রাজনীতির রঙ্গিন মাঠে
তুমি যতটা সরব,
জনস্বার্থের কথা উঠলে
তুমি কেন এতো নিরব ?
দল কিংবা নেত্রীর স্বার্থে
যতটা তুমি সোচ্চার,
জনগণের স্বার্থহানীতে
ততটাই কেন নির্বিকার?
দল তোমাকে কি মধু দেয়
যা দেশ তোমাকে দেয়না?
দেশের স্বার্থ ক্ষুন্নের বেলায়
দেশ কেন তোমায় পায়না?
দল বড় নাকি দেশ বড়
তোমার বিবেকের কাছে?
দলের দালাল হয়েকি তোমার
কোন লাভ আছে?
প্রয়োজন শেষে দল যতটা
ছুড়ে ফেলে দেয়,
দেশটা তার প্রতিটি সন্তানকে
বুকে তুলে নেয়।
জনগণের কষ্ট লাঘবে
যদি না দাড়াও পাশে
তোমার মতো পাতিনেতার
কিইবা দরকার আছে?
রাজনীতি প্রধান উদ্দেশ্য
জনকল্যাণ করা
তোমার মস্তিষ্কে কেন শুধু
দলের কল্যান ভরা?
বাংলাদেশের সম্পদ তুমি
কোন দলের নও,
দলের দালালি বাদ দিয়ে
দেশের দালাল হও।
ফুটনোটঃ আজকাল বিভিন্ন দলের বহু নেতাকর্মী (বিশেষ করে কিছু তথাকথিত উদীয়মান ছাত্রনেতাদের) দেখি দলের স্বার্থের বেলায় ব্যপক সোচ্চার। দলীয় নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বললে সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্তও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে । অথচ মহানবী ( স: ) এর কটুক্তিতে তারা ছিলো চুপ। তবুও দুই চারজন যতটুকু মিউমিউ করেছে, সেটা দায়সাড়া গোছের। এ ব্যপারে আর উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা তারা উপলব্ধি করেনা। একইভাবে, দেশ এবং জনগণের নানাবিধ স্বার্থহানীতে নূন্যতম প্রতিবাদটুকুও তাদের মুখ থেকে বের হয়না। তাদের স্বয়নে স্বপনে শুধুই দল, দল আর দল। ইহাই তাদের দুনিয়া। তাদের মস্তিষ্কের সম্পুর্নটা ইহার মাঝেই আবদ্ধ। হাতেগোনা চার-পাচজন ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগই এইভাবেই চলছে। এতো বড় গোষ্ঠীর মেধা এবং শ্রম দেশের কোন কাজে আসবে সেটা আমার মাথায় ধরেনা। তাদের প্রতি ক্ষোভ থেকেই উপরের লেখাটা লিখলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০০