তখন আমার বয়স বেশ কম, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি।৷ একটা সেলুনে নিয়মিত আড্ডা দিতে যেতাম, ঘিঞ্জি একটা বস্তি এলাকায় ছিল সেটা। সেই সেলুনের এক কর্মচারীর প্রেম শুরু হল পেছনের বস্তির এক স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার সাথে। তিনবেলা ভাত খাবার চুক্তি থেকে যাওয়া আসা, সেখান থেকে খাতির শুরু এবং এক পর্যায়ে রাতে ভাত খেতে গেলে আর আসে না, একেবারে সকালে আসে!
এ নিয়ে একদিন শুরু হল, হট্টগোল, বস্তির হট্টগোল যেমন হয় ঠিক তেমন! অগত্যা গেলাম সমাধান করতে। যারা চেঁচামেচি করছিল তাদেরকে বললাম, এই মহিলা কিংবা এই ছেলে যদি একে অপরকে দশ বিঘা জমি লিখে দেয় আপনি আমি বাঁধা দেব?
উত্তর এল, না, এটা ওদের ব্যাপার, আমাদের কী?
আমি বললাম, এক্স্যাক্টলি। এই মহিলার ঘরে এই ছেলে আসছে যাচ্ছে থাকছে, এতে এই মহিলার সমস্যা নাই, ছেলেটারও সমস্যা নাই, আমাদের তাহলে সমস্যা কেন?
এই প্রশ্নে দেখলাম সবাই থতমত খেয়ে গেল, সহসা কোন জবাব এল না। আমি তো ভার্সিটিতে ঢুকেছি, বিশাল ট্যালেন্টেড, বলাই যায়! তখন হারুনের বাপ নামের এক আঙ্কেল আমাকে থামালেন, উনার নাম এখন আর মনে করতে পারছি না, উনি একটা গ্যারেজ চালাতেন পাশেই। শিক্ষিত ছিলেন না, কয়েকবার চুক্তিনামা করার কাজে আমাকে ডেকেছিলেন। তো উনি তখন বললেন, না, সমাজের দায়িত্বই এটা। কোন অনিয়ম অন্যায় দেখলে সমাজ সেখানে আটকাবেই।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, এই মহিলা না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে এই ছেলে এগিয়ে যায়, সমাজ বা সমাজের কেউ আসে না। বিপদে কেউ আসবে না, অথচ ওরা কেন ভালো থাকছে এটা নিয়ে এসে ভেটো দেবে, এ কেমন ভালো থাকার বিরুদ্ধ সমাজ!!
উনি হাসলেন, হেসে বললেন, সমাজ বাঁধা দেয়, দেবে, কারণ এমন একটা ঘটনাকে আস্কারা দেওয়া হলে আরো দশজন একই কাজ বা অপরাধ করার উৎসাহ পাবে! ওরা বিয়ে করে এক সাথে থাকুক, কারো আপত্তি নাই, কিন্তু এভাবে থাকলে মানুষ তো কথা তুলবেই। ব্যস, সমাধান তখনই হয়ে গেল বিয়ের মাধ্যমে।
তখনকার বিশাল ট্যালেন্টেড আমি রিকশার গ্যারেজ চালানো একজন অশিক্ষিত অথচ জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞ এক মুরুব্বির কাছে শিখলাম সমাজের দায়িত্ব কী! একটা অন্যায়কে আস্কারা দিলে যে আরো মানুষ সেই অন্যায় করার সাহস পাবে এই তত্ত্বের প্রতিফলন আমরা অসংখ্যবার দেখতে পাই। গত বছর সম্ভবত দুই জায়গায় দুই পাগলকে ধরে মাথার চুল ছেঁটে দেওয়া হয়েছিল, সেই ভিডিও আপনারাও দেখেছেন। কেউ থামায়নি, বরং ভালো কাজ হিসেবেই এপ্রেশিয়েট করা হয়েছিল। এখন হুজুরদের কেউ কেউ উৎসাহী হয়ে সাধু সন্ন্যাসীদের মাথা কামাতে শুরু করেছে! সারা দেশ একযোগে প্রতিবাদ করছে! আরো অবাক বিষয় হল, সেই হুজুরদের এখনও এ্যারেস্ট করা হয়নি!
গত বছর আরো একটা ভিডিও দেখেছিলাম, যেখানে রিলিফের পণ্য দিতে গিয়ে একটি বাচ্চার গলা থেকে তাবিজ খুলে নিচ্ছেন একজন হুজুর! সেখানেও অনেকেই বলেছেন, ঠিকই আছে, তাবিজ মানেই শিরক! খুলছে ভালো করছে!
