
বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এক অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে আছে ক্ষমতাসীনদের একচেটিয়া আধিপত্য, অন্যদিকে বিরোধী পক্ষের আন্দোলন ও প্রতিরোধ। এ যেন এক স্থবির রাজনীতির লড়াই, যার পরিণতি হয়তো সাধারণ জনগণের কষ্ট, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা। এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই—এই দেশ কি গণতন্ত্রের পথে ফিরবে, নাকি আরও একবার অন্ধকারে হারিয়ে যাবে?
আমরা যারা এই দেশের সাধারণ নাগরিক, আমাদের চাওয়া খুবই সহজ: একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, যেখানে সকল দল সমান সুযোগ পাবে, সকল ভোটার নিরাপদে ভোট দিতে পারবে, এবং যার ফলাফল হবে জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন। কিন্তু বাস্তবতা তার উল্টো। বর্তমান সরকার বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন করতে চায়, আর বিরোধী দল সরকার পতনের দাবিতে রাজপথে।
আমরা অতীতে দেখেছি, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন কেমন বিতর্কিত হয়েছিল। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল নানা কৌশলে, প্রশাসনের সদ্ব্যবহার না করে অপব্যবহার করে। আমরা আরও দেখেছি, কীভাবে রাস্তা বন্ধ করে, যানবাহনে আগুন দিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছিল রাজনৈতিক দাবির নামে। এই দুই চিত্রই সমানভাবে ক্ষতিকর।
যদি আবারও একতরফা নির্বাচন হয়, তাহলে তা জনগণের চোখে বৈধতা হারাবে। আর যদি সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের চেষ্টা হয়, সেটিও আমাদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার করে তুলবে। জনগণ আর কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত চায় না। আমরা চায় স্থিতিশীলতা, শিক্ষার পরিবেশ, বিনিয়োগের নিরাপত্তা, এবং একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র যেখানে মানুষের মতামতই হবে মূল নিয়ামক।
এখন প্রশ্ন হলো—কে দায়িত্ব নেবে এই সংকটের সমাধানের? রাজনৈতিক দলগুলো যদি একে অপরকে ধ্বংস করতেই ব্যস্ত থাকে, তাহলে রাষ্ট্র কোথায় যাবে? দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি পাবে একটি সুশাসিত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র?
আমরা চাই না সামরিক শাসন। আমরা চাই না দলন-নিপীড়ন। আমরা চাই না মিথ্যা আশ্বাস। আমরা চাই একটি পথ, যেখানে বিশ্বাস আছে, স্বচ্ছতা আছে, ও সর্বোপরি জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


