যখন চারিদিকে সেনা আক্রমনের গুজব ছড়াইয়া পরিয়াছিল এমন ই এক রাতে তাহার সাথে আমার পরিচয়... দিনখানা ছিল রোজ শুক্রবার ২৬শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ১৪ই ফাল্গুন ২০০৯ সাল। তাহার (আমার এক জুনিয়র) ফোন পাইয়া চিন্তা করিতে লাগিলাম কি এমন হেতু সে আমাকে ফোন করিয়া বসিল? অনেকক্ষন ইনাইয়া বিনাইয়া বলিবার পরে বলিল "ভাইয়া আপনি কি বুঝতে পারছেন না আমি আপনাকে কি বুঝাতে চাচ্ছি"? আমিও আগপাছ কিছু না ভাবিয়া এক মুহুর্ত চুপ থাকিবার পর বলিয়া উঠিলাম "তুমি কি এমনই অবুঝ"। (ইহাই আমার জীবনের কাল হইয়া দেখা দিল)
ইহার পরক্ষনে আকাশ চিতকার করিয়া কাদিয়া উঠিল। অশ্রু গড়াইয়া পড়িতে শুরু করিল ধরনির বুকে, না জানি আমার করুন কাহিনীর ভবিষত আকাশ আগেই বুঝিতে পারিয়াছিল। যাহা হউক এইভাবেই আমার প্রথম ভালবাসা জীবনে উকি দিয়া উঠিল।
বন্ধুদের মধ্যে আমি একমাত্র জল না খাওয়া ব্যাক্তি হওয়ায় সকলে বলাবলি করিতে লাগিল। তাহারও অবশ্যি কারন রহিয়াছে...আমি এক প্রেমে বিবাহতে বিশ্বাসি ছিলাম। তাই ব্যাপার খানা ক্যাম্পাস ছাড়িয়া আবাস-নিবাস স্থলব্যাপি ছড়াইয়া পরিয়াছিল...(তখন তো বুঝি নাই ইহা ঘোর কলিকাল, সত্যযুগে বসিয়া থাকিলে মারা খাইয়া উপুর হইতে হয়)।
তো আমার এক বন্ধুবর সেও আমারি মতন রহিয়াছে আজও, প্রায় সময় বলিত ইস!!!! তোরা দোস্ত জীবনটার একখান গতি করিয়া ফেলিয়াছিস...আমার যে কি হপে
আজ আমি একদম ফ্রি। অথচ গত দুই বতসর যাবত এইদিন খানা আসিলে কেমন যেন মনে হইত...... দোস্ত আজ আমারে দেখিয়া কয় "আমি বাইচা গেছি, নিশ্চিত তোর দোয়া কামে লাগছে
যাহাই হউক, আমার থেইকাও বড় ডিগ্রীধারি এই সামু ক্যাম্পাসে অবস্থান করিয়া ক্যাম্পাস খানা বিদ্যার জ্ঞানসাগরে ভাসাইয়া রাখিয়াছেন। আমি আমার অর্জনকৃত কিঞ্চিত জ্ঞানের পানি এই ক্যাম্পাসে ছড়াইয়া দিলাম......
ক্যাম্পাসে ভালোবাসা শুরু করনের পুর্বসতর্কতাঃ
১। ইহা ঘোর কলিকাল। সত্যকালের প্রেম এই যুগে দুঃস্প্রাপ্য। অতএব বহুজনের আগমন হইতে পারে ইহা ধারনা করিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যান। (চলে গেছ তাতে কি নতুন একটা পেয়েছি, এই টাইপ আর কি!!!
২। ক্যাম্পাসে নতুন আসা কোনো মেয়েকে ভালোভাবে না বুঝিয়া শুনিয়া অফার করিয়া বসিবেন না? মেয়ের চাহিদা যদি বেশি থাকে বুঝিবেন ইহা আপনার জন্য নহে, ভাগ্যে থাকিলে পোলাদের যোগান কমিয়া যাইতে পারে... অতঃএব অপেক্ষা করুন
৩। ভুলেও নিজের বিভাগের জুনিয়র মাইয়ার লগে সম্পর্কে যাবেন না। অতি মিষ্ট মধুর সম্পর্ক কিছুদিনের মধ্যি তিক্ততার স্বাদ পাইতে পারে (তাহার পড়া, নোট, এসাইনমেন্ট ইত্যাদি গুছিয়ে দিতে দিতেই আপনার দিন শেষ)।
৪। মেয়ের মন মানসিকতা দেখিয়া লইবেন। যদি না মিলে তাহা হইলে প্রজেক্ট বাদ দিন। নতুন প্রজেক্টের অপেক্ষায় থাকুন।
৫। একই সাথের কাউকে জানানোর আগে ভাবিয়া লইবেন এই ধরনের সম্পর্ক ৯০% ই টিকেনা। তো সিদ্ধান্ত আপনার হাতে।
৬। আরেক জনের হকে হাত দিবেন না...... দুনিয়াতে মাইয়ার অভাব পড়ে নাই যে হাত দিতে হইবে...
ভালুবাসা পরবর্তী করনীয়ঃ
১। ঝগড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। কারন ঝগড়া হবেই। তবে খুনসুটিটা মধুর হয়।
২। কখনোই বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ করবেন না। কারন মেয়েটি আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে কিন্তু আপনার দোস্ত কখনোই যাবে না।
৩। যেকোনো ক্লাব, সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য থাকলে এগুলো ত্যাগ করবেন না।
৪। তাকে সময় দিন। তবে আপনার সময় নষ্ট করে নয়। যতটুকু সময় আপনার কাজ শেষে বেচে যায় তার কিছু অংশ বরাদ্দ করুন।
৫। তার পরিচিত জনদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখুন। পারলে পরিবারের সাথেও (যদি আপনি ইয়ো ইয়ো টাইপের না হোন)। তবে সাবধান থাকিবেন (যদি তার পল্টি মারার চান্স থাকে) আপনার পরিবার-পরিচিত জন দের সাথে পরিচয় করানোর সময়।
৬। ক্যাম্পাসের মেয়েরা সাধারনত অবিবাহিত শিক্ষকদের প্রতি একটু দুর্বল থাকে...লক্ষ্য রাখিবেন অঘটন যেন না ঘটে।
৭। তাহাকে শান্ত করিতে গিয়ে কখনোই নিজেকে ছোট করিয়া ফেলবেন না।
করনীয় আরো অনেক কিছুই ছিল। কিন্তু দিলাম না। কারন
প্রেম মানে না কোন বাধা, আটকায় আবার কোন সে ব্যাটা
যাই হোক ঠেকিয়া মানুষ শিক্ষা গ্রহন করে। অতঃএব ঠেকিয়া শিখুন। তবে মনে রাখবেন...... কখনোই প্রতারনা করিবেন না......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