এই পয়েন্টগুলো অনেক ক্রিটিকাল। এ নিয়ে কথা তোলা বা ব্যাখ্যা আলোচনা টানতে যাওয়া মানেই বিরাট বিতণ্ডা টেনে আনা! একদম সংক্ষেপের কথা হল, কারো ধর্মীয় বোধ বা ঐকান্তিক বিশ্বাস যদি আমাদের সমস্যা না ঘটায় সেক্ষেত্রে তার বিশ্বাসে হানা দেবার কোন দরকার আমি তো দেখি না।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথোপকথনের একটা লেখা দেবার পর একজন বলেছিলেন, লালন শাহকে নিয়েও এমন কিছু একটা লেখেন। তারপর থেকে আমার মাথায় অনেক বছর ধরে ঘুরছে, লালন সাইয়ের সঙ্গে কী নিয়ে আলাপ করা যায়, তাঁর কথার ভঙ্গিমা কেমন হবে, আমরা বলি খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়, আর উনি বলতেন কমনে আসে যায়! তাঁর কথার বলনের মেজাজ কেমন হবে, তাঁর যুক্তিবোধ কেমন হবে— এ নিয়ে মনগড়া আন্দাজ করার সাহসটাই হয় না। গত বছর যখন মাজার ভাঙা হল, তখন একবার তাগাদা পেলাম লেখার, যেখানে লালন শাহ বলবেন, কোন বাউল তার নিজের আখড়ায় বসে যদি সিদ্ধিসেবনও করে, তা তো তোমার ঘরে গিয়ে করছে না, তোমাকে সেখানে গিয়ে তাকে সিদ্ধি কিনে দিতেও ডাকছে না, খেতেও ডাকছে না, তাহলে সে তার নিজের আখড়ায় কী করছে তা নিয়ে মাথা ঘামাবার কী আছে! শহরে এত মদের বার, এত পতিতালয়, কই সেটা তো ভাঙতে যাও না! সেখানে শিরক কুফর সামাজিক অবক্ষয় ইত্যাদির আংশকা জাগে না, কোন কুষ্টিয়ায় আমার আখড়া, কিংবা গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার তা নিয়ে তবে তোমাদের এই মাথাব্যথা কেন!
এদিকে আবার শিরক কুফর নিয়েও মতভেদ আছে, বিতর্কের জায়গা আছে। ওমর খৈয়ামের বেলায় অসংখ্য ইসালমিস্ট পণ্ডিতই তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে কাফের বলেছেন, এত বছর পর এখন খৈয়ামকে কাফের বলা পণ্ডিত তেমন অতটা দেখা যায় না! খৈয়াম প্রথম দেখিয়েছিলেন, ঈশ্বর ভয়ের সত্তা না হয়ে প্রেমের সত্তাও হতে পারেন, তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে সাওয়াল জওয়াব করেছেন বন্ধুর মতন— এটাই মানুষ মানতে পারেনি। তিনি ঈশ্বরকে বারংবার একেকটা প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন, প্রশ্ন দিয়ে ঈশ্বরকে আটকেছেন এমনটাই সবাই দেখেছে— অথচ ওই সব প্রশ্নেই ঈশ্বর জিতেছেন, যেখানে ঈশ্বর চুপ থেকেছেন, সেখানে বান্দারই ভুল ভেঙেছে, বান্দা সেখানে সঠিক দিশাটা পেয়েছেন৷ আল্টিমেটলি সব জিজ্ঞাসা সব প্রশ্নই শেষমেশ ধার্মিকের পক্ষে গেছে, ধার্মিকের সহায়ক হয়েছে, ঈশ্বরের সঠিক ধারণা মানুষকে পেতে সাহায্য করেছে— এই সহজ বিষয়টাই অন্ধ পণ্ডিতদের বুঝতে অনেক দেরি হয়েছে। সুফিবাদ এভাবে আলাদা একটি ধারা নিয়ে ঈশ্বরের অন্বেষণে পথচলা শুরু করেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। যার দরুন আমরা পেয়েছি নিখাঁদ গভীর সব দার্শনিক ধারনা! ধর্ম যেখানে শুধু আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ বলেছে, সেখানে সুফিবাদ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতাকে সুকৌশলে উপেক্ষা করে সরাসরি ঈশ্বরকেই ডেকে এনেছে! সুফিবাদ দেখিয়েছে ঈশ্বর আর ঈশ্বরের সৃষ্টি বান্দাই এখন মুখোমুখি, তাদের উভয়ের চাওয়া-পাওয়া সওয়াল জওয়াব মান অভিমান সব এই যে সামনাসামনি, সব ফয়সালা সামনাসামনিই হয়ে যাক, আমি বড় না তুমি বড় বলে কোন্দলের কোন আবশ্যকতা