somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমরা যারা কবি হতে চাও (২)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"তোমরা যারা কবি হতে চাও"
--এই শিরোনামে একবার একটা লেখা দিয়েছিলাম তরুণ কবি লেখকদের উদ্দেশ্যে। পরের অধ্যায় আর দেওয়া হয়নি।
কয়েকদিন আগে একজন একটা লিংক দিল, তার কবিতার লিংক। পড়ে দেখলাম, কবিতা কেমন লেগেছে, সেটা জরুরি নয়, সৌজন্যবশত প্রসংশা করলাম, উৎসাহ বাড়ুক।

সেও খুশি হয়ে তার সম্পর্কে জানাতে শুরু করল, তার অর্জন পরিচিতিও বেশ ভালো! কোলকাতা এবং বাংলাদেশ দুই অঞ্চলেই তার লেখা ছাপা হয়! সে খুব উৎসাহ নিয়ে বলতেই থাকল, "আম আদমি" হিসেবে আমি নিমিষেই শিষ্যের মত আপনি থেকে তুমিতে নেমে গেলাম তার সম্বোধনে। খুবই বন্ধুসুলভ বাচনে কথা বলছিল সে, মোটেও আতলামি নয়। আমাকে একটার পর একটা লেখার লিংক দিচ্ছিল, আমি পড়ে দেখছিলাম।

এবং বন্ধুসুলভ কথার জের ধরেই একপর্যায়ে বলে বসলাম, আপনার যে এতগুলো কবিতা, একটা কবিতা দাবি করুন তো, যেটা আগামি বিশ বছর টিকে থাকবে!

বেচারা চুপসে গেল, বলল, অতকিছু হিসেব করে কি কেউ লেখে?

আমি বললাম, ঠিক আছে, গত বিশ বছরে বই মেলায় বা বিভিন্ন সময়ে কত কত নতুন লেখকের বইই তো প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে কয়টা বই আছে, যা আগামী পঞ্চাশ বছর পরও টিকে থাকবে?

বলতে বাধ্য হল, তেমন উল্লেখযোগ্য কোন বই নেই।

জিজ্ঞেস করলাম, কেন নেই? উত্তর দিতে পারল না সে।

তখন তাকে যা বললাম, তা এপর্যায়ে লিখছি, এটা ওই "তোমরা যারা কবি হতে চাও" শিরোনামের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

কেবল লিখলেই সাহিত্য হয়ে যায় না, ছন্দের সাথে ছন্দ জুড়ে লাইন বা আমার হিয়া, তোমার বিহনে, হৃদয় উচাটন বা নিশীথ স্বপন টাইপ কিছু শব্দ লিখলেই সেটা কবিতা হয় না। সত্যিই হয় না!

আপনি কী লিখছেন আপনার একটু বুঝে দেখা উচিত! কবিতার ক্ষেত্রে কবিতা দুই রকমের হতে পারে, একটি আত্মগত ভাব, আরেকটি প্রশস্ত ভাব। যেমন, "অবনী বাড়ি আছো" একটি আত্মগত কবিতা। কবির একান্ত অনুভব, কবিমনের একান্ত উপলব্ধিকে আমি আত্মগত কবিতা বলছি-

আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি আমি
সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া
অবনী বাড়ি আছো?

শক্তি চট্টোপাধ্যায় অবনীর সঙ্গে তাঁর রসায়নকে তুলে ধরেছেন কবিতায়, ব্যাপার তাঁর একান্ত ছিল। কিন্তু যখন তিনি কবিতায় লিখলেন অবনীকে, তখন যারা পড়ল, সবাই ওই কবিতার কথার মাঝে নিজের প্রেমিকাকে, নিজের আবেগকে, নিজের কথাকেই খুঁজে পেল, সাধারণ মানুষ একাত্ম হয়ে গেল শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লাইনগুলোর সাথে, আদতে ওটি তখনই একটি সার্থক কবিতা হল। কবিতা বা লাইনের পর লাইন আপনি আমি লিখতেই পারি, কিন্তু কবিতা কখন হয়? বলা হয়, কবিতা মানেই হচ্ছে সুভাষিত বচন। একটা কথাকে কতটা অলঙ্কৃত করে বলা যেতে পারে, সেটাই একজন কবির কাজ। একটা সুভাষিত গদ্যই কবিতা। সে কবিতার কোনটা কতখানি জনপ্রিয় তা পরের কথা, প্রথম কথা, ওই সুভাষিত বচন আগে হতে হবে।

একদিন সবাই এসে ঠিক জড়ো হবে।
পশ্চিম গোলার্ধে তুমি আছ
আর তুমি সুদূর দক্ষিণ
উত্তরের শীতে ক্লান্ত কে তুমি, কে আছ প্রতীক্ষায়?
আমি প্রাচ্য, ফেরীঘাটে সব দেখা হবে।

