প্রখ্যাত আলেম এবং বর্তমান তরুনসমাজের আইডল মিজানুর রহমান আজহারীর যারা বিরোধিতা করে তাদের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য :
## তাদের বেশিরভাগই নামাজের ধারেকাছেও যায়না। পবিত্র কুরআন শরীফ পড়া তো দুরের কথা ইসলামিক কোন বই পুস্তকও পড়তে চায়না। তবে ইসলামী আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে তাদের সকল পান্ডিত্য জাহির হয়।
## তাদের বেশিরভাগই মতের অমিল হলেই জামায়াত , বিএনপি , রাজাকার ইত্যাদি উপাধি দেওয়া পছন্দ করে।
## তারা মুফতি আমির হামজা কিংবা আজহারীর বিরুদ্ধে যতটা সোচ্চার , বিভিন্ন ভন্ডপীর কিংবা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করা বক্তাদের বিপক্ষে ততটাই নমনীয়। অর্থাৎ এদের মূল টার্গেট উপরোক্ত দুজনই।
## আজ বাংলা ট্রিবিউনে একটি রিপোর্ট দেখলাম :
"শীর্ষ তিন গ্রাহক খেলাপি হলে মূলধন হারাবে ২১ টি ব্যাংক। "
অর্থাৎ তিনজনের কাছেই দেশের পুরো ব্যাংকিং সেক্টর জিম্মি। এসব ব্যপারে সেইসব বুদ্ধিজীবী কিছুই বলেনা। দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচার করে বিদেশে চলে গেলেও তাদের কলম চলেনা। বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্টে সমুদ্র চুরি হলে কলম চলেনা, দিনে দুপুরে ভোট চুরির ব্যপারে তাদের কলম চলেনা। তাদের কলম চলে শুধুমাত্র আজহারী গাড়ি চালালে। কোথায় লেখা আছে ওইটা আজহারীর গাড়ি? কোথায় লেখা আছে হুজুরদের শুধুমাত্র গরীবই হতে হবে এবং বাড়িবাড়ি মিলাদ পড়েই দিন চালাতে হবে? কোথায় লেখা আছে হুজুরেরা সম্পদশালী হতে পারবেনা? কোন সংবিধানে লেখা আছে হুজুরেরা গাড়ি চালাতে পারবেনা?
ওইসব মহাজ্ঞানী ভাইদের বলিঃ মুফতি আমির হামজা কিংবা মিজানুর রহমান আজহারী এদেশের তরুনদের মনে ইসলামিক চিন্তাধারা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। দেশে ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নতুন রেভল্যুশন সৃষ্টি করেছেন। এখন মানুষ খেজুর পাতার ওয়াজ শুনতে যায়না বরং কিছুনা কিছু শিখতেই যায়। যেই শিক্ষা পেয়ে আমার মতো হাজারো পাপিস্ট বান্দাও অন্তত এক দুইবার জায়নামাজে যেতে বাধ্য হয়েছে। ভুলগুলো শুধরানোর মতো সামান্য হলেও বিবেক জাগ্রত করেছে। আর এটা থামানোর সাধ্য একমাত্র আল্লাহর ইশারা ছাড়া কারোরই নেই। অতএব আজহারীর পেছনে লেগে লাভ নাই। যতো হিংসাই করেননা কেনো, উনার জনপ্রিয়তার সিকিভাগও আপনাদের নেতা-নেত্রীর নাই। আজহারীর বিরুদ্ধে বলার আগে নিজেদের চেহারাটা আয়নায় না হোক, স্মার্টফোনের সেলফি ক্যামেরা চালু করেই দেইখেন। আর ভাইবেন, আজহারীর ব্যপারে কথা বলার মতো যোগ্যতা রাখেন কিনা।