নাই! ঠিক এই কারণেই সুফিবাদ কখনও থামেনি। আপনারা যে কাওয়ালি দেখেন, এই কাওয়ালির উৎপত্তি কোথায় জানেন? এই কাওয়ালি এসেছিল দাউদ নবীর (আ.) হাত ধরে, আপনারা জানেন, দাউদ (আ.) কণ্ঠের জাদুকর ছিলেন, সুরের সম্রাট ছিলেন। এরপর রুমির দর্শন, আমীর খসরু কিংবা শাহ হুসেইন বাহু পর্যন্ত না গেলাম। আমাদের হাতের কাছে যে লালন শাহ ছিলেন, তাঁকেই আমরা ঠিকঠাক বুঝতে পারিনি, ধারন করা তো পরের ব্যপার, তো সেখানে আরব বা ইরান দেশের কথা তুলে কাজ নেই। সব সাধকই মানবতার কথা বলেছেন বলেই তাঁদেরকে বিশেষ এক শ্রেণী সবসময় ঈর্ষা করে গেছেন, মুখ চেপে ধরার চেষ্টা করে গেছেন! ধর্মের কাজ জীবন বিধান দেওয়া, যাতে সবাই সেই বিধান মেনে চলে, ফলে সমাজে বৈষম্য কোন্দল বন্ধ হবে, সমতা বজায় থাকবে। এই সহজ বার্তাটাই তথাকথিত ধার্মিকেরা বোঝেনি। ধার্মিকেরা তো দূর, অনেক আলেমই সেটা বেঝেননি।
২০০৪ পর্যন্ত আলেমদের ওয়াজের মূল টপিক ছিল, বিধর্মীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, কাফেরের বিরুদ্ধে জিহাদ, সামনে পেলেই ক্বতল করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা ইত্যাদি! এরপর বিশ্বব্যাপী একটা পরিবর্তন দেখা গেল তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব আলোচনার মাধ্যমে। নতুন প্রবণতা তৈরি হল, তখন আবার কট্টরপন্থীরা কেবল আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ বাকি সবাই ভুল বলে এই সাম্যবাদী বক্তাদের বয়কট করলেন। এরপর বিধর্মী নিয়ে ক্যাচাল কমলেও ধর্মীয় বয়ানে সবচেয়ে জরুরি যে আলাপ তা কখনই করা হয়নি! জরুরি আলাপটা কী?
ওকে, আপনি হাশরের ময়দানে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার নেকী পাহাড় সমান, আর পাপের পরিমাণ কেবল একটি! পাপটা কী? আপনি আপনার প্রতিবেশীর গাছের ঝরা ফল না বলে খেয়েছিলেন! ব্যস, আপনার জান্নাত ক্যান্সেল। যতক্ষণ না সেই প্রতিবেশী ছাড়বে, আপনি আটকা!
আপনার নামাযে এক রাকাত ভুল হলে বা সারাজীবনে একবারও আল্লাহর ইবাদত না করলেও আল্লাহ আপনাকে চাইলেই মায়া করে জান্নাতে দাখিল করতে পারেন, তা আল্লাহর মর্জি। ইবাদত সংক্রান্ত যে কোন ত্রুটিই আল্লাহ মাফ করতে পারেন, আল্লাহ এ নিয়ে কঠোরতা দেখাননি, কঠোরতা দেখিয়েছেন বান্দার হক্ব নিয়ে। আপনি কোন ব্যক্তির মনে সামান্য আঘাত করলেও তা মাফ করার এখতিয়ার কেবল ওই ব্যক্তিরই। হাশরে আমরা ইবাদতে আটকাবো না, আটকাবো একে অন্যের অভিযোগের কাঠগড়ায়! যদি এটুকুই মানুষকে ঠিকঠাক বোঝানো যেত তাহলে সমাজে অন্যায় অবিচার বহুলাংশেই কমে যেত। আপনি কোন আলেমকে এই ঘুষ দুর্নীতি অবিচার অন্যের হক নষ্ট করা ইত্যাদি নিয়ে কোন বয়ান দিতে শুনবেন না, আপনাকে শোনানো হবে এক রাকাত নামায ক্বাযা হলে কত কোটি বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে সেই হিসাব!
ধর্ম আর রাজনীতি এই দুই বিষয় নিয়ে আমি পারতপক্ষে কথা বলতেই চাই না, কারণ ধার্মিক আর দলপ্রেমী এই দুই পক্ষই অন্ধ আবেগী, এরা চোখেও অন্ধ, বিবেকেও অন্ধ। এদেরকে বোঝানোর চেষ্টাই বৃথা। যে যার নিজেরটাকেই একমাত্র শুদ্ধ হিসেবে দেখে! আমার কনসেপ্ট ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ন্যায় এবং অন্যায়ের ভিত্তিতে। বেশি ক্লিয়ার বলেই তা অন্যদের সঙ্গে মেলে না, ফলে এই ক্ল্যারিটি নিয়েই আমাকে চুপ থাকতে হয়!
