুক্তিসম্মত হত। আমাদের পিতা-মাতারা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