(ফেরীঘাট; বিজয়া মুখোপাধ্যায়)

আচ্ছা, এই কবিতাটা দেখুন, এটাও আত্মগত, কী আছে এখানে? তেমন কিছু তো না, গভীরতা বিশ্লষণ ছাড়াই কেবল সাদামাটা চোখে পাঠ করলে কী পাই, কোন একটি প্লাটফর্ম, যেখানে তুমি আমি সবাই একদিন একসাথে জড়ো হব, এই তো?
কথা আপাতদৃষ্টিতে সাধারণই, শুধু শব্দগুলোকে গুছিয়ে বসিয়ে লেখা। শব্দকে না সাজিয়ে কেবল সরাসরি যদি বলা হত, "পৃথিবীর চার প্রান্ত হতে সব মানুষ একদিন এক জায়গায় এসে জড়ো হবে" তাতেও কথা তো একই হত, কিন্তু কবিতা হত কি?
এই যে শব্দের বুনন, এর কারসাজিতেই এটা হয়েছে কবিতা। এবং অবশ্যই অত্যন্ত ভালো মানের একটি কবিতা। এই যে কথাকে সাজানো, এটাই কবিতার প্রথম শর্ত।

আত্মগত ভাবসঞ্চারী কবিতা সম্পর্কে বলা হল, প্রশস্ত ভাব সম্পর্কে বলব এবার।

ম্লান হয়ে এলো রুমালে ইভনিং-ইন-প্যারিসের গন্ধ--
হে শহর, হে ধূসর শহর!
কালীঘাট ব্রিজের উপরে কখনও কি শুনতে পাও লম্পটের পদধ্বনি
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও
হে শহর, হে ধূসর শহর!
লুব্ধ লোকের ভিড়ে যখন তুমি নাচো
দশ টাকায় কেনা কয়েক প্রহরের হে উর্বশী,
তখন শাড়ির আর তাড়ির উল্লাসে,
অমৃতের পুত্রের বুকে চিত্ত আত্মহারা
নাচে রক্তধারা!
আর দিগন্তে জ্বলন্ত চাঁদ ওঠে,
হে শহর, হে ধূসর শহর!

(স্বর্গ হ'তে বিদায়; সমর সেন)

কিংবা আমাদের সবার পরিচিত জীবনানন্দ দাশের কবিতাই ধরুন-

পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে--
জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে
বুনো হাঁস পাখা মেলে-- সাঁই সাঁই শব্দ শুনি তার;
এক-দুই-তিন-চার-অজস্র-অপার--
রাত্রির কিনার দিয়ে তাহাদের ক্ষিপ্র ডানা ঝাড়া
এঞ্জিনের মত শব্দে; ছুটিতেছে ছুটিতেছে তারা!

(বুনো হাঁস)

এই কবিতা দুটির সঙ্গে প্রথম কবিতা দুটির পার্থক্য খেয়াল করুন।
প্রথম দুটিতে কবি ছিলেন, নিজেই মিশে ছিলেন, কবি তাঁর নিজের মনের কথাই যেন বলছিলেন, আর এই কবিতা দুটিতে কবি আর আত্মগত নেই, তিনি নিজের কথা বলছেন না, বৃত্তের বাইরে দাঁড়িয়ে বর্ণনা দিচ্ছেন বৃত্তের!

কবিতার এই ধরন দুটি নিয়ে বলা জরুরি ছিল এজন্য যে, আপনি আত্মগতও লিখতে পারেন, বিমূর্ত প্রশস্তও লিখতে পারেন। পাঠককে ছুঁয়ে যেতে পারছেন কি না, শব্দ কথা আর ভাবের ধুম্রজাল সৃষ্টি করতে পারছেন কি না- সেটা একটু মাথায় রাখুন। নইলে আপনি ওই তথাকথিত
"হাওয়ার জলে নদীর কূলে/ হৃদয় আমার তাল তমালে"
গোছের "কোনমতে কবিতা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়" এটুকুই স্বীকৃতি পাবেন কবি হিসেবে। এরকম আগডুম বাগডুম লিখে যে হাততালি পাবেন, সে হাততালিও লজ্জার হওয়া উচিত, যদি অন্তত সাহিত্যের সমঝদার হন আর কি!

সবাই মানিক-জীবননান্দ হবে না এই অজুহাতটা দেবেন না দয়া করে। মানিক জীবনানন্দ হতেই হবে এমন তো জরুরি নয়। জহির রায়হানকে তো মানিক হতে হয়নি, তিনি জহির রায়হানই হয়েছেন। এবং তাঁর "হাজার বছর ধরে" উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য একটি মূল্য ধারন করে আছে!

একটা সাহিত্য রচনা কখন ধ্রুপদী হয়? কখন যুগান্তকারী হয়?
বঙ্কিম লিখলেন, "পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?"
খুবই তো সাধারণ একটা কথা, অথচ দেখুন, এটা আজ প্রবাদবাক্য! যখনই কেউ কোথাও ভুল করতে উদ্যত হয়, এই প্রবাদটা সামনে এসে পথ আগলায়!