যাহোক যে আলাপে ছিলাম, সেখানে আসি, তুমি ভুল করছ, তোমার ব্যক্তিগত ভুল ভিন্ন বিষয়, কিন্তু তোমার করা ভুল যদি সমাজের সন্তুলন নষ্ট করে তাহলে সমাজী হিসেবে সেখানে ভেটো দেওয়া আমারও কর্তব্য। এখন তুমি জটাধারী হয়ে গেরুয়া পরে রাস্তায় হাঁটলে সমাজের আশঙ্কা কোথায় আমি তো দেখি না, তবে তুমি হাঁটুছেঁড়া পাজামা আর বুকচেরা গেঞ্জি পরে হাঁটলে তোমার দেখাদেখি আরো একশো জনও যে ফাঁটা জিন্স পরা ধরবে এ আমি নিশ্চিত। জটাধারীকে দেখে কেউ জটাধারী ফ্যাশানে আগ্রহী হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। ফলে সমাজের খুব একটা ক্ষতি হয়েছে বলে আমি দেখি না। এবং একজন সাধু বা পাগলের চুল দাড়ি কেটে সমাজের এমন কোন উপকারও হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। সন্তোষের বিষয় এই যে, এই একটা ক্ষেত্রে কট্টরপন্থী ব্যক্তিকেও আমি ওই জবরদস্তি করে চুল কাটা হুজুরদের বিপক্ষে দাঁড়াতে দেখেছি। লোকটা বলেছিল, আল্লাহ তুই দেখিস! এই যে আল্লাহর কাছে দাবিটা এত ঘনিষ্ঠ আব্দার, আমি নিশ্চিত ওইসব হুজুরদের কারো করার মত অবস্থান নেই। আমরা সারা দেশ এই ইন্ট্রুডারদের গ্রেপ্তার ও বিচার দেখার অপেক্ষায় আছি। আরেকটা বিষয়, কিছু হলেই যে দেশে জঙ্গি জঙ্গি কার্ড খেলার যে প্রবণতা সেখানে এই হারামিরাই এসে ঘি ঢালে, কিছু না কিছু করে যেভাবেই হোক, আলেমরা হজুররা যে সমাজের স্বাভাবিক চলাফেরায় হুমকি স্বরূপ সেটা প্রমাণ করতে এদের উৎসাহের অন্ত নাই! ইসলাম কাউকে জোর করে পোশাক চাপায়নি, জোর করে নামায রোজা চাপায়নি, জোর করে নিয়ম মানতে বাধ্য করেনি, বরং ইসলাম নিজে এমন হৃদয়গ্রাহী আচরণ করেছে যা দেখে অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় সে আচরণ ও বিধানকে গ্রহন করতে আগ্রহী হয়েছে। তাহলে তুমি কোন দাড়িওয়ালা আসছ জোর করে কাউকে তোমার বিধানের দাসত্ব করাতে বাধ্য করতে??
এতই তোমার ঈমানী ত্যাজ থাকলে কোন বাজার সিন্ডিকেট টেম্পু সিন্ডিকেট তো ভাঙতে দেখলাম না কখনও! এইসব দুর্বল মানুষের ওপর জুলুম করার বেলায় তোমার এত তেজ আসে কোত্থেকে ভাই!
অনেক প্যাচাল করলাম, একটা ফুটনোট দিয়ে শেষ করি৷ আমার লেখায় সিদ্ধিসেবন সম্পর্কে বলা হয়েছে। অএব, এটাও সুস্পষ্ট করার বিষয় সিদ্ধিসেবনকে আমি সমর্থন বা প্রমোট করছি কি না!
উত্তর হচ্ছে— না।
যে জিনিস খাওয়ার পর মাথা ঘুরায়, দৃষ্টিভ্রম হয়, নিজেরে বলদ বলদ লাগে, কাহিল লাগে, দুর্বল লাগ, হাঁটার সময় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, মানুষের সামনে অসংলগ্ন আচরণ ধরা পড়ে অপদস্থ হতে হয়, এরকম আত্মঘাতী জিনিস সেবনের আমি কোনই দরকার দেখি না। এরকম নিজেকে এসব খেয়ে এ্যাবনরামল বলদ প্রমাণের আগ্রহটা কোনভাবেই কোন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের কাজ না।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


