অফুরন্ত কাজের চাপে আমরা প্রায় সময় কোথাও গিয়ে নাগরিক জীবন থেকে একটু জিরিয়ে নিতে চাই। তাই চলে যাই দুরের কোনো নির্জন বনে অথবা কোনো পিকনিক স্পটে অথবা পাহাড় বা সমুদ্রের টানে। কিন্তু আপনি কি একবারের জন্য ভেবে দেখেছেন আপনার একটু খামখেয়ালীর জন্য অথবা হেয়ালীপনার জন্য নষ্ট হতে বসেছে এই সব শান্তিদায়ক স্থানগুলো। গতকাল গিয়েছিলাম বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্টে।
এর বিশেষত্ব হচ্ছে এই বন জলমগ্ন। এর বাসিন্দাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শাখামৃগ (বানর), বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ আর ব্যাং। তবে বনবিড়াল বা মেছোবাঘ ও থাকতে পারে। আর আপনাকে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে ছোটো ডিঙ্গি নৌকা করে। নয়ত বন দেখার আয়োজন মাটি হবে। যেহেতু বন তাই এর বাসিন্দারা সাধারনত নির্জনতাকেই পছন্দ করে। আপনার হইহুল্লোর অথবা চিতকার চেঁচামেচির কারনে হচ্ছে এই সব স্থানের বাসিন্দারা বিরক্ত আর আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন এদের পর্যবেক্ষন থেকে। তাই দয়া করে অন্তত কিছু কথা সবসময় মাথায় স্মরন রেখে ঐসব স্থানে প্রবেশ করবেন।
১. নির্জন বনে চিতকার চেঁচামেচি বা উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। যথাসম্ভব নির্জনতা বজায় রাখুন। তাহলেই আপনি ঐসব স্থানের বাসিন্দাদের সাক্ষাত পাবেন।
২. বিস্কিট, চীপস, ড্রিংক্সের খালি ক্যান অথবা পানির বোতল বা এইরুপ কোনো ধরনের বর্জ্য এইসব স্থানে ফেলে আসবেন না। সাথে করে বনের বাইরে নিয়ে আসবেন।
৩. সাঁতার জানলে ভালো নয়ত লাইফ জ্যাকেট সাথে নিয়ে যাবেন।
৪. চার- পাঁচজনের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বনে প্রবেশ করবেন।
৫. ক্যামেরা এবং ছাতা সাথে নিয়ে যাবেন।
যদিও পোস্ট টি সোয়াম্প ফরেস্টের উপরে নিয়ে করা তবুও যেকোনো স্থানে ভ্রমনের সময় খেয়াল রাখবেন আপনার কারনে যেন উক্তস্থানের পরিবেশ নষ্ট না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





