somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোদি'জি কি জয়

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তা মোদি'জি, জনগণকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না কেন?

এ্যা? কী বলেন এইটা? কাদের কথা বলতেছেন? কোন জনগণ? যে জনগণ কিছু একটা হইলেই হুজুগে লাফায়? যে জনগণের নিজেরই রাইট রং বোঝার ক্ষমতা নাই, যে জনগণরে একটা ফটোশপ দিয়াই বোকা বানানো যায়, তাদের বুঝ দিয়া আমার চললে হইবো? আপনে একটা জিনিস খেয়াল করেন, যখন সিমের ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেজিস্ট্রেশন শুরু হইল, তখন মানুষ কী হারে বিরোধিতা শুরু করল, এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়া নাকি সবাইকে ম্যানিপুলেট করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়া নাকি দলিলে বসাইয়া জায়গা সম্পত্তি নিয়া যাওয়া হবে, অথচ মানুষ গত তিনশো বছর ধইরা এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়াই সবখানে কাজ চালাইয়া আসতেছে এইটা কেউ বুঝল না৷ শেষে কী হইল, সবাই ঠিকই ফিঙ্গার করল, মাঝখানে কয়দিন কাউতালি! এই জনগন কিচ্ছু বোঝে না, যখন যে যেই তাল দেয়, সেই তালে লাফায়, লাফাইয়া ক্লান্ত হয়, তারপর মাইনা লয়! কিচ্ছু বোঝে না!

আপনি জনগণকে ছোট করে দেখছেন, বুঝতেছেন আপনি কী বলতেছেন এইগুলা?

হ, আমার কথাডা তিতা সইত্য, শুনলেই খারাপ লাগবে, কিন্তু ডিপলি চিন্তা কইরা দেখেন, জিনিসের দাম বাড়ছে, মানুষ চিল্লায়! অথচ বেক্কলেরা এইডা দ্যাহে না যে সারা বিশ্বে ডলারের দাম বাড়ছে! তো ডলারের দাম বাড়লে সবকিছুর দামই বাড়বো না?

কিন্তু পাকিস্তানে যে চিনির দাম কম, শ্রীলংকায় চিনির দাম কম, ওদের অর্থনীতি তো আমাদের চাইতে খারাপ, দেউলিয়া দেশ!

ত যান গা, পাকিস্তানই যান গা! পাকিস্তানের প্রতি প্রেম, মিয়া বাংলাদেশের চিনির দাম কত জানেন? হেইডা চোখে পড়ে না? কাঁঠাল আমার দেশে আশি রুপি, অস্ট্রেলিয়ায় কাঁঠাল সাতশো রুপি, কই হেইডা চোখে দেহেন না? কচুরিপানা আমার দেশে কোন দাম নাই, ফেলনা! চীনে যাইয়া দেখেন, আড়াইশো রুপি বোন্দা, তো এখন বলেন, অগোর লগে তাল মিলাইতে আমরাও কাঁঠাল সাতশো রুপিতে বেচি, তহন নাইলে চিনির দাম কমামুনে ওইটার টাকা দিয়া!

আপনি ঘুরেফিরে সেই দাম বাড়ানোর ধান্ধায়ই আছেন দেখছি!

এই বাড়ানোর কথা কইয়া দিলেন তো মিয়া হাসাইয়া! শোনেন, একটা গল্প বলি, পার্কস্ট্রিট থেইকা এক মাইয়ায় যাইবো এসপ্লানেড, বাইক ডাকলো, বাইকার কইলো যামু, তয় পেমেন্ট একটু বাড়ায় দিয়েন! মাইয়ায় কইলো, ক্যান, পেমেন্ট হাতে দিলে কী সমস্যা!

আপনি জনগনের দুর্ভোগ নিয়ে পরিহাস করছেন মোদি'জি!

পরিহাস? আবার বলেন এই কথা৷ আমি বুঝতেছি স্পষ্ট, আপনে বিরোধী দলের সাংবাদিক, তাই না? দুর্ভোগ বলতেছেন মিয়া, এইডা তো বিশ্ব পরিস্থিতি, কেউ ভালা নাই, কী আর করবেন! সারভাইভাল অপ দি ফিটেস্ট! সইতে হবে, সইতে সইতে মানায় নিতে হবে৷ নইলে টিকে থাকা যাবে না তো!

