সব ওষুধের দোকানে ফ্রিজ থাকতে হবে তবে....
দেশের সব ওষুধের দোকানে ফ্রিজ থাকতে হবে।তা ছাড়া ওষুধ বিক্রি, বিতরণ, মজুদ ও প্রদর্শনের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।(প্রথম আলো ২৩ নভেম্বর,২০০৯)
আমাদের দেশের ওষুধের দোকানগুলোতে ফ্রিজ থাকলে অনেক উপকার হবে। কারণ অনেক ওষুধ ফ্রিজ না থাকলে বেশি সময় রাখা যায় না। আর ড্রাগ লাইসেন্স সেটা অত্যাবশ্যক হওয়া জরুরী।
কিন্তু আমি ইতিবাচক বিষয়ের পাশাপাশি একটি বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমাদের দেশে গ্রামে অনেক ওষুধের দোকান রয়েছে অথচ এসব গ্রামে কোন বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। গ্রামের অসংখ্য মানুষ এসব দোকান থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের ওষুধগুলো কিনে থাকে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্যুত বিহীন অসংখ্য গ্রামের ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
যেসব গ্রাম প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে মানুষকে অনেক দূরে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয় তাদের জন্য বেশ অসুবিধার সৃষ্টি হবে। এসব গ্রামের জন্য সরকারের ভাবা উচিত ছিল। আবার গ্রামের অধিকাংশ ওষুধের দোকানের মালিকের ফ্রিজ কেনার সামর্থ্য আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। যেখানে গ্রামের ওষুধের দোকানে বিশ হাজার টাকার ওষুধই থাকে না।
যেসব গ্রামে বিদ্যুত নেই সেখানে কিছু ওষুধ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে। যে ওষুধগুলো শুকনো প্রকৃতির অনেক দিন রাখা যায়, তবে ড্রাগ লাইসেন্স সবার জন্য অত্যাবশ্যক করতে হবে।ফ্রিজ না থাকলে ওষুধের দোকান বন্ধ করা ভাল তবে সরকারকে তার আগে দেশের সর্বত্র বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারের কাছে আমার অনুরোধ বিষয়টি ভেবে অনতিবিলম্বে কার্যকর ও সূচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