কী লাগে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে?
জহির রায়হানের কৌশলটাই দেখুন (যেহেতু সাহিত্য কৌশল নিয়ে কথা বলছি, তাই এটাকে জহির রায়হানের কৌশল বলেই অভিহিত করছি), তিনি সারা উপন্যাস তো ভালো লিখলেনই, শেষ পাতায় এসে কী করলেন, লিখলেন, "রাত বাড়ছে, হাজার বছরের পুরনো সে রাত!"

ব্যস, এই একটি লাইন বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী একটি লাইন হিসেবে দাঁড়িয়ে গেল! যতবারই পাঠক এই লাইনটার মুখোমুখি হয়, ততবারই রাত্রির সমস্ত গহীনতা, সমস্ত রহস্য, তাবৎ জীবনের সকল রাত্রির মোহময় স্মৃতি- সব এসে আবিষ্ট করে তোলে পাঠকচিত্তকে!

শংকরের "একদিন হঠাৎ" উপন্যাস, যে পাঠ করেছে, সে তার জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতে এই উপন্যাসের বিভিন্ন দৃশ্যের মিল খুঁজে পেয়েছে তার বাস্তবের সাথে। হুমায়ূন আহমেদের "এইসব দিনরাত্রি" উপন্যাস, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার, সম্পর্কের হাওয়া বদল এবং জীবনের অদ্ভুত সব সত্যকে তুলে ধরেছে। পাঠক যেন নিজের জীবনের চিত্রকেই ওখানে চলতে ফিরতে দেখছে! মানবজীবনের নিত্যদিনের যে ছবি, মানব প্রকৃতির বিশেষ কোন অংশ, কিছু একটা অমোঘ সত্যতা অবিকল আঁকতে পারলেই তা মানুষের মনে গেঁথে যাবার জন্য যথেষ্ট। এজন্য অলীক কাল্পনিক কোন মশলা লাগে না, নাটকীয়তাও লাগে না, কেবল সৎ বিশ্বস্ত চিত্রটাই লাগে।

যুগোত্তীর্ণ হতে, ধ্রুপদী হতে অনেক কিছু দরকার হয় না। শুধু মানব মনে পৌঁছতে পারার বিষয়টা মাথায় রেখে এগুতে থাকুন, সবার মনের কথাকেই এক মলাটে আনার কথা মাথায় রাখুন, তাতেই নাগালটা পেয়ে যাবেন।

সবাই কালোত্তীর্ণ হবে না, এটা যেমন সত্য, সবাই আপনাআপনিই কালোত্তীর্ণ হয়ে যাবে এটাও ঠিক নয়। হ্যাঁ, গভীরতাবোধ আর প্রতিভা ভিন্ন জিনিস, রবীন্দ্রনাথ কিশোর বয়সে যা লিখেছেন, তাও নেহায়েৎ আগডুমবাগডুম ছিল না। আপনি আজ অগাজগা লিখতে লিখতে একদিন ভালো লেখক হয়ে উঠবেন এই অলৌকিকতায় আমি বিশ্বাস করি না। আপনার বোধের ধারা এখন যা, তিরিশ বছর পর যে তা আমূল পাল্টে আল মাহমুদে পরিণত হয়ে যাবে- এটা আশা করার কোন সঙ্গতি কোথাও নেই, সাহিত্যে এতবড় "অলৌকিক চমৎকার" ঘটার নজির নেইও এখনও।

যাইহোক, যা বলছিলাম, সবাই কালোত্তীর্ণ আপনাআপনিই হয়ে যায় এটাও ভাবার কারণ নেই। জীবনানন্দের বিখ্যাত বনলতা সেন কবিতার চারটি খসড়া একবার দেখিয়েছিলাম, ওটা দেখলে বুঝবেন, কতভাবে লাইন অদলবদল করে ঢেলে সাজানোর পর একটি নিখুঁত কবিতার সৃষ্টি হয়! একটি ভালো রচনা একবারেই হয়ে যায় না, অনেক ঘষামাজার পরই তো একটা মুক্তো তৈরি হয়, তাই না?

শেষ পরামর্শটি হল, যত কবির যত অপ্রকাশিত কবিতার বই বা খসড়া বা পাণ্ডুলিপির সংস্করণ পান কিনে ফেলুন, একেকটি কবিতার জন্মপ্রণালী সেখানে পাবেন। নিজেই নিজের লেখার নিন্দুক হোন, সমালোচক হোন, নিজেকে নিজে বিচার করতে জানেন যদি, তবে আর আপনার কলম দিয়ে আবোলতাবোল লেখা বের হবে না, ভালো কিছুই বের হবে, নিশ্চিত থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৮
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×