বিশ্বাস করুণ ওরা অপরাধি না। আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে। ওরা আপনাকে বিশ্বাস করাবেই করাবে। ধরুন অবিশ্বাসের ঘুন পোকা আপনার মধ্যেকার বিশ্বাস নামক বৃক্ষের মাটির নিচের শেকড়টুকুও খেয়ে ফেলেছে। আপনার মধ্যে বিশ্বাসের শেষ শ্বেত কনিকাটিও আজ আর বেচে নেই। তবুও আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে। আপনাকে যে বিশ্বাস করতে হবে, এটা আপনি বিশ্বাস করুণ ................!
লোকটি রোজ একটা পাপ করে। লোকটিও জানে এটা পাপ। কি পাপ সেটা আমাদের জানার অধিকার নেই। কিংবা জানতে চাওয়াটা, চাওয়াকে হয়ত অপমান করবে। ও রোজ রাতেই এই পাপটি করে। ওর এই পাপকাজটি শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের প্রথম দিকে। পাপটি শেষ হবার পর ঘুমানের আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিয়মিত সরি বলে। ওর বিশ্বাস পাপ করার পর সৃষ্টিকর্তার কাছে যদি সরি বলা হয় তবে তিনি মাফ করে দেন। সৃষ্টিকর্তা অত্যান্ত দয়ালু, আমাদের দয়া করার জন্যই তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের অবশ্যই দয়া করবেন। নিজস্ব ধর্ম সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানও রয়েছে লোকটির। আসলে ও যে পাপটি করে (ওর ধারণা) এই একই পাপ হয়ত এদেশের ১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ জন করেনা। শুধু ও করে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চায়। ওর বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তা ওকে ক্ষমাও করে দেন। যেহেতু সে ক্ষমা পায় সেহেতু ওর যুক্তি হল এদেশের ১৪ কোটি মানুষ কেউই এ পাপটি করে না। তাহলে মুল কথা গিয়ে দাড়াল ও ওর নিজের পাপটি আর পাপ মনে করে না এবং নিজের পাপটি নিজে দেখেও না, অনুভবও করে না।
এবার আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে। আপনাকে বিশ্বাস করানোর জন্যই লাইনের পর লাইনের মধ্যে এ শব্দের আয়োজন। এখন যদি আপনি বিশ্বাস করতে না পারেন তাহলে আমি বলব এটা আপনার ব্যার্থতা। আপনি নিশ্চই আপনার ব্যার্থতাকে কখনোই প্রমান করতে চাইবেন না। এখন তাহলে আপনাকে একট কাজ করতে হবে। আর সেটা হলো বিশ্বাস না করেও বিশ্বাসের ভাব ধরতে হবে।
এবারে খবর............
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচনী আইন সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময়ে জামায়াতে ইসলামী নেতারা তথা নেতা আলি আহসান মুজাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। এর সবই তাদের কল্পনা প্রসূত। বানোয়াট ও উদ্ভট চিন্তা। ৭১ এ ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধি ছিল তাদেরকেও সিমলা চুক্তির আওতায় এনে প্রয়াত শেখ মুজিবের সরকার মাফ করে দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
৭১ এ আমার জন্ম হয়নি। তাই হয়ত অনেক কিছুই জানিনা। তবে কিছু বই পত্রের অক্ষর ও মুক্তিযোদ্ধার বর্ণহীন বাক্য আমার মাথায় অসখ্যবার আঘাত হেনেছে এবং মাথা ব্যাথার কারণও হয়েছে।
কিন্তু এ মূহুর্তে ওই ব্যাপারটি নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। এখন আমার মাথা ব্যাথার কারণ হচ্ছে সেই পাপ করা লোকটিকে নিয়ে।
: ওই লোকটি পাপ করে সরি বলে, পাপ মাফ হয়ে যায় (লোকটির ধারণা)। এরাও পাপ করেছিল ৭১ এ এরাও কি সরি বলে নিজদেরকে পাপ মুক্ত মনে করছে......?
: লোকটি ভেবেছিল আমার পাপ যেহেতু আমিই দেখিনা সেহেতু কোটি কোটি ওই মানুষগুলো নিশ্চই আমার পাপ দেখেনা। আর অনুভব করার তো প্রশ্নই আসে না। ওই রাজনৈতিক দলের অবস্থাও কি তাই.....?
: লোকটির ধারণা সৃষ্টিকর্তা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কারণ তিনি তার ধর্ম সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রখেন। তিনিই এক মাত্র বোঝেন ধর্ম কি জিনিস। এটা হয়ত তার একান্ত কল্পনা কিংবা উদ্ভট চিন্তা। তিনি অবশ্য একটি জিনিষ সবচেয়ে ভালো বোঝেন আর সেটা হলো কি করে নিজের স্বার্থে ধর্ম বিক্রি করতে হয়। নেতা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী নেই এটা মুক্তিযোদ্ধা বা সাধারণ মানুষের কল্পনা, উদ্ভট চিন্তা। কল্পনা কল্পনা বা উদ্ভট চিন্তা আসলে কোনটা.......?
লোকটিকে আমার প্রশ্ন
: আপনি কি আপনার পাপ দেখেন?
: না।
: কিন্তু আপনি ছাড়া বাকী ১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ জন মানুষ আপনি কি করেছেন কি করছেন তা দেখে। এবং বুঝে শুনেই আপনাকে (রাজার আকার) উপাধিটা দিয়েছে। আপনি কি তা বিশ্বাস করেন?
: না করি না। ওরা অজ্ঞ।
: সারা বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখেন আপনার কথা শুনে সবাই হাসছে আর লজ্জা পাচ্ছে। আপনি কি এটা অনুগ্রহ করে বিশ্বাস করবেন?
: না।
: আপনি আপনাকে বিশ্বাস করেন তো! নাকি আপনার বিশ্বাসের আড়ালে আপনারও লজ্জা হাসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




