আজ মানবতাবাদী লালন শাহের ১২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ কুষ্টিয়ার শহরতলি কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালন মাজার চত্বরে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী লালন উৎসবের। স্থানীয় লালন একাডেমী পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে। উৎসব শুরুর আগেই একতারা আর বাঁশির সুরে দুলছিল লালনের সাধনভূমি কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া। গানের টানে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো হাজার হাজার মানুষের ভিড় ঠেলে সবাই ছুটে চলেছেন আখড়াবাড়ির দিকে। উৎসবে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লালনভক্ত ও অনুসারীরা ছেঁউড়িয়ায় এসে ভিড় জমিয়েছেন। বিদেশ থেকেও এসেছেন লালনের অনুরাগীরা। দলে দলে বাউলেরা আসছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। তাঁরা জাত, কুল, ধর্ম ও গোত্র ভুলে একে অপরের সঙ্গে পাঁচ দিন যে ভাবের আদান-প্রদান করবেন, আগামী বুধবার মধ্যরাতের পর তা সাঙ্গ হবে। আখড়ার বিপরীত দিকের মাঠে বাউল-ফকিরদের গানের আসরের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
বাউলসাধক লালন শাহ দেহত্যাগ করেন বাংলা ১ কার্তিক ১২৯৭ সনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়ায়। বাউলসাধক লালনের মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালনের সমাধি-চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি অনুষ্ঠান। একটি লালনের নিজের আয়োজিত অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা, অন্যটি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে লালনের স্মৃতিচারণা, লালনসংগীত ও লালন মেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কুষ্টিয়া এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীদের পাশাপাশি সংগীত অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ অনুষ্ঠানে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাতব্যাপী চলবে গানের আসর। You are welcome to go there.......
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৪৫