মানে বলতে চাইছেন, এই জুলুম সইতে না চাইলেই ফেলে দেবেন!

ছিঃ ছিঃ, এই কথা আমি একবারও কইছি জবান দিয়া? কেন বিরোধী দলের মন্ত্রণায় নাচতেছেন! আসেন, বোঝেন বিষয়টা! বিশ্বের এখন যে অবস্থা, আপনার কি মনে হয়, আপনার দল ক্ষমতায় আইলে চাইলের দাম দশ রুপি হয়ে যাবে? তেলের দাম ত্রিশ রুপি হয়ে যাবে? হবে না৷ তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে তাকায় দেখেন, সব দেশ উন্নতি করছে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে৷ এজন্যেই মোদিজিকি সরকার হার বার দরকার!

তো এজন্যই আপনি ভোট দিতে দিবেন না??

আরে মিয়া, আপনে তো পেজগির মইদ্যে পইড়া আছেন! না, আপনে মনে হয় নিজেই ইচ্ছা কইরা পেজগির মইদ্যে শুইয়া আছেন! ভোট নিয়া আপনের এত পাড়াপাড়ি ক্যা? আইচ্ছা, ধরেন, এই যে আম্বানি, সে এক পক্ষে দাঁড়াইলো আর আপনে দাঁড়াইলেন বিপক্ষে৷ কার পাল্লা ভারি হবে বলেন? না টাকার জন্য না শুধু, আম্বানির ট্যালেন্ট আর আপনের ট্যালেণ্ট সমান? তাইলে আম্বানির মতামত আর আপনার মতামত কোনটা বেশি গুরুত্ব পাইবো বলেন? আম্বানির ডিসিশন আর গলির মোড়ের পান দোকানদারের ডিসিশন এক সমান হইবো, বলেন?? হইবো না৷ অর্থাৎ ম্যান টু ম্যান ভারি করে৷ সব ম্যানের ওজন সমান না, সব ম্যানের বুদ্ধি সমান না, যোগ্যতা সমান না, আউটপুট সমান না৷ তাইলে আম্বানির রায় এক ভোট, আর পান দোকানদারের রায় এক ভোট সমান হয় ক্যামনে??

তার মানে আপনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না?

রাখেন গণতন্ত্র! যেখানে ৫০০ রুপি দিলেই ভোট বিক্রি হইয়া যায়, সেখানে আবার গণতন্ত্র! এইডা একটা অকাজের জিনিস৷ দেশ চালাবে, দেশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে তারাই -যাগো দেশের প্রতি অবদান রাখার সামর্থ্য আছে৷ যাত্রাপালার রূপবান ক্যাবিনেটের বোঝে কী, কূটনীতির বোঝে কী, অর্থনীতির বোঝে কী? তাইলে ওরে দিয়া আমার কাজ কী? নাকি এখন আমার দেশের খাসির দাম বাড়াবো কি না, ব্যাংক রেট উঠাব না নামাবো সেইটা আমি রূপবানের মতামত নিয়া করব? গণতন্ত্র হিসাবে ওর মতামতেরও তো মূল্য আছে, তাই না? তো প্রতিটা ডিসিশনের আগে আমার কি জনগণকে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে? না সেইটার সুযোগ আছে? নায়ক সিনেমার মত কইতে পারলে ভালো হইত, আসো, এই চেয়ারে বইসা দেখ, কত কঠিন দেশ চালানো, কিন্তু কমু না, কারণ সিনেমাডা তো তুমিও দেখছো৷

জ্বি, দেখছি৷ তার মানে ওই সিনেমার মত আপনারও ঘাপলা আছে, সেটা নিয়া আপনার ভয়ও আছে, এই তো?

নোবডি ইজ দুধে ধোয়া তুলসীপাতা ইন পলিটিক্স, বুঝলা মিয়া৷ বহুত, পেচাল পাড়ছো, যাও, আমারে এহন একটু দেশ নিয়া ভাবতে দেও! আর হ, যাইবার সময় শ্লোগান দিতে দিতে যাইবা, মোদিজিকি? জেয়!! মোদিজিকি?? জেয়!! যাও এলা কইতে কইতে যাও... নাইলে কিন্তু গুল্লি করবো আমার বডিগার্ডে, অর ফায়ারিংএর কিন্তুক কোনো কৈফিয়ত লাগে না...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
১১